বাংলাদেশ
সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় সুরেশ রায়নার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক আগেই। ভারতীয় বাঁহাতি ব্যাটার সুরেশ রায়না এবার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও অবসর নিলেন। বিসিসিআই ও উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে এরই মধ্যে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন রায়না।
আজ (৬ সেপ্টেম্বর) টুইটারে এক বিবৃতি দিয়ে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন। আইপিএল থেকেও অবসর নিলেন ৩৫ বছর বয়সী রায়না।
অবসর নিয়ে টুইটারে রায়না লিখেছেন, ভারতীয় জাতীয় দল এবং রাজ্য দলের (উত্তর প্রদেশ) হয়ে খেলা আমার জন্য অনেক সম্মানের ছিল। আমি সব ধরনের ক্রিকেট (ঘরোয়া লিগ এবং আইপিএল) থেকে এখন অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। যদিও আমি আরও দুই তিন বছর ক্রিকেট খেলাটা উপভোগ করতে চাই। আমি বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজীব শুক্লা স্যার এবং আমার সব ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই।
আইপিএল এবং ঘরোয়া লিগে না খেলা রায়না এখন থেকে চাইলে রোডসেফটি লিজেন্ডস লিগে খেলতে পারবে। এছাড়াও ভারতের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও চাইলে অংশ নিতে পারবে। ইতোমধ্যে লিজেন্ডস লিগে খেলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন রায়না।
এই ক্রিকেটার উত্তর প্রদেশ থেকে অনাপত্তিপত্রও গ্রহণ করেছে। বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিভ শুক্লাকেও লিজেন্ডস লিগে খেলার বিষয়ে জানিয়েছেন রায়না।
তিনি বলেন, আমি রোড সেফটি সিরিজ খেলবো। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং দুবাইয়ের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে, আমি শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিব।
২০২০ সালের ১৫ আগস্ট হুট করেই মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়না। এরপরে অবশ্য আইপিএলে খেলা চালিয়ে গিয়েছিলেন এই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। ৩৫ বছর বয়সী রায়না সর্বশেষ ২০২১ সালের অক্টোবরে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণির ম্যাচে খেলেননি। তিনি ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
ভারতের হয়ে ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন রায়না। আর উত্তর প্রদেশের হয়ে ২০০২-০৩ সালে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। তিনি ১০৯টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৬৮৭১ রান করেন এবং ৪১ উইকেট নেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর এই ফরম্যাটে তিনি ৩০২টি ম্যাচ খেলেন। ৮০৭৮ রান করেন এবং ৬৪ উইকেট নেন। ২০০৫ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রায়না ৩৩৬টি ম্যাচ খেলে ৮৬৫৪ রান এবং ৫৪ উইকেট নেন। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। ২০১০, ২০১১, ২০১৮ এবং ২০২১ সালে চেন্নাইয়ের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে আইপিএলে চেন্নাই নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি গুজরাট লায়ন্সের নেতৃত্ব দেন।
রায়না প্রজন্মের সেরা ফিল্ডারদের একজন। রায়না এই ফরম্যাটে প্রতিটিতে ১০০টিরও বেশি ক্যাচ নিয়েছেন।
রায়না ২০১৮ সালের পর থেকে প্রথম শ্রেণি বা লিস্ট এ ক্রিকেটে কোনো ম্যাচ খেলেননি। সর্বশেষ ২০২১ সালের আইপিএলে খেলেছেন। তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম প্রধান ক্রিকেটার ছিলেন। দলটির হয়ে ১১ আসরে চার শিরোপা জিতেছেন। দলটির হয়ে ১৭৬ ম্যাচে ৪৬৮৭ রান করেছেন রায়না।
সর্বশেষ আইপিএলের নিলামে অবশ্য দলটি এই ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিয়েছে। রায়না জাতীয় দলের জার্সিতে ৩২২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে সাত হাজার রানের পাশাপাশি ৬২ উইকেট শিকার করেছেন।
বিআ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ