আন্তর্জাতিক
যৌন হয়রানি মামলায় গ্রেপ্তার ‘মোদিঘনিষ্ঠ’ এমপি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দলের এক আইনপ্রণেতাকে শুক্রবার (৩১ মে) গ্রেপ্তার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। কর্ণাটকের জনতা দল (সেক্যুলার) (জেডিএস) প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (০১ জুন) ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভিকে উদ্ধৃত করে এ সংবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
কর্ণাটকের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের ৩৩ বছর বয়সী প্রজ্বলের বিরুদ্ধে এপ্রিলে অভিযোগ দায়েরের পর ভারতের বাইরে চলে যান। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি জার্মানিতে ছিলেন। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে তিনি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আসেন। এর পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ২৬ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশকিছু ভিডিও ক্লিপ প্রচারিত হয়। এরপর প্রজ্বলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছিল। দ্বিতীয় দফায় লোকসভার সদস্য হওয়ার জন্য নিজের জনতা দল (সেক্যুলার) থেকে লড়ছিলেন প্রজ্বল।
প্রজ্বল সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন এক মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্নে। প্রজ্বলকে তার দাদা দেবগৌড়াই ফিরে আসার এবং আইনের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর এক সপ্তাহ পরে বেঙ্গালুরু ফিরে গ্রেপ্তার হলেন প্রজ্বল।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রজ্বলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী মোট তিনটি মামলা করেছেন। বেঙ্গালুরু আসার আগে এই সপ্তাহেই পরিবার, রাজ্যের মানুষ এবং দলীয় কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন প্রজ্বল। সেখানে তিনি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোকে মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমি আদালতের মাধ্যমে এসব মিথ্যা মামলা থেকে বেরিয়ে আসবো।
প্রজ্বলের বাবা কর্ণাটকের সাবেক মন্ত্রী এইচ ডি রেভান্নাকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বাবা ও ছেলে দুজনেরই দাবি, মামলাগুলো তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
নির্বাচনের সময় এমন ঘটনা সামনে আসায় দেশজুড়ে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। রেভান্নাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার সরকারের সমালোচনা করে বিরোধীরা। এর জবাবে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মন্তব্যে করেন মোদি।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন? তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।
এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?
জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এমআর//