রাজশাহী
বগুড়ায় ব্যালটে প্রতীকে অমিল, ভোটগ্রহণ স্থগিত
বগুড়া সদর উপজেলায় বরাদ্দ করা প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারে ছাপানো প্রতীকের মিল না থাকায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
বুধবার (২৯ মে) বগুড়ার জেলা প্রশাসক এবং নির্বাচনে আপিল গ্রহণকারী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ চলবে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইফতারুল ইসলাম মামুন নামে এক প্রার্থীকে ‘আইসক্রিম প্রতীক’ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকে কাঠিযুক্ত আইসক্রিমের যে ছবি দেখানো হয়েছিল আজ ভোটগ্রহণকালে ব্যালটে তার পরিবর্তে অন্য আইসক্রিমের প্রতীক দেখা গেছে। বিষয়টি ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই একটি গণমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ওই প্রার্থী নিজেও আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনে অবহিত করলে কর্তৃপক্ষ ওই পদে ভোটগ্রহণ স্থগিতের নির্দেশ দেন।’
এর আগে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইফতারুল ইসলাম মামুন অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকে কাঠিওয়ালা আইসক্রিমের ছবি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি সেই আইসক্রিমের ছবি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাই এবং পোস্টারেও তা সংযুক্ত করি। কিন্তু আজ ভোট শুরু হওয়ার পর দেখলাম ব্যালটে আমার সেই প্রতীক নেই। কাঠিওয়ালা আইসক্রিমের বদলে কুলফি জাতীয় আইসক্রিমের ছবি দেয়া হয়েছে। এতে ভোটাররা আমার প্রতীক চিনতে পারছেন না। বিষয়টি আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতে আমি সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না।’
বরাদ্দ করা প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারে দেখানো প্রতীকের অমিলের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বগুড়ার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ আজ সকালে বলেন, ‘আমাদের কমিশন থেকে অতিরিক্ত তিনটা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। সেখানে মধু আইসক্রিম প্রতীক ছিল। কিন্তু কুলফি জাতীয় আইসক্রিমের ছবি ছিল না। পরে আমরা সচরাচর যে আইসক্রিম হয় সেই ছবি দিয়ে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেই। আজ ব্যালটে সচরাচর সেই আইসক্রিমের পরিবর্তে কুলফি জাতীয় আইসক্রিমের ছবি দেখা যায়।’
কেএস/
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ