Connect with us

লাইফস্টাইল

জীবনে কখন, কোন পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকাটাই শ্রেয়!

Avatar of author

Published

on

চুপ-থাকা,-লাইফ-স্টাইল

রাগ, দুঃখ, অভিমান, হতাশা। জীবনের বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের অনুভূতিগুলো এতটা তীব্র হয়ে যায়, নিজের স্বাভাবিক বোধশক্তি কাজ করে না। তার ফল হয় আবেগপ্রবণ হয়ে এমন কোনও আচরণ করে ফেলা, পরে যা নিয়ে আফসোসের সীমা থাকে না।

এই যেমন ধরুন, রেগে গিয়ে সন্তানকে মারধর করে ফেললেন, হয়তো সে তেমন কিছু করেইনি। আবার রাগের মাথায় হাতে থাকা গ্লাস ছুড়লেন। সেটা তো ভাঙলই, ভেঙে গেল ঘরের অন্য জিনিসও।

শুধু রাগই বা কেন, বাদানুবাদ, তর্কবিতর্ক। জীবনে অনেক সময় আসে, মুহূর্ত আসে যখন পরিস্থিতি বিচার করে চুপ করে যাওয়াটাই শ্রেয়। কারণ এক বার বাজে কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলে, কাউকে আঘাত দিয়ে কথা বলে ফেললে পরে কিন্তু তা ফেরানো যায় না।

মনস্তত্ত্ববিদরা বলছেন, জীবনে কখনও কখনও পরিস্থিতি বুঝে চুপ করে যাওয়াটাই উচিত।

জেনে নেয়া যাক, কোন সময়গুলোতে চুপ থাকতে হবে-

Advertisement

রাগ

কারও সঙ্গে মনোমালিন্য, কাজ নিয়ে চাপ-সহ নানা কারণে প্রচণ্ড রাগ হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে রাগের বহিঃপ্রকাশ হয় ভয়ঙ্কর। প্রবল চিৎকার-চেঁচামেচি। কেউ রাগের মাথায় চারটে বাজে কথা বলেন। কেউ আবার জিনিস ভাঙাভাঙিও করে ফেলেন। রাগের সময় নিজেকে সংযত করতে চুপ করে যান। কিছুটা সময় কারও সঙ্গে কথা না বলে একা থাকুন। ভাবুন, কী হয়েছে। সেটা পুরোটাই কি অন্যের দোষ? কোনও কথা বলার আগে নিজেকে শান্ত করে সিদ্ধান্ত নিন।

উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়

প্রতি দিনের জীবনে হঠাৎ করেই এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে আচমকা কারও সঙ্গে বাদানুবাদ হয়ে যায়। দু’তরফের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে অনেক সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কথা না বাড়িয়ে চুপ করে যাওয়া বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।

কোনও কিছু না জানলে

Advertisement

সকলেই যে সমস্ত কিছু জানবেন এমনটা নয়। অনেক সময় অনেকে বলেন এই বিষয়টা জানেন না, তা হলে জানেন কী! না জেনে কথা বলবেন না। এই জাতীয় কথা শুনে যে কেউ রেগে যাবেন আরও পাঁচটা কথা বলবেন, সেটাই হয়। তবে এই সমস্ত ক্ষেত্রে কটাক্ষকে পাত্তা না দিয়ে স্পষ্ট ভাবেই বলতে পারেন বিষয়টা যখন বিশদে জানা নেই, তাই কথা বাড়াতে চান না। চুপ করে যাওয়াটা শ্রেয় সে ক্ষেত্রে।

সমালোচনা

জীবনে প্রত্যেক মানুষকেই হয়তো কখনও না কখনও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তার ফল, চট করে মাথা গরম হয়ে যাওয়া। রাগের মাথায় অন্যদের আরও কয়েকটা কথা বলা। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে, এতে আদৌ কি সমালোচনা থামবে? তার চেয়ে বরং সেই মুহূর্তে অন্যের কথায় পাত্তা না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়া, চুপ করে যাওয়া ভাল।

নিশ্চুপে সান্ত্বনা

জীবনে কাছের মানুষকে হারানোর দুঃখ প্রবল হয়। সেই আঘাত এক এক মানুষের ওপর এক এক রকম ভাবে পড়ে। সেই মানুষটিকে কী ভাবে সান্ত্বনা দেয়া যায় বোঝা যায় না অনেক সময়। তবে কখনও কখনও, কথা না বলেও সেই মানুষটির পাশে থাকা যায়। তাকে যত্ন করা যায়। আগলে রাখা যায়। সেই মানুষটি নিজেই যাতে কষ্টের কথা বলতে পারে সেই সুযোগ দেওয়া যায়।

Advertisement

দামাদামি বা দাবি আদায়

অফিসে বেতন বৃদ্ধি হোক বা গাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা। এ নিয়ে বেশি কথা বলার বদলে কখনও কখনও এক অথবা দু’বার চুপ হয়ে যাওয়া কিন্তু ফলপ্রসূ হতে পারে। গাড়ির দাম হয়তো আপনাকে যা বলছে আপনার মনে হচ্ছে কম হতে পারে। আপনি আপনার দামটা বলে চুপ করে যেতে পারেন। কেনার ব্যাপারে উৎসাহ কম দেখাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় আপনার এই চুপ হয়ে যাওয়া কাজে আসতে পারে।

এ ছাড়াও বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেও চুপ করে ভাবা দরকার। আবেগের বশে নেয়া সিদ্ধান্ত ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

Advertisement

পরামর্শ

মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়

Published

on

খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।

মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।

১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।

২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।

৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।

Advertisement

৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।

৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে

Published

on

এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।  বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।

সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই?  এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।

আসুন জেনে নেই তাহলে –

১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।

২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।

Advertisement

৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।

পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।

৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।

৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।

৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।

Advertisement

জেডএস//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি

Published

on

প্রতিকী ছবি

আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।

উপকরণ

ঘন দুধ- ১ কাপ

চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )

আম- ২টি

Advertisement

ডিম- ২টি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী

১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।

২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।

Advertisement

৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।

৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।

৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।

৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।

Advertisement

ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it