রাজশাহী
পাবনার ঈশ্বরদীতে এক মাসে ৭ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদীতে গেলো এক মাসে হত্যা, অত্নাহত্যা, নদীতে ডুবে ও সাপের কামড়ে মৃত্যু, ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু এবং ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুসহ ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গেলো ২ জুন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইপিজেড এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে রিনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ খুন হন। এদিন সকাল সোয়া ৭ টার দিকে ঈশ্বরদী-পাকশী আঞ্চলিক সড়কের পাকশী ইপিজেড মোড়ের সামনে পাঁকা রাস্তায় ওপরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাষণ্ড স্বামী মিলন মিয়াঁকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে নিখোঁজের সাত দিন পর গেলো ২৩ জুন ঈশ্বরদী শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে তপু হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২২ জুন সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনে মশুরিয়াপাড়ার অরণ্য ছাত্রাবাসের তিনতলার ৩০৫নং কক্ষে তপুর মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। নিহত তপু ঐ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
এর আগে (৮ জুন) শনিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডে অবস্থিত জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় জিমু খাতুন (১৯) নামের এক মায়ের প্রসবকালে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করেন স্বজনেরা। জিমু খাতুন লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী। এই বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জিমুর স্বামী সাইদুর রহমান।
অপর একটি ঘটনায় গেলো ১৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোরবানির গরু বাড়িতে আনতে গিয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে আবু হোসেন সরদার কালু (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। উপজেলার আরামবাড়িয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হোসেন উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
গেলো ২৭ জুন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত (১৭) এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এদিন সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী শহরের লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানার সামনে খুলনাগামী আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গেলো ৩১ মে কলাবাগানে কাজ করার সময় বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে হাফিজুর রহমান (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এদিন নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। হাফিজুর রহমান উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা গ্রামের আফসার হোসেন খানের ছেলে।
এ ছাড়া গেলো ৩১ মে সুমনা খাতুন (১৯) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমনা খাতুন মহাদেবপুর গ্রামের মো. সম্রাট হোসেনের স্ত্রী ও পৌর শহরের ইস্তা এলাকার সুজন হোসেনের মেয়ে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ