আওয়ামী লীগ
ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি, হয়েছে সমঝোতা স্মারক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি, হয়েছে সমঝোতা স্মারক। বিএনপি নেতারা মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
শনিবার (২৯ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনার তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেছেন। ভারতের সঙ্গে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, কিছু সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে। কোনো চুক্তি কিন্তু স্বাক্ষরিত হয়নি। বিএনপি নেতারা হরহামেশা বলে যাচ্ছেন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিএনপি নেতারা তো শিক্ষিত। শিক্ষিত মানুষ কেন অশিক্ষিতের মতো কথা বলে যাচ্ছেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।
প্রতিটি সমঝোতা স্মারক দেশের মানুষের স্বার্থে করা হচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব না কি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, মঈনখান তিনিও শিক্ষিত। আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষিত মানুষ কেন অশিক্ষিতের মতো কথা বলছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকের মধ্যে তারা পার্থক্য বুঝতে পারছেন না সেটা আমার বোধগম্য নয়। সমস্ত সমঝোতা স্মারক দেশের স্বার্থে করা হয়েছে। আমরা কানেকটিভিটি বাড়াতে চাচ্ছি। কানেকটিভিটি বাড়ানোর জন্য ঢাকা-কলকাতা ট্রেন চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনা কলকাতা ট্রেন চালু হয়েছে। দিনাজপুর শিলিগুড়ি ট্রেন চালু হয়েছে। আখাউড়া দিয়ে ট্রেন চালু হওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ভারতের ভূমির ওপর দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। ভুটানের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা চলছে। কানেকটিভিটি আমরা আরও বাড়াতে চায়। সেই কানেকটিভিটির সঙ্গে আমরা নেপাল এবং ভুটানকেও যুক্ত করতে চাই। এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বার্থে এটি আমরা করতে চায়।
বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হলে বাংলাদেশের সমস্ত গোপনীয়তা আউট হয়ে যাবে তারা কানেকটিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়। যেমন নেত্রী তেমন তার সভাসদ। এজন্যই তারা এসমস্ত আবোল তাবোল কথা বলছেন আর বিভ্রন্তি ছড়াচ্ছেন। আবার কোন কোন পীর সাহেবও দেখি লাফাচ্ছেন। গাজায় যে এভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, প্রায় ৩৮ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে তো মিছিল নিয়ে লাফাতে দেখি না। বিএনপি-জামায়াত একটি শব্দও বলেনি। তারা এখন জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মনে আছে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর বলেছিল ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। এরপর বেগম খালেদা জিয়া তো ফেনী থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাহলে তিনি কি ভারত থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন? এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো কখনো কাম্য নয়।
জেলা আ.লীগের সভাপতি এম এ সালাম সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, জেলা আ.লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ জেলা আ.লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।
এ/সি
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/