লাইফস্টাইল
সামান্য মনোমালিন্য যেন না হয় সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ
শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটি হতে পারে ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবী এমন কি অফিসে কলিগদের সাথেও। একটু পর পরিস্থিতি শান্ত হলে মনে হয়, ‘এই যাহ্! কী বলে ফেললাম, এখন কী হবে!’ বার বার সরি বলার পর বিপরীত মানুষটা সবকিছু স্বাভাবিক আছে বললেও কিছু কথা হয়তো তার মনে গেঁথে যেতে পারে সারা জীবনের জন্য। বার বার বোঝানোর চেষ্টা করলেও সেই সম্পর্ক আর আগের মতো সুন্দর করে তোলা যায় না।
ছোটখাটো এমন ব্যাপারগুলো অনেক সময় জমে জমে খুব বড় সমস্যার সৃষ্টি করে আর রূপ নেয় ছাড়াছাড়ি বা বিচ্ছেদের মতো অবস্থার। তাই সমস্যা যতই জটিল হোক খেয়াল রাখতে হবে, মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটি যেন না হয় আপনার সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ। কিন্তু কীভাবে? আজকে জেনে নিবো এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।
১) ‘আমিই ঠিক’ এমন ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির সময় আমরা অপরপক্ষের কোনো কথাই শুনতে বা বুঝতে চাই না। দুই পক্ষের মধ্যেই যদি এমন ভাবনা থাকে ‘আমিই ঠিক’ তাহলে কথায় কথায় শুধু কথা কাটাকাটি ও ঝগড়াঝাঁটি বাড়বে। এমন সময় আপনি ঠিক হলেও অপরপক্ষের সাথে যুক্তি খন্ডনে না যেয়ে তাকে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত সময় দিন। অপরপক্ষও কোন কারণে কথাটি বলছে তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তার কথা আপনি বোঝার চেষ্টা করছেন এমন পরিবেশ তৈরি করুন। এরপর ধীরে ধীরে আপনার জায়গাটাও তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। তবে এক্ষেত্রে ‘তোমাকেই বুঝতেই হবে, আমি অনেক ধৈর্য ধরে আছি’ এমন মনমানসিকতা রাখা যাবে না।
২) দুর্বলতা নিয়ে কটূক্তি করা যাবে না
আমরা কেউই পারফেক্ট নই। জীবনে চলার পথে কমবেশি আমরা সবাই ভালো খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছি। মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির কারণে সুন্দর সম্পর্ক মুহূর্তেই ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু খুব কম মানুষই হাজার সমস্যার মধ্যেও সম্পর্ক সুন্দর রাখতে পারে। দুইজন মানুষের সম্পর্কের গভীরতার উপর নির্ভর করে একজন অপরজনকে অনেক কিছুই শেয়ার করতে পারে। যা হয়তো স্বাভাবিকভাবে যে কাউকে শেয়ার করা যায় না।
আমাদের জীবনের অতীত বা নেতিবাচক পারিপার্শ্বিক অবস্থা দিয়ে আমাদের বর্তমান বিচার করা যায় না। তাই খুব খারাপ সময়েও শুধুমাত্র তর্কে জিততে হবে এমন ভেবে কেউ কারো দুর্বলতা নিয়ে কটূক্তি করা যাবে না। এতে ওই নির্দিষ্ট সময়ে হয়তো তর্কে জেতা যায়, কিন্তু সম্পর্কটা আর আগের মতো সুন্দর নাও থাকতে পারে।
৩) নিজেদের তর্কে তৃতীয় ব্যক্তিকে জড়ানো যাবে না
নিজেদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে যায়। কিন্তু কথা কাটাকাটির মাঝে অপর কোনো তৃতীয় ব্যক্তিকে জড়ানো আমাদের অনেকেরই একটা বাজে স্বভাব। চিন্তা করে দেখুন তো, বাবা মায়ের কাছে আমরা ছোট থেকে বড় হতে হতে কত ভুল করেছি! এখন যদি তারা কথায় কথায় পরিবারের বাইরের মানুষজনকে আমাদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে কথা বলে বা কটূক্তি করে তাহলে কি আমাদের ভালো লাগবে? মোটেও না!
তেমনই দুইটা মানুষের মাঝে সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, কেউ কখনোই চাইবে না এই বিষয়গুলো নিয়ে তৃতীয় ব্যক্তিকে জড়ানো হোক! এতে দুটো মানুষের মধ্যে দিন শেষে সমঝোতা হয়ে গেলেও তৃতীয় ব্যক্তির মাথায় অনেক অপ্রাসঙ্গিক ও ভুল ধারণা থেকে যায়। এতে সেই ব্যক্তিটির সাথেও এক ধরণের অস্বস্তিকর বা অস্বাভাবিক সিচ্যুয়েশনের সৃষ্টি হয়। তাই নিজেদের কথা কাটাকাটির সময় যতটা সম্ভব তৃতীয় ব্যক্তিকে না জড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
৪) কথায় কথায় ছেড়ে যাওয়ার ভয় দেখানো যাবে না
খুব ছোটখাটো ঝগড়ার সময় অথবা শুধুমাত্র তর্কে জিতে যাওয়ার জন্য আমরা অনেকেই ছেড়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে আনন্দ পাই! অপরপক্ষের মানুষটা চুপ করে সহ্য করে যাওয়ায় আপনি হয়তো ভাবছেন তর্কে জিতে গেলেন এবারও! কিন্তু আপনি যে কাজটি করলেন সেটি সবচেয়ে বড় ভুল এবং এক অর্থে বোকামি! এভাবে একে অপরের প্রতি এক ধরণের দূরত্ব সৃষ্টি হয়!
ইংরেজিতে ‘Taken For Granted’ বলে একটা কথা আছে। সম্পর্কে যখন একজন আরেকজন কে পেয়ে বসে আর ভাবে, ‘ও তো থাকবেই, ও তো করবেই’ – তখনই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত এক্সপেক্টেশনের কারণে সম্পর্ক সুন্দর থেকে অসুন্দরের দিকে চলে যায়। ধীরে ধীরে সম্পর্ক থেকে মন উঠে যেতে থাকে।
৫) দুইজন একই সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করা যাবে না
ধরুন আপনার কাজের প্রচন্ড প্রেশার! এর মাঝেই আপনার কোনো সিনিয়র আপনাকে একটা কাজ দিয়ে গেলো। প্রতিটা কাজই আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বুঝেই উঠতে পারছেন না কোনটা রেখে কোনটা করবেন। এর মাঝে সিনিয়র আবার এসে খুব রাগ নিয়ে আপনাকে কাজটা এখনই করে দিতে বললো! আপনিও নিতে না পেরে চেঁচামেচি শুরু করলেন। সিনিয়র আরও জোড়ে জোড়ে রাগ করে কথা বলা শুরু করলো! এতে কী হবে শেষ পর্যন্ত একবার ভেবে দেখুন তো? কলিগদের মধ্যে সম্পর্কে নেগেটিভিটি আর কলহ বেড়ে যাবে। কাজ করার পরিবেশ থাকবে না। মানসিক অশান্তি বেড়ে যাবে।
রাগারাগির এমন সিচ্যুয়েশনে একজনও যদি মাথা ঠান্ডা রেখে আরেকজনের জায়গাটা বুঝে কথা বলা বা শোনার চেষ্টা করতো তাহলে কিন্তু শুরুতে এই সমস্যাগুলোই হতো না! তাই অবশ্যই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুইজন একই সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করা যাবে না! যে কোনো একজনকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে।
৬) লজিক্যাল কথাগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বুঝিয়ে বলুন
যখন আমরা রাগ করে থাকি তখন স্বাভাবিকভাবেই চাই আরেকজন আমার জায়গাটা বুঝবে। ধরুন, আপনি আমার উপর কিছু নিয়ে খুব রাগ করে আছেন। আপনার জায়গাটা আমি শুনতে বা বুঝতেই চাচ্ছি না। কিন্তু চাচ্ছি আপনি আমার কথা শুনবেনই। এক পর্যায়ে আমি আপনাকে লজিক দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি। এমন সময় আমি ঠিক কথা বললেও আপনার কাছে তা শুনতে ভালো নাও লাগতে পারে। ইচ্ছাকৃতভাবে আপনি আমার সাথে আরও বাজে ব্যবহার করতে পারেন। তাই আমার জায়গা থেকে আমি ঠিক হলেও পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত সময় নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। দুইজনকেই এক্ষেত্রে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।
৭) ঝগড়াকালীন চিন্তার বাইরে যেয়ে লং টার্ম চিন্তা করতে হবে
ঝগড়াকালীন সময়ে কমবেশি আমরা সবাই যে ভুলটি করি তা হলো, ভবিষ্যতের কথা একেবারেই চিন্তা করি না! ঝগড়াঝাঁটি বা মনোমালিন্য কিন্তু সবচেয়ে বেশি আমাদের কাছের মানুষদের সাথেই হয়। বাবা-মার সাথে ঝগড়া করে একটু পর তা ঠিকও হয়ে যায়। একইভাবে ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী বা অফিসে কারো সাথে ঝগড়াঝাঁটি হলেও দিনশেষে আমাদের কিন্তু এই মানুষগুলোকে নিয়েই থাকতে হয়। কিন্তু মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির সময় রাগের বশে বলে দেয়া একটি কথা কিন্তু সারাজীবনের জন্য অপর মানুষটার মনে দাগ কেটে দিতে পারে। তাই ভবিষ্যতে আফসোস না করে ঝগড়াকালীন চিন্তার বাইরে যেয়ে লং টার্ম চিন্তা করতে হবে।
৮) অগোছালো কথা না বলে নির্দিষ্ট সমস্যা নিয়ে কথা বলুন
ধরুন, অফিসের কোনো কলিগের সাথে আপনার ঝামেলা হলো। আপনি তার সাথে মিলে একটা কাজ করছেন। আপনার কাজ আপনি ঠিকঠাকভাবে করে দিয়েছেন কিন্তু কলিগ তার কাজটুকু ঠিক মতো না করেই সাবমিট করে দিলো! তার জন্য আপনাকে সবার সামনে বকা খেতে হলো। এমন সময় আপনি কী করবেন? কলিগের ভুলটি ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলবেন নাকি সবার সামনে তাকে ইচ্ছেমত বকাঝকা করবেন? সাথে পুরনো আরও কিছু কথা টেনে নিয়ে আসবেন?
যদি আপনি শর্ট টেম্পারড হন এবং বকাঝকা করবেন এমনটি ভেবে থাকেন তবে অবশ্যই আপনার সেলফ ডেভেলপমেন্ট বা ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স এর উপর আরও কাজ করতে হবে। কোনো একটা নেতিবাচক সময়ে ইমোশনালি ফ্রাস্ট্রেটেড না হয়ে, অগোছালো কথা না বলে, নির্দিষ্ট যে বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলুন এবং সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করুন।
৯) মনোমালিন্য শেষে সমাধানে আসার মাইন্ড সেট থাকতে হবে
‘আমাকে তুমি এটা বলবে কেন? তোমাকে কেন আমার বলতে হবে? আমার যেভাবে ভালো লাগে আমি করবো, চলবো!’ কথাগুলো কি খুব পরিচিত লাগছে? মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির সময় যা হয়েছে তা ওই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকতে দিন। আমাদের দাদি-নানিরা একটা কথা প্রায়ই বলতেন, ‘অনেকগুলো ঘটিবাটি একসাথে থাকলে টুকটাক শব্দ তো হবেই’। তেমনই একসাথে চলতে গেলে যে কোনো সম্পর্কেই একটু মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটিও হবেই। কিন্তু তা ধরে মনে নিয়ে বসে থাকাটা বোকামি। দুই পক্ষেরই মনোমালিন্য শেষে সমাধানে আসার মাইন্ড সেট থাকতে হবে।
কথায় আছে ‘সম্পর্ক যে কেউ ভেঙে ফেলতে পারে, তবে খুব কম মানুষই সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে এবং ধরে রাখতে পারে।’ আমাদের জীবনটা খুব ছোট হলেও এর জার্নিটা সুন্দর করে তোলার দায়িত্বটাও আমাদের। মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির সময় এমন ছোট ছোট বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে পারলেই কিন্তু আমাদের সম্পর্কগুলোও সুন্দরভাবে টিকে থাকতে পারে। সেই সাথে যে কোনো বাজে পরিস্থিতিতে একে অন্যকে দোষ না দিয়ে সময় দিতে হবে এবং অবশ্যই আরেকজনের জায়গাটা বুঝতে হবে এবং বুঝিয়ে বলতে হবে।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ