ফুটবল
ব্যালন ডি’অর তালিকায় নেই মেসি-নেইমার, স্থান পেলেন যারা
বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাকর ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর এবার আর ভাগ্যে জুটলো না লিওনেল মেসির। ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় যে নামই নেই সর্বোচ্চ সাত বার এই পুরস্কারের গর্বিত মালিক আর্জেন্টাইন এই সুপার স্টারের।
২০০৬ সাল থেকে ব্যালন ডি’অরের তালিকায় ঝকঝক করতো মেসির নাম। আর ২০০৭ সাল থেকে তো সংক্ষিপ্ত তিনজনের তালিকায় তিনি থাকতেনই। ২০১৮ সাল ছিল শুধু ব্যতিক্রম।
ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পাননি মেসির পিএসজি সতীর্থ নেইমারও।
৩৫ বছর বয়সী মেসি বার্সেলোনা থেকে ফরাসি রাজধানী প্যারিসে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। আর সেটাই হয়ত তাকে এবার তালিকা থেকে ছিটকে দিয়েছে। তবে ধারনা করা হচ্ছে পুরস্কারের ফর্মেটে যে পরিবর্তন এসেছে সেটাও হয়ত মেসিকে বেছে না নেবার পিছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এক ক্যালেন্ডার বছরে শুধুমাত্র সেরা খেলোয়াড়কেই পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের একমাত্র যোগ্যতা হিসেবে আর ধরা হচ্ছেনা। বরং ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের পাশাপাশি ম্যাচ জয়ে তার ভূমিকা ও একইসাথে ব্যক্তি হিসেবে আকর্ষণীয় চরিত্রের দিকটিও এবার পুরস্কার জয়ের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে, যা আগে ছিলনা।
২০২১ সালের গ্রীষ্মে বার্সেলোনা ছাড়াও পর পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনও সাফল্য এনে দিতে পারেননি মেসি। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে শেষ ১৬’ থেকেই প্যারিসের জায়ান্টদের বিদায় নিতে হয়। গত মৌসুমে পিএসজির হয়ে মাত্র ১৭ গোল করেছেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি।
ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসির পিএসজি সতীর্থ নেইমারও। পুরো মৌসুমে পিএসজির হয়ে নেইমার ২৮ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ১৩ গোল।
আগামী ১৭ অক্টোবর ফরাসি ফুটবল ম্যাগাজিনের এই মর্যাদাকর পুরস্কারের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকা :
থিবাট কুর্তোয়া, রাফায়েল লিও, ক্রিস্টোফার এনকুকু, মোহাম্মদ সালাহ, জশুয়া কিমিচ, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, বার্নার্ন্ডো সিলভা, লুইস দিয়াস, রবার্ট লিওয়ানোদোস্কি, রিয়াদ মাহারেজ, ক্যাসেমিরো, সন হেয়াং মিন, ফ্যাবিনহো, করিম বেনজেমা, মাইক মাইগনান, হ্যারি কেন, ডারউইন নুনেজ, ফিল ফোডেন, সাদিও মানে, সেবাস্তিয়ান হলার, লুকা মদ্রিচ, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, এন্টিনিও রুডিগার, কেভিন ডি ব্রুইনা, দুসান ভ্লাহোভিচ, ভার্জিল ফন ডাইক, হুয়াও ক্যান্সেলো, কিলিয়ান এমবাপ্পে, আর্লিং ব্রত হালান্ড।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//