Connect with us

বাংলাদেশ

সঠিক ব্যবহার না জানলে ফেসবুক ক্ষতিকর : জাকারবার্গ

Published

on

আপনি যদি শুধু এখানে বসে থাকেন আর যা দেখানো হবে, তাই গলাধঃকরণ করেন, তাহলে তো হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যখন সত্যিই যোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত হয়, তখনই এর সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার হয় বলে মনে করেন এই বিলিয়নিয়ার জাকারবার্গ। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ দিনের অধিকাংশ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ব্যয় করেন। কিন্তু না, সাধারণ মানুষ যেভাবে স্ক্রল করতে করতে সময় অপচয় করেন, জাকারবার্গ তা করেন না। ইনস্টাগ্রাম রিল দেখতে দেখতে দিন পার করে দেন না কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা-ই কন্টেন্ট আসে, তাতেই মগ্ন হয়ে যান না তিনি।

কারণ জাকারবার্গ মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যখন আক্ষরিক অর্থেই যোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত হয়, তখনই এর সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার হয়। সম্প্রতি জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স পডকাস্টে এ বিষয়ে কথা বলেন মেটার সিইও। সেখানে তিনি জানান, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের সত্যিকারে উপকারে আসতে পারে, যদি এর সঠিক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে, এগুলো মানুষের সাথে যোগাযোগের কাজেই ব্যবহার করা উচিত।  

এই বিলিয়নিয়ার বলেন, আপনি যদি শুধু এখানে বসে থাকেন আর যা দেখানো হবে, তাই গলাধঃকরণ করেন, তাহলে তো হবে না। এটা একেবারে খারাপই হবে তা বলছি না। কিন্তু মানুষের সাথে সম্পর্ক-যোগাযোগ তৈরি করলে যতটা ইতিবাচক ফলাফল পাবেন ততটা আপনি সেভাবে পাবেন না।
 
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতি-ব্যবহারকে শুধু যে জাকারবার্গই অনুৎসাহিত করেছেন তা নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কোনো কোনো ব্যবহারকারীর মধ্যে হতাশা ও উদ্বিগ্নতা তৈরি করতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এও বলেছেন, এটা তখনই হয় যখন কেউ শুধুমাত্র স্ক্রলিং করে যায় এবং অন্য কারো সাথে কোনো মিথস্ক্রিয়া করে না ওই প্ল্যাটফর্মে।

২০১৯ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা একটি গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বেলায়ও একটি রুটিন মেনে চলতে হবে। এমন সব কন্টেন্টের সাথে যুক্ত করতে হবে নিজেকে যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং সামাজিক উৎকর্ষতার সাথে জড়িত। কিন্তু মানুষ যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বা অস্বাস্থ্যকর কোনো আবেগীয় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, তখন তা হিতে বিপরীত হয়।

Advertisement

গবেষণার একজন লেখক জানান, মেসফিম অ্যাওয়েক বেকালুসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না থাকলে কিছু না কিছু বাদ পড়ে যাবে, কোনো একটা খবর জানতেই পারবো না অথবা বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো- এমন চিন্তা থেকে যদি কেউ অনেক বেশি সময় দেয় অ্যাপগুলোর পেছনে, তাহলে এটি ব্যক্তির উপর বাজে প্রভাব ফেলে।
আর সে কারণেই জাকারবার্গ দাবি করেছেন, ফেসবুক ও মেটাভার্স নিয়ে তার লক্ষ্য, মানুষকে আরও বেশি সময় ইন্টারনেট ব্যয় করতে দেয়া নয়, বরং তিনি চান সবাই ইতিবাচক কোনো কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকুক। 

জাকারবার্গ বলেন, আমি চাই না মানুষ কোনো কারণ ছাড়াই কম্পিউটারের সামনে বসে সময় পার করুক। স্ক্রিনে যে সময়টা দিচ্ছে তা যেন সঠিক ব্যবহার হয় এটাই চাই। 

অবশ্যই জাকারবার্গকে এই মন্তব্যের জন্য প্রচুর সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম একটা নেশার মতো এবং ক্ষতিকর বিশেষ করে টিনেজার ও শিশুদের জন্য। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যেন অতিরিক্ত সময় না দেন, তার জন্য কিছু ফিচার যুক্ত করেছে অ্যাপগুলো। ব্যবহারকারীরা কতটা সময় ব্যয় করছেন তা রেকর্ড করে রেখে সেই সময় তাদেরকে লগ অফ করতে বা মিউট রাখতে বলে নোটিফিকেশন দেয়া, এরকম বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসছে তারা। 

পুরোপুরি মেটাভার্স তৈরি করতে এখনো অনেকটা সময় বাকি, কিন্তু জাকারবার্গ জানিয়েছেন, মেটা ইতোমধ্যেই ভার্চুয়াল জগতে ইতিবাচকতা ছড়ানোর কাজে লেগে পড়েছে। মেটার এই উদ্যোগের ফলে সবচেয়ে বেশি সংযোগ স্থাপন করা  পোস্টগুলো আলাদা করে দেখা যাবে, কিন্তু সেখানে অ্যাংগ্রি রিঅ্যাক্টগুলোকে ধরা হবে না। 

জাকারবার্গ বলেন, যদি কেউ অ্যাংগ্রি রিএকশন দেয় তাহলে আমরা সেটাকে গোণায় ধরি না, আমরা এই রিএক্টকে আরও বেশি ছড়াতে চাই না।

Advertisement

 

বিআ

Advertisement

জাতীয়

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা

Published

on

শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা  ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে  শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ

Published

on

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন

বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”

বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং  জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement

জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ

Published

on

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।

পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

Advertisement

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it