ক্রিকেট
কারা হবেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট ও রান সংগ্রহকারী, পন্টিংয়ের ভবিষ্যদ্বাণী
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর বেশি দূর নয়। দুই দিন বাকি আছে। এর মধ্যে নানা আলোচনা করছেন সাবেকরা। কোন দল কতদূর যাবে বা কোন ক্রিকেটার কত ভালো করবে- সে ব্যাপারে একটা মতামত জারি রাখছেন তারা। এবার সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং জানালেন তার জবান। বিশ্বকাপে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক এবং শীর্ষ রান সংগ্রাহক কে হবেন, এ বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি।
খেলোয়াড়দের বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় তো থাকে। সাবেক ক্রিকেটাররা অনেক সময় নিজ দেশের প্রতিও পক্ষপাতী করেন অনেক ক্ষেত্রেই। তবে পন্টিংয়ের মতামতকে এখানে পক্ষপাতী মনে করার সুযোগ কম বোধহয়।
জাসপ্রীত বুমরাহকে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক মনে করছেন এই সাবেক ক্রিকেটার। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হিসেবে দেখছেন ট্রাভিস হেডকে। হেডের ক্ষেত্রে কি পক্ষপাতিত্ব ভাবার সুযোগ আছে? আইপিএলের সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে তিনি ব্যাট হাতে কী করেছেন, তা সবাই দেখেছে।
একই টুর্নামেন্টে বুমরাহর পারফরম্যান্সটাও দেখার মতো। এই ভারতীয় বোলার ১৩ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ২০ উইকেট। অন্যদিকে ব্যাট হাতে হেড ১৫ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ৫৬৭ রান।
আইসিসি রিভিউতে পন্টিং জানান, “টুর্নামেন্টে জাসপ্রীত বুমরাহকে আমি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে দেখি।“
“সে উইকেট সংগ্রহ করে। সে অনেক কঠিন ওভার করতে পারে। যখন আপনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কঠিন ওভার করতে পারেন, এটা আপনাকে অনেক বেশি উইকেট পাওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়। তো আমি তার দিকেই যাচ্ছি।“
এরপর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের কথা বলতে গিয়ে পন্টিং বলেন, “আমি ট্রাভিস হেডকে শীর্ষ রান সংগ্রহকারী মনে করি।“
“আমি শুধু মনে করি, সে যা করেছে গত দুই এক বছরে, এটা কি লাল বল বা সাদা বল হোক। দারুণ মানসম্পন্ন ছিল। আমার মনে হয় সে এই মুহূর্তে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে।“
বাংলাদেশ সময় আগামী ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্ব আসর।
এম/এইচ
ক্রিকেট
ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন প্রসঙ্গে যা বললেন বিজয়
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর আছে একই সময়ে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনও এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। দলে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এটা তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’
বোর্ডের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের কথা অনেকেই উচ্চারণ করেছেন শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরপর। এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরী। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে।’
এম এইচ//
ক্রিকেট
পাকিস্তানের টেস্ট দলে এইচপি কোচ হলেন টিম নিলসন
টিম নিলসনকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে আছেন জেসন গিলেস্পি। যার কোচিং স্টাফে যুক্ত হতে যাচ্ছেন টিম নিলসন। ইতোমধ্যে এই দুই কোচ পাকিস্তান শাহীন’স এ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আগস্টের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্প। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দল প্রথম ম্যাচটি খেলবে আগস্টের ২১ থেকে ২৫ তারিখ। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুই দল খেলবে আগস্টের ৩০ থেকে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গিলেস্পির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নিলসনের। সবমিলিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী।
সম্প্রতি পিসিবি বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যেও দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান শাহীন’স।
এম এইচ//
ক্রিকেট
দুই মাসের ছুটি চান অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন সাইফউদ্দিন। এই মাসের শুরুতে একজন নির্বাচক ইমেইল করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর জানিয়ে দেন, তিনি ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নিতে চান এবং তা দুই মাসের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জুনে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যুক্ত হতে না পারা এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে কানাডায় যেতে না পারা- সাইফউদ্দিনের জন্য বেশ হতাশার ছিল। এসব কারণেই তিনি আগামী ২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে, বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন।
এম এইচ//