বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী কি ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারত গেছে : রিজভী
প্রধানমন্ত্রী কি ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারত গেছে। যেটি আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন সেজন্য দেন-দরবার করতে সেখানে গেছেন। বললেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এ অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কি ক্ষমতায় থাকার জন্য যেটি আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন সেজন্য দেন-দরবার করতে সেখানে গেছেন। এই দেন-দরবার করতে গিয়ে আপনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কতটুকু বিক্রি করছেন, এটাই এখন দেখার বিষয়। এটাই জনগণ চেয়ে আছেন যে, প্রধানমন্ত্রী এখন কী করছে? কতটুকু সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষকে ক্ষুধায় রেখে, অনাহারে রেখে, তাদেরকে তীব্র একটা দুর্ভিক্ষ অবস্থার মধ্যে ফেলে আজকে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করছেন। আমার বক্তব্য হচ্ছে, আপনি সেখানে গিয়ে তো এখনো তিস্তা চুক্তি করতে পারেননি, আপনি এখনো আমাদের অভিন্ন নদীগুলোর ন্যায্য হিস্যা বা পাওনা আদায় করতে পারেননি। আজকে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন, অথচ আমাদের ন্যায্য হিস্যার কথা আপনি একবারও বলেননি।
রিজভী বলেন, আপনারা দেখেছেন- এই দুইদিনের মধ্যে ডিমের হালি ৫৫ টাকা হয়েছে। প্রতিটি খাদ্যপণ্যে শাক-সবজি, মসুরির ডাল, চাল প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে। দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কি প্রতিবাদ করা অন্যায়? এই মূল্যবৃদ্ধি হলে একটা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, জনগণকে সংগঠিত করা-কেন আজকে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে?
তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধির বিরুদ্ধে যখনই আমরা কথা বলতে যাচ্ছি, তখনই সরকার তার চন্দ্রমূর্তি নিয়ে আবির্ভূত হচ্ছে। নিপীড়ন-নির্যাতনের সব মাত্রা তারা নামিয়ে নিয়ে আসছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপরে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা দেখেছেন, সেখানে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি নির্মমভাবে আক্রমণ করছে প্রতিনিয়ত, প্রতি মুহূর্তে। গতকালও নাটোরের লালপুরে বিক্ষোভ মিছিল করার সময়ে সেখানে হামলা করা হয়েছে। প্রতিদিন আপনারা দেখবেন শুধু রক্তপাতের ঘটনা, শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণের ঘটনা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এসব ঘটনা করে তারা ক্ষান্ত দেয়নি। এই আক্রমণে অনেকে আহত হয়েছে, কারো চোখ চলে গেছে, কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। আপনারা জানেন, তিনজনের জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছে। এর ওপরে তাদের মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আজকে শত শত নেতাকর্মী ঘরছাড়া, মহল্লাছাড়া, গ্রামছাড়া, এলাকাছাড়া। অথচ এই অবস্থার মধ্যে তারা দিনাতিপাত করছে। তারা কী অন্যায় করেছে?
বিআ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ