লাইফস্টাইল
ছোট চোখ বড় দেখানোর মেকআপ টিপস ও ট্রিকস
আসছে ঈদে কী ভাবে মেকাপ করবেন নিশ্চয় তা নিয়ে ভাবছেন! তবে চোখ দু’টি যদি সুন্দর করে সাজানো হয় তাহলে নজর কাড়ে সবারই। চোখের শেইপ বা আকার যেমনই হোক না কেন, কিছু মেকআপ ট্রিকস ফলো করলে মনের মতো আইলুক ক্রিয়েট করা সম্ভব। যাদের চোখ একটু ছোট, তারা স্বাভাবিকভাবেই একটু কনফিউজড থাকেন যে কীভাবে মেকআপ করলে চোখ বড় দেখাবে। ছোট চোখ বড় দেখানোর জন্য কিছু টিপস ও ট্রিকস জেনে নিন আজ।
আই মেকআপ টিপস ও ট্রিকস
মেকআপের কাজই হচ্ছে ফেইসের বেস্ট ফিচারকে ফুটিয়ে তোলা আর ছোটোখাটো খুঁতগুলোকে কভার করা। যাদের চোখের আকৃতি তুলনামূলক ছোট, তারা আই মেকআপের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে ইজিলি চোখ বড় দেখাতে পারবেন। চলুন তাহলে এখনই জেনে নেই কয়েকটি সহজ কৌশল যা আপনাকে দিবে পারফেক্ট আইলুক।
১) কনসিলার ইউজ করুন
চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল ও পাফিনেস থাকলে খুব স্বাভাবিকভাবেই চোখ ছোট দেখায়। তাই মেকআপের আগে আই এরিয়াতে কনসিলার ইউজ করতে ভুলবেন না। কনসিলারের শেইড হতে হবে ফাউন্ডেশনের শেইডের থেকে এক শেইড হালকা। আইলিডেও কনসিলার দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড নিন, এতে আই মেকআপ লুক সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে এবং চোখ বড় দেখাবে। কনসিলার অ্যাপ্লাইয়ের আগে অনেকে অরেঞ্জ কালার কারেক্টর ইউজ করেন। এতে বেশ ভালোভাবেই আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল হাইড হয়।
২) ফেইস শেইপ অনুযায়ী আইব্রো ড্র করুন
পারফেক্ট আইব্রো আপনার আই মেকআপ লুককে কমপ্লিট করে। পারফেক্ট শেইপের আইব্রো-এর মাধ্যমে মেকআপ লুকে ডিফারেন্স আনা সম্ভব। রাউন্ড ফেইসে গোল আকারের ভ্রু একদমই মানায় না! রাউন্ড ফেইসের জন্য ভার্টিক্যাল অর্থাৎ উলম্ব করে আইব্রো শেইপ করে নিন। স্কয়ার শেইপের ফেইসে ভ্রুর কোণা শার্প ও চিকন রাখতে পারেন। এখন থিক আইব্রো বেশ ট্রেন্ডি। আই মেকআপ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে হলে আইব্রো-এর শেইপের দিকে নজর দিতে হবে এবং সুন্দরভাবে ড্র করতে হবে।
৩) ন্যাচারাল শেইডের আইশ্যাডো চুজ করুন
ছোট চোখ বড় দেখানোর জন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে নিউট্রাল ও ন্যাচারাল শেইডের আইশ্যাডো। হালকা রঙে রিফ্লেকশন বেশি হয়, তাই চোখ তুলনামূলক বড় দেখায়। যেকোনো ব্রাউন ন্যুড আইশ্যাডো দিয়ে ক্রিজ এরিয়া ডিফাইন করে নিতে হবে প্রথমে। এতে ক্রিজ লাইনে শেডিং তৈরি হবে যা আপনার আই শেইপ বড় দেখাতে হেল্প করবে। খুব বেশি কালারফুল আই মেকআপ এড়িয়ে চলবেন। কারণ ডার্ক আইশ্যাডো বেশি পরিমাণে ইউজ করলে চোখ আরও ছোট দেখাবে।
৪) ন্যুড বা হোয়াইট কাজল বেছে নিন
ছোট চোখ বড় দেখানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে ন্যুড বা হোয়াইট কালারের কাজল। সাদা কাজলে আই এরিয়ার উজ্জ্বলতা বাড়ে আর ন্যুড কাজলে চোখের শেইপ বড় লাগে। একটু গর্জিয়াস লুক পেতে চাইলে চোখের লোয়ার ল্যাশ লাইনে ডার্ক কালারের আইশ্যাডো দিয়ে একটু স্ম্যাজ করে নিন। হোয়াইট বা ন্যুড কাজলের সাথে এটি বেশ ভালো লাগবে এবং চোখ বড়ও দেখাবে। পুরো চোখে ব্ল্যাক কাজল মোটা করে অ্যাপ্লাই করলে চোখ কিন্তু আরও ছোট দেখাবে।
৫) আইলুকে আনুন ভ্যারিয়েশন
বেশি ডার্ক আই মেকআপ ছোট চোখে তেমন একটা মানায় না, কিন্তু স্মোকি আই মেকআপের মাধ্যমে চোখ বড় দেখাতে পারবেন সহজেই। এজন্য চোখের ইনার ও আউটার পার্টে ডার্ক আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করে আইলিডের মাঝ বরাবর লাইট গ্লিটারি আইশ্যাডো লাগিয়ে নিবেন। দেখতে বেশ ভালো লাগবে। অনেকে ন্যুড বা ন্যাচারাল আই মেকআপ পছন্দ করেন। ন্যাচারাল আইলুকের সাথে ব্ল্যাক আইলাইনারের বদলে ট্রাই করতে পারেন কালারফুল আইলাইনার। এতেও কিন্তু মেকআপ লুকে আসবে নতুনত্ব।
৬) ট্রাই করুন উইংড আইলাইনার
ছোট চোখে মোটা করে আইলাইনার অ্যাপ্লাই করলে সেটা মানানসই হবে না। চোখে টেনে আইলাইনার দিলে মনে হবে যে চোখ বেশ বড়। চিকন করেই উইংড আইলাইনার ড্র করতে হবে। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন। সেই সাথে চোখের ইনার সাইডে হালকা বা উজ্জ্বল কালারের শিমার বা হাইলাইটার ইউজ করুন। এতে মেকআপ ভালোভাবে ফুটে উঠবে।
৭) মাশকারা অ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না
আইলুককে কমপ্লিট করতে মাশকারা অ্যাপ্লাই করা কিন্তু মাস্ট। এক কোট মাশকারা ব্যবহারের পর কিছুটা সময় অপেক্ষা করুন। এরপর দ্বিতীয় কোট মাশকারা দিয়ে আইল্যাশে ভলিউম বা ঘনত্ব বাড়াতে পারেন। চাইলে ফেইক আইল্যাশ ইউজ করতে পারেন। এতে মেকআপ লুকে গর্জিয়াস ভাইব আসবে নিমিষেই।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ