বাংলাদেশ
গ্রেপ্তার হতে পারেন ইমরান, রাস্তায় নামার প্রস্তুতি পিটিআই’র
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে পারে দেশটির পুলিশ। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য গ্রেপ্তার নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এ পরিস্থিতিতে ইমরান খানের সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের রাস্তায় নামতে বলেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতারা।
এর আগে বিচারক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ইসলামাবাদের মারগাল্লা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সাত নম্বর ধারায় ওই এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদের অতিরিক্ত দায়রা জজ জেবা চৌধুরীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে ইসলামাবাদ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আলী জাভেদের অভিযোগে পিটিআই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মামলা দায়ের করা হয়।
ইমরানের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তৃতা এবং সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার জন্য একজন বাসিন্দার কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এফআইআরটি দায়ের করা হয়।
মারগাল্লা পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, পুলিশ ও বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আতঙ্কিত করার জন্য পিটিআই প্রধান ইসলামাবাদের অতিরিক্ত দায়রা জজকে হুমকি দিয়েছেন, যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারে এবং পিটিআই-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকে।
এদিকে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর যেকোনো সময় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিনিয়র পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী একটি টুইটে কর্মীদের ইমরানের বানি গালার বাসভবনে পৌঁছাতে বলেছেন। সেখানে এখনও বহুসংখ্যক পিটিআই কর্মী উপস্থিত রয়েছেন।
টুইটে বলা হয়, ‘(…) কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ বানি গালায় আসবে ইনশাআল্লাহ।’
পিটিআই ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশি মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় পার্টি কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে এবং ইমরানের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে দলের প্রতিবাদের ডাকের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, জোট সরকার দলীয় প্রধানকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করছে বলে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে এবং ইমরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।
একইভাবে, পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিব এবং হাম্মাদ আজহারও ইমরানকে সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের বিষয়ে ‘আমদানিকৃত সরকারের’ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে কর্মীদের ফয়সালাবাদ এবং লাহোরের লিবার্টি চক এলাকায় জড়ো হতে নির্দেশ দেন।
এছাড়া পাকিস্তানের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘ইমরান খানকে আমদানি করা সরকার গ্রেপ্তার করলে আমরা ইসলামাবাদ দখল করব এবং পুলিশের প্রতি আমার বার্তা হলো- এই রাজনৈতিক যুদ্ধের অংশ হবেন না অন্যথায় (আমরা) আপনাকে পিডিএম কর্মী হিসাবে মোকাবিলা করব।’
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ