ফুটবল
সেল্টা ভিগোকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিলো রিয়াল মাদ্রিদ
সেল্টা ভিগোকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লা লিগায় দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। দীর্ঘদিনের সতীর্থ কাসেমিরো না থাকলে কি, স্কোরশিটে ঠিকই নাম লিখিয়েছেন ‘ফ্যানটাস্টিক ফোর’ বেনজেমা, মদ্রিচ, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও ফেডে ভালভার্দে।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে স্পট কিক থেকে রিয়ালকে এগিয়ে দেন বেনজেমা। কিন্তু ইয়াগো আসপাসের স্পট কিকে ৯ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় স্বাগতিক সেল্টা। কিন্তু যে দলে মদ্রিচের মত পরিশ্রমী মিডফিল্ডার আছে তাদের আর পিছনে ফিরে তাকানোর কোন অবকাশ নেই। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক কার্লিং শটে কাল বিরতির আগেই আরো একবার রিয়ালকে এগিয়ে দিয়েছেন এই ক্রোয়েশীয় তারকা। দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও ভালভার্দের গোলে জয়ের ব্যবধানটা বেড়েছে। ৮৭ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডের পেনাল্টি সেভ না হলে ব্যবধান হয়তো আরো বাড়তে পারতো।
সেল্টার মিডফিল্ডার রেনাটো টাপিয়ার হ্যান্ডবল ভিএআর এর মাধ্যমে যাচাই করে রেফারি রিয়ালকে পেনাল্টি উপহার দেন। স্পট কিক থেকে ১৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ফ্রেঞ্চম্যান বেনজেমা। ৯ মিনিট পর গনসালো পাসেইনসিয়ার হেড বাহু দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে এডার মিলিটাওয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি উপহার পায় সেল্টা। স্পট কিক থেকে অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার আসপাস কোন ভুল করেননি। গত মৌসুমে আসপাস সেল্টার হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ গোল করেছিলেন। ক্যাসেমিরোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়া নিশ্চিত হবার পর এটাই রিয়ালের প্রথম ম্যাচ। বিরতির তিন মিনিট আগে ২৫ মিটার থেকে দূরন্ত শটে রিয়ালকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মদ্রিচ।
বিরতির পর রিয়াল যেন আরো বেশী আগ্রাসী হয়ে ওঠে। ৫৬ মিনিটে মদ্রিচের সহায়তায় ভিনিসিয়াস গোলরক্ষক অগাস্টিন মারশেসিনকে পরাস্ত করলে ব্যবধান আরো বাড়ে। ৬৬ মিনিটে ভিনিসিয়াসের বাড়ানো বলে ভালভার্দে প্রথম প্রচেষ্টায় বল জালে জড়িয়ে রিয়ালের বড় জয় নিশ্চিত করেন। ৮৭ মিনিটে বেনজেমাকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন হুগো মালো। এবার শট নিতে হ্যাজার্ডকে দায়িত্ব দেন বেনজেমরা। যদিও এই বেলজিয়ানের শট আটকাতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি মারশেসিনকে।
আলমেইরার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করেছিল রিয়াল। দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল বেটিস ও ওসাসুনার সাথে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচ শেষে মদ্রিচকে অসাধারণ পারফরমেন্সের জন্য দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাতে ভুল করেনি সেল্টার স্থানীয় সমর্থকরা। কোচ কার্লো আনচেলত্তিও তার প্রশংসা করেছেন, ‘সে আমাদের দলের দুর্দান্ত এক নেতা।
এর আগে দিনের অপর ম্যাচে রিয়াল বেটিস ২-১ গোলে রিয়াল মায়োর্কাকে, ওসাসুনা ২-০ গোলে কাডিজকে পরাজিত করেছে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//