বলিউড
‘বাবা চান না আমি বিয়ে করি’, বিস্ফোরক মন্তব্য সোনাক্ষীর
বি-টাউনে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবালের বিয়ের খবর। তাদের দুজনের বিয়ের স্পেশাল অডিও কার্ড ভাইরাল হয়েছে। এরইমধ্যে অন্যান্য তারকারা হবু দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে দিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে ২৩ জুন সোনাক্ষী-জাহিরের চার হাত এক হবে। বলিউডের ডাকসাইটে অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার একমাত্র মেয়ে সোনাক্ষী। তাঁর নয়নের মণি। তবে শত্রুঘ্ন সিন্হা নাকি মেয়ের বিয়েই দিতে চান না। তাঁর হাতে পুরো বিষয়টা থাকলে নাকি কখনও সোনাক্ষীর বিয়েই দিতেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা।
আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমসসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সাক্ষাৎকারে বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে তার পরিবার কী ভাবছে এমন প্রশ্ন করা হয় সোনাক্ষীকে। জবাবে বলিউড অভিনেত্রী জানান, বাবার হাতে বিষয়টা থাকলে তিনি কোনও দিনই তাঁর বিয়ে দেবেন না। আসলে বাবা হিসেবে তিনি চাইতেন, মেয়ে যত দিন বাড়িতে থাকেন, ততই ভাল। তাই সোনাক্ষীর বিয়ে নিয়ে আদৌ মাথা ঘামাতেন না তিনি। মাঝেমধ্যে অভিনেত্রীর মা বিয়ের কথা বলতেন। কিন্তু সোনাক্ষী কবে বিয়ে করছেন, এ জাতীয় প্রশ্ন কখনওই করতেন না শত্রুঘ্ন সিনহা।
২০২১ সালে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী নিজেই হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘বাবা চান না, আমি কোনও দিন বিয়ে করি। মা মাঝে মধ্যে বলেন আমার বিয়ের কথা। বলেন যে, এ বার আমার বিয়ে করা উচিত। কিন্তু আমি এমন ভাবে তাকাই, মা আর কিছু বলেন না।বলেন, আচ্ছা ঠিক আছে।’
এর পরই আবার সোনাক্ষী বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি খুবই লাকি যে ওনারা আমাকে এতটা স্বাধীনতা দিয়েছেন। যতক্ষণ না আমি চাইব, তাঁরা কখনও বলবেন না যে বিয়ে করে নাও। আমি এখন নিজের কাজ নিয়েই খুশি।”
এর আগে বিয়ের ব্যাপারে সোনাক্ষীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলতেন কাজ নিয়েই থাকতে ভালবাসেন। তাই বিয়ের কথা ভাবছেন না। তাঁর বাবা-মাও বিয়ে নিয়ে তাঁকে কখনও জোর করেননি। বরং কাজ নিয়ে ভাল আছেন দেখে তাঁরা খুশিই ছিলেন।
তবে সিদ্ধান্ত পালটাতে বেশি সময় নেননি ‘দাবাং’ কন্যা সোনাক্ষী। কপিল শর্মার একটি শোতে হাজির হয়ে বলেছিলেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করতে চান। এর পরই ২৩ তারিখের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। হানি সিং, পুনম ধিল্লোঁ, ডেইজি শাহরা বিয়েতে যাবেন বলেও তিনি জানিয়ে দেন।
তবে বলিউডে জোর গুঞ্জন চলছে, শত্রুঘ্ন সিনহা নাকি মেয়ের বিয়েতে খুশি নন। যদিও অভিনেতা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বিয়ের খবরে আমি সিলমোহরও দিচ্ছি না আবার উড়িয়েও দিচ্ছি না। সময়ই এর জবাব দেবে। ও (সোনাক্ষী) যেটাই করবে আমার আশীর্বাদ সবসময় পাবে।’
বলিউডের বর্ষীয়ান এই অভিনেতা মেয়ের প্রতিভা নিয়ে গর্ব করে বলেন, ‘সোনাক্ষী আমার নয়নের মণি। আমার একমাত্র মেয়ে আর খুব কাছের। আমার ওকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই। কারণ, ‘লুটেরা’, ‘দাহাড়’ থেকে ‘হীরামাণ্ডি’ পর্যন্ত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকবার ও নিজেকে আরও ভালো অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছে।’
বিয়ের প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন বলেছিলেন, ‘‘মেয়ে বিয়ে করলে তার প্রতি আমার আশীর্বাদ থাকবে। ওর সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, আমার সম্মতি থাকবে। নিজে মনের মতো সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার ওর আছে। ওর বিয়েতে আমি সবচেয়ে খুশি হব বাবা হিসেবে। একটাই তো মেয়ে আমার!’’
প্রসঙ্গত, অভিনেতা জ়াহির ইকবালের সঙ্গে ৭ বছর ধরে সম্পর্কে আছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী।আসছে ২৩ জুন বিয়ে করছেন তারা। বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির রেস্তরাঁয় বসবে বিয়ের আসর।
এমআর//
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/