লাইফস্টাইল
ড্যানড্রাফ নাকি ড্রাই স্ক্যাল্প, কীভাবে বুঝবেন?
চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। নানা কারণে চুল পড়লেও অনেকেই কমপ্লেইন করেন যে, অতিরিক্ত খুশকি বা ড্যানড্রাফের কারণে চুল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পড়ছে। কিন্তু সব সময় যে ড্যানড্রাফই চুল পড়ার জন্য দায়ী তা কিন্তু নয়। হতে পারে আপনার স্ক্যাল্প ড্রাই, তাই হেয়ার ফল বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ দুটোর মধ্যে আসলে পার্থক্য কোথায়? আমাদের স্ক্যাল্প ফেইসের মতো অয়েলি বা ড্রাই হতে পারে। অয়েলি স্ক্যাল্পেই যে খুশকির সমস্যা হবে এমন নয়, ড্রাই স্ক্যাল্পেও হতে পারে। ড্যানড্রাফ নাকি ড্রাই স্ক্যাল্প এর সমস্যা হচ্ছে সেই তফাৎটা না বোঝার কারণে অনেকে সঠিকভাবে হেয়ার কেয়ার করা নিয়ে ঝামেলায় পড়েন। আজ আপনাদের জানাবো এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী, কেন এই সমস্যা হয় এবং কোন সমস্যায় কীভাবে হেয়ার কেয়ার করবেন সে সম্পর্কে।
ড্যানড্রাফ নাকি ড্রাই স্ক্যাল্প – কীভাবে বুঝবেন?
আমাদের মধ্যে কেউ হয়তো ড্যানড্রাফের সমস্যায় ভুগছেন, কেউ ড্রাই স্ক্যাল্পের। আবার অনেকেই দুটো প্রবলেম একইসাথে ফেইস করছেন। দুটো সমস্যার মধ্যে অনেক মিল থাকায় পার্থক্য সহজে বোঝা যায় না। কিন্তু আপনি ঠিক কোন সমস্যায় ভুগছেন সেটা কীভাবে বুঝবেন? এ জন্য সবার আগে ড্যানড্রাফ ও ড্রাই স্ক্যাল্পের পার্থক্য বোঝা জরুরি। চলুন তাহলে এ বিষয়ে আগে বিস্তারিত জেনে নেই-
ড্যানড্রাফ কী?
ডার্মাটোলজিস্টের মতে, এটি স্ক্যাল্পের একটি ইনফ্ল্যামেটরি কন্ডিশন যেটা মাইল্ড থেকে সিভিয়ার হতে পারে। বিশেষত সেবোরেইক ডার্মাটিটিস (Seborrhoeic Dermatitis) বা ফাঙ্গাসজনিত কারণে চুলে খুশকি দেখা দিতে পারে। আমাদের স্ক্যাল্পের সেলগুলো প্রতি ২৮ দিন পর পর রিজেনারেট হতে থাকে। স্ক্যাল্পের গভীর থেকে নতুন সেল উপরে উঠে আসে এবং উপরের সেলগুলো ঝরে পড়ে যায়। এই ঝরে পড়া সেলগুলো সময়মতো ক্লিন করা না হলে তখন এগুলো একসাথে হয়ে খুশকি তৈরি করে। আমাদের একেকজনের স্কিন যেমন একেক রকম, তেমনই আমাদের স্ক্যাল্পেও ভ্যারিয়েশন আছে। এই ভ্যারিয়েশনের উপর ডিপেন্ড করে ড্যানড্রাফকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
ড্রাই-ড্রাই খুশকির কারণ হচ্ছে ড্রাই স্ক্যাল্প। এমন স্ক্যাল্পে অয়েলের পরিমাণ কম থাকে। যার কারণে সময়ের আগেই পুষ্টির অভাবে সেলগুলো ঝরে পড়ে যায়। স্ক্যাল্প ইচিনেসের কারণও এই ড্রাইনেস।
অয়েলি- যাদের স্ক্যাল্প বেশি অয়েলি, তাদের স্ক্যাল্প থেকে অনেক বেশি তেল রিলিজ হয়। এই তেল সময়মতো ক্লিন করা না হলে তখন ডেড সেলগুলো এই তেলের সাথে আটকে যেয়ে খুশকির জন্ম দেয়।
ড্যানড্রাফের কারণ
ড্যানড্রাফ হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ বের করা কঠিন, তবে কিছু কমন ফ্যাক্টর আছে যেটা মোটামুটি সবার ক্ষেত্রেই সমান। যেমন-
ফাঙ্গাল অ্যাটাক
ড্যানড্রাফ হওয়ার পিছনে Malassezia Globosa কে মেজর কালপ্রিট হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। ন্যাচারালি সবার স্ক্যাল্পেই এটি থাকে। স্ক্যাল্পের ময়েশ্চার ব্যালেন্স করার জন্য নরমালি যে সিবাম প্রোডাকশন হয়, সেটা যদি কখনো বেড়ে যায় তখনই এই ফাঙ্গাসের সূচনা হয়। আর যত দ্রুত এই ফাঙ্গাস বাড়ে, ততই ডেড সেল আর সেই সাথে ড্যানড্রাফও বাড়তে থাকে। কারও ক্ষেত্রে যদি এই সমস্যা সিভিয়ার হয়, তাহলে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সঠিক শ্যাম্পু সিলেক্ট না করা
স্ক্যাল্পে ডেড সেলস জমা হলে এবং সেই সাথে যদি এক্সেস সিবাম প্রোডিউস হয়, তখন ইচিনেস আরও বাড়ে। এক্ষেত্রে আপনি যদি শ্যাম্পু ব্যবহার না করে স্ক্যাল্প ক্লিন না রাখেন, তাহলে খুশকিও বেড়েই চলবে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার
আমাদের খাদ্যাভ্যাসও ত্বক ও চুলের উপর প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ফ্যাট, সুগার, প্রসেসড ফুড আপনার স্কিন ও স্ক্যাল্পের সিবাম প্রোডাকশন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ড্যানড্রাফ দেখা দেয়।
স্ট্রেস ও হরমোনাল ইস্যু
হরমোনাল চেঞ্জ যেমন- পিউবার্টি, প্রেগনেন্সি এসব কারণেও ড্যানড্রাফ হতে পারে। স্ট্রেসের কারণে কর্টিসল লেভেল বেড়ে যেয়ে স্ক্যাল্পের সিবাম প্রোডাকশন বাড়িয়ে দেয়। আর সেখান থেকে ড্যানড্রাফ হয়।
আবহাওয়ার পরিবর্তন
ড্যানড্রাফের জন্য কোনো ফিক্সড ওয়েদার নেই। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যে কোনো সময় এ সমস্যা হতে পারে। সহজ কথায় বলতে গেলে, খুশকি হওয়ার জন্য যেসব কমন ফ্যাক্টর আছে সেগুলোর মাঝে যে কোনোটি এই সমস্যাকে বাড়াতে পারে। যেমন- অতিরিক্ত গরম থেকে ঘাম হয়ে মাথার তালু ঘেমে গেলে ফাঙ্গাল অ্যাটাক হওয়ার চান্স বেশি থাকে। আবার শীতকালে স্ক্যাল্প ড্রাই হওয়ার কারণে এই সমস্যা আমরা একটু বেশিই ফেইস করি।
ড্যানড্রাফের ট্রিটমেন্ট
১) খুশকি সমস্যা দূর করতে হেয়ার কেয়ারে রাখুন টি ট্রি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল। এটি অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, ফলে ফাঙ্গাল অ্যাটাক হতে দেয় না। সাথে যুক্ত করুন অলিভ ও জোজোবা অয়েল। তিনটি অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। অলিভ অয়েল চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। জোজোবা অয়েলের লাইট ওয়েট ময়েশ্চারাইজিং প্রোপার্টিজ স্ক্যাল্পে নারিশমেন্ট প্রোভাইড করে। চুলে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
২) ড্যানড্রাফ দূর করার জন্য মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত যেগুলোতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, কিটোকোন্যাজল, জিংক পাইরিথিপন বা সেলেনিয়াম সালফাইড থাকে। এসব ইনগ্রেডিয়েন্টস ফাঙ্গাল ইনফ্ল্যামেশন হতে দেয় না। এখন মার্কেটে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ রেঞ্জ অ্যাভেলেবল। খুশকির সমাধানে এগুলো ইউজ করতে পারেন।
৩) ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার এবং ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট রাখুন ডায়েটে। ডার্মাটোলজিস্টের মতে, এসব উপাদান স্ক্যাল্পের অয়েল প্রোডাকশনে ব্যালেন্স রাখে এবং ফাঙ্গাল গ্রোথ প্রিভেন্ট করে।
৪) ড্যানড্রাফের সমস্যা কমাতে ইউজ করতে পারেন Skin Cafe Anti Dandruff Treatment। এতে আছে আমলা পাউডার, নিম, অরেঞ্জ, মেথি, শিকাকাই ও হেনা। এই সবগুলো ইনগ্রেডিয়েন্ট ড্যানড্রাফ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে।
ড্রাই স্ক্যাল্প কী?
আমাদের স্ক্যাল্প ও হেয়ারের ন্যাচারাল অয়েল যদি ব্যালেন্সড থাকে, তাহলে স্ক্যাল্পও ময়েশ্চারাইজড ও হাইড্রেটেড থাকে। কিন্তু নানা কারণে এই ময়েশ্চারাইজেশন কমে যেতে পারে। যেমন- বয়স বৃদ্ধি, কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার, আবহাওয়ার পরিবর্তন, চুল অতিরিক্ত ধোয়া ইত্যাদি। এমন নানা কারণে স্ক্যাল্প ড্রাই হয়ে যায়। ঠিক তখনই দেখা দেয় ফ্লেকিনেস, ইচিনেস ও ইরিটেশনের মতো সমস্যা। দেখা দেয় সাদা ছোট ছোট ফ্লেকস।
ড্রাই স্ক্যাল্পের কারণ
কিছু কিছু ফ্যাক্টর এই ড্রাই স্ক্যাল্পের সমস্যাকে ট্রিগার করে। সেগুলো হলো-
আবহাওয়ার পরিবর্তন
শীতকালে ওভারঅল স্কিন ড্রাই হয়ে যায়, সেই সাথেও স্ক্যাল্পও। পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়েশ্চারাইজ না করলে স্ক্যাল্পের এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট
অতিরিক্ত ব্লো ড্রাই, হাই হিট, কালারিং, কেমিক্যাল স্ট্রেইটিং বা হাই pH যুক্ত শ্যাম্পু স্ক্যাল্প ড্রাই করে। স্ক্যাল্পের ড্রাইনেস কমানোর জন্য সচেতন হতে হবে এসব দিকেও।
স্ট্রেস
এটি এমন একটি সমস্যা যা আপনার ত্বক ও চুল ভালো থাকার পিছনে অনেক বড় বাঁধা। স্ট্রেসের কারণে এমন কিছু হরমোন রিলিজ হয়, যা স্ক্যাল্পের ইনফ্ল্যামেশন বাড়িয়ে দেয় আর স্ক্যাল্পের ময়েশ্চার ধরে রাখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে দেখা দেয় ড্রাই স্ক্যাল্প ও ইচিং প্রবলেম।
নিউট্রিশনাল ডেফিসিয়েন্সি
ভিটামিন আমাদের হেলদি স্ক্যাল্পের জন্য অনেক জরুরি। ভিটামিন বি-৬, বি-১২ এবং অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড- এগুলো ডায়েটে না থাকলে স্ক্যাল্প পর্যাপ্তভাবে ময়েশ্চারাইজড হয় না। তাই পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দিয়ে সাজাতে হবে খাদ্য তালিকা।
ডিহাইড্রেশন
ডিহাইড্রেটেড স্কিন বা স্ক্যাল্পে সমস্যার শেষ নেই বললেই চলে। তাই রেগুলার সঠিক পরিমাণে ওয়াটার ইনটেক হওয়া জরুরি। এতে স্ক্যাল্প হাইড্রেটেড থাকে এবং ইচিং, ফ্লেকিং, ইরিটেশন সহজে হয় না। আবার বারবার হার্শ শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও স্ক্যাল্পের হাইড্রেশন ও ময়েশ্চার লেভেল কমে যেয়ে স্ক্যাল্প ড্রাই হতে পারে।
ড্রাই স্ক্যাল্পের ট্রিটমেন্ট
১) শ্যাম্পু করার কিছুক্ষণ আগে চুলে অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এতে হেয়ার ও স্ক্যাল্পের অয়েল ব্যালেন্স হবে। সপ্তাহে ২/৩ বার অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন।
২) সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার সিলেক্ট করুন। ড্রাই স্ক্যাল্পে ইরিটেশন হলে হার্শ শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। মাইল্ড শ্যাম্পু ইউজ করুন। এতে স্ক্যাল্প হাইড্রেটেড থাকবে। এছাড়া ইচিং প্রবলেম কমানোর জন্য সুদিং ইনগ্রেডিয়েন্টস (অ্যালোভেরা বা ওটস মিল্ক ইত্যাদি) যুক্ত প্রোডাক্টস ইউজ করতে পারেন। সেই সাথে অ্যালকোহল ও প্যারাবেন ফ্রি হেয়ার প্রোডাক্টস ব্যবহার করুন।
৩) ঘন ঘন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে স্ক্যাল্পের ন্যাচারাল অয়েল কমে যায়। ফলে স্ক্যাল্প আরও ড্রাই হয়ে যায়। আর চুলে কখনো সরাসরি গরম পানি ব্যবহার করবেন না। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া ভালো।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ