রাজশাহী
দুই বছর ধরে জমানো টাকা না পেয়ে আত্মহত্যাচেষ্টা পারুলের
পোস্ট অফিসে অনেক কষ্ট করে দুই বছর ধরে জমানো টাকা না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক নারী। তানোর পোস্ট অফিসে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে দুই লাখ টাকা ওই নারীর। ওই টাকা না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজশাহীর তানোর পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীর নাম পারুল বেগম। তিনি তানোর উপজেলার গোকুল গ্রামের মৃত এনামুল হাসান রনির স্ত্রী।
পারুল বেগম গণমাধ্যমে বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর হলো অনেক কষ্টে দুই লাখ টাকা জমা করেছি। এখন টাকা পাচ্ছি না। আমার স্বামী ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এতিম বাচ্চা নিয়ে আমি অসহায়।
তিনি আরও বলেন, জমানো টাকা নভেম্বরে পাওয়ার কথা। অথচ ছয় মাস ধরে ঘুরছি। তারা আজ না কাল বলে ঘোরাচ্ছে। আমি এখন কী করবো? মরা ছাড়াতো আমার কোনো পথ নেই। এরাতো আমার টাকা দিচ্ছি না।’
তানোর পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, তানোর পোস্ট অফিসে পারুল বেগমসহ আরও ৩০০ গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৎকালীন পোস্টমাস্টার মকছেদ আলী। গত ১৭ মার্চ রাজশাহীর ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা তদন্তে এসে টাকা গায়েবের প্রাথমিক সত্যতা পান। এ ঘটনায় পোস্টমাস্টার মকছেদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাজশাহীর ডাক বিভাগের পরিদর্শক মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মকছেদ আলীকে অভিযুক্ত করে তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পরে দুদকে মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে তানোর পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার আবদুল মালেক গণমাধ্যমে বলেন, দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ পোস্ট অফিসের গ্রাহক ৩০০ জন। তাদের মধ্যে কতজনের টাকা আত্মসাৎ হয়েছে, সেটি তদন্তের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, পোস্ট অফিসে পারুল নামের এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকেসহ কয়েকজন ভুক্তভোগীকে রাজশাহী বিভাগীয় পোস্ট অফিসে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। তারা টাকা পাবেন তবে সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীদের টাকার বিষয়ে তারা কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা দুদকে চিঠি দিয়েছেন। দুদক তদন্তে নামলে সব বেরিয়ে আসবে। সাময়িক বরখাস্তকৃত তানোর ডিজিটাল পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার মকছেদ আলী পলাতক বলেও জানান ওসি।
এএম/
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ