লাইফস্টাইল
মাইগ্রেনের ব্যথা ভোগাচ্ছে অল্পবয়সিদেরও!
গরম পড়লে মাথাব্যথা, বৃষ্টি নামলে মাথায় যন্ত্রণা, অফিসে জরুরি মিটিং চলছে, দেখবেন হঠাৎ মাথায় ঢিপঢিপ করে ব্যথা শুরু হল। এই মাথাব্যথার সমস্যা যেন একচেটিয়া হয়ে গিয়েছে। আর যেমন-তেমন ব্যথা নয়, এক বার শুরু হলে ব্যথা কমার নামই নেই। একটা পুরো দিন তো বটেই, টানা দুই থেকে তিন দিন ধরে দেখবেন মাথাব্যথা ভোগাচ্ছে। এই ধরনের মাথাব্যথা একটানা চলতে থাকলে চিকিৎসকেরা মাইগ্রেনের ব্যথা কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন। একটা সময় মনে করা হত, বয়স্করাই বুঝি এমন ব্যথায় ভোগেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কমবয়সিদের মধ্যেও মাইগ্রেনের ব্যথা দিন দিন বাড়ছে।
কেন কমবয়সিরা মাইগ্রেনে ভুগছে, তার অনেক কারণও আছে। এখন কাজের চাপ অনেক বেশি, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দৌড়ে বেশি মানসিক চাপও নিয়ে ফেলছেন কমবয়সিরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল, ল্যাপটপে সময় কাটাচ্ছেন। কাজ থেকে বাড়ি ফিরেও চোখ আর মনের বিশ্রাম নেই। তখনও মোবাইলে চ্যাট বা সিনেমা দেখতে ব্যস্ত। একটানা স্ক্রিনের দিকে চোখ আর মনে পাহাড়প্রমাণ চিন্তাভাবনা, মাইগ্রেনের ব্যথাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তার উপর ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস, নেশা তো আছেই।
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী লিসা দীর্ঘ দিন ধরে মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগছিলেন। তিনি বলছেন, আগে ঢাকায় অফিস ছিল। হঠাৎই খুলনায় স্থানান্তরিত হতে হয়। এক দিকে পরিবর্তিত পরিবেশে মানিয়ে নেয়া, অন্য দিকে নতুন অফিসে কাজের চাপ সামলাতে গিয়ে চিন্তাভাবনা অনেক বেড়ে যায়। একটা সময়ে তিনি দেখেন, প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা ভোগাচ্ছে। এই ব্যথা যখন-তখন আসে আর একটানা চলতে থাকে। এক বার যন্ত্রণা শুরু হলে মনে হয় চারপাশটা যেন দুলছে। চোখের সামনেটা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। একটু আলো চোখে পড়লেই মাথা যেন ছিঁড়ে যায়, গা গোলাতে থাকে। কানে কোনও শব্দ নেয়াই যায় না। মাথা যন্ত্রণা কমাতে একটা সময় সিগারেট খাওয়াও শুরু করেছিলেন মোনালিসা। তাতে ব্যথা আরও বাড়ে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত মেডিটেশন করে আর সিগারেট ছেড়ে দিয়ে এখন অনেক ভাল আছেন।
মাইগ্রেন হতে পারে যেসব কারণে-
ব্যস্ত জীবনে সঠিক ডায়েটের অভাব, শরীরচর্চা করেন না অনেকেই, তার উপর সংসার ও পেশা সামলাতে গিয়ে প্রচণ্ড মানসিক চাপ তো আছেই।
মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের তারতম্য। এই হরমোনটি স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের সব ক্রিয়াকলাপে অংশ নেয়া রাসায়নিকের উপর প্রভাব ফেলে। সেখান থেকেই মাইগ্রেনের যন্ত্রণার সূত্রপাত।
কোনও মহিলার পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম থাকলে বা হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে, তার থেকেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।
গর্ভনিরোধক ওষুধ একটানা বেশি খেলেও তার থেকে মাইগ্রেন হতে পারে। এই ধরনের ওষুধ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে দিতে পারে।
জিনগত কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে। পরিবারে কারও থাকলে, সে থেকেও এই ব্যথা চাগাড় দিতে পারে।
সুস্মিতা সদ্য বিয়ে করেছেন। ঘন ঘন গর্ভনিরোধক পিল খাচ্ছিলেন। আর সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। সেই সঙ্গে সিগারেট খাওয়া তো ছিলই। একটা সময়ে গিয়ে দেখেন, প্রচণ্ড মাথাব্যথা ভোগাচ্ছে তাকে। প্রথমে ভেবেছিলেন রোদে ঘুরে মাথাব্যথা। পরে দেখেন, ব্যথাটা যখন-তখন হচ্ছে। আর দীর্ঘ সময় ধরে থাকছে। ভয় পেয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। ভেবেছিলেন ব্রেন টিউমার হয়েছে, পরে ধরা পড়ে মাইগ্রেন। চিকিৎসকও তার জীবনযাপনের ধরন খুঁটিয়ে জেনে ধরতে পারেন ব্যথার কারণ বেশিমাত্রায় গর্ভনিরোধক বড়ি এবং অবশ্যই ধূমপান।
মাইগ্রেন হল ‘নিউরোলজিক্যাল’ রোগ। চিকিৎসকেরা বলেন, মাথার এক দিকেই ব্যথা হয় বেশি। সারাক্ষণ দপদপ করতে থাকে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যথা থাকতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথার অনেক রকম লক্ষণ আছে। সকলের ক্ষেত্রে যদিও এক নয়। আইটি কর্মী মিতালি গত কয়েক মাস যাবৎ মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগছেন। তিনি জানিয়েছেন, অফিসে কাজের ফাঁকে প্রচুর চা ও কফি খেতেন। শুরুতে বোঝেননি। পরে দেখেন, যত বার কফি খাচ্ছেন, মাথায় ব্যথা শুরু হচ্ছে। ব্ল্যাক কফি খেয়েও দেখেছেন ব্যথা কমেনি। মিতালি জানিয়েছেন, যখন মাথায় ব্যথা হত, তখন মনে হত মাথার পিছন দিকে ও ঘাড়েও ব্যথা হচ্ছে। তিনি চোখ খুলে রাখতে পারতেন না। ব্যথা হলেই শুয়ে পড়ার চেষ্টা করতেন। অফিসে থাকলে বিশ্রাম কক্ষে চলে যেতেন আর বাড়িতে থাকলে ঘরের আলো নিভিয়ে দরজা বন্ধ করে চুপচাপ ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে থাকতেন। তাতে কিছুটা আরাম হত। লোকজনের থেকে শুনে মাথাব্যথার ওষুধ খেয়েও সারেনি তার। পরে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে মাইগ্রেনের জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ খেয়ে ও চা-কফি খাওয়া কমিয়ে দিয়ে এখন ভাল আছেন।
মাইগ্রেন যাদের আছে, তাদের সব সময়েই সতর্ক থাকতে হয়। রক্তচাপ যাদের বেশি, তাদের মাইগ্রেনের ব্যথা যখন-তখন বেড়ে যেতে পারে। বেশি চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা শুরু হলে তখন রক্তচাপের হেরফের হয়। সে কারণেও ব্যথা বাড়ে। কখন কোন খাবার থেকে ব্যথা হচ্ছে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। কারও চা-কফি থেকে ব্যথা বাড়ে, কারও সিগারেট বা মদ্যপান করলে ব্যথা বেড়ে যায়। আবার ঠান্ডা নরম পানীয় খেয়ে মাইগ্রেন বেড়েছে, এমনও দেখা গিয়েছে।
হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা যদি মনে ধাক্কা দেয়, তার থেকেও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। মানসিক চাপ যত বাড়বে, ততই ব্যথার প্রকোপ বাড়বে। তাই মন হালকা রাখা আর অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা না করারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
মাইগ্রেনের কোনও চিকিৎসা আছে কি?
মাইগ্রেনের ব্যথা হলে অনেকেই যন্ত্রণা প্রশমনের ওষুধ খান। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যথা পুরোপুরি সারে না। নির্দিষ্ট কিছু ওষুধে ব্যথা কমানো যায় মাত্র। তাড়াতাড়ি রোগ নিরাময় করতে হলে যন্ত্রণার উৎস খুঁজে বার করা প্রয়োজন। প্রচণ্ড রোদ লাগলে, ঘুম কম হলে কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ হলে ব্যথা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। তাই কী কারণে মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। দীর্ঘ দিনের মাথাব্যথাকে গ্যাস-বদহজমের কারণে ব্যথা বা সাইনাসের ব্যথা বলে ফেলে রাখেন অনেকে। পরে দেখা যায় মাইগ্রেন মারাত্মক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। আবার ব্রেন টিউমারের কারণে মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হতে পারে। তারও একটি উপসর্গ হতে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা। তাই মাথা যন্ত্রণা একটানা হতে থাকলে ফেলে না রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
এমন অনেক সুগন্ধি আছে, যা রোগীর যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়। এগুলি সব সময়ে ব্যক্তিভিত্তিক। তাই রোগীকে বুঝতে হবে, কোন খাবারে সমস্যা হচ্ছে, কোন গন্ধে ব্যথা বাড়ছে। তবেই চিকিৎসক সাহায্য করতে পারবেন।
খাদ্যাভ্যাস বদলে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসকেদের পরামর্শ, যাদের মাইগ্রেন রয়েছে, অতিরিক্ত কফি তাদের জন্য ক্ষতিকর। তবে মাইগ্রেনের অনেক ওষুধে কফির উপাদান থাকে। তাই পরিমিত কফি মাইগ্রেনের ব্যথায় উপশম দেয়। চকোলেট, রেড ওয়াইন, ড্রাই ফ্রুটস, চিজ় জাতীয় খাবারও তারা এড়িয়ে চললে ভাল।
অতিরিক্ত মদ্যপান মাইগ্রেন বাড়িয়ে দিতে পারে। সে দিকেও নজর দেয়া জরুরি।
মাইগ্রেনের রোগীরা অনেক সময়ে আলো সহ্য করতে পারেন না। চোখ যেন ঠান্ডা থাকে, সেই জন্য টিন্টেড গ্লাসের চশমা তাদের দেয়া হয়। এতে রোগীর চোখ অনেক আরাম পায়।
কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কারণ হতে পারে। তাই চিকিৎসকের কাছে গেলে, আপনি কী কী ওষুধ খান বা খাচ্ছেন, সেটা বলে নিতে ভুলবেন না।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ