খুলনা
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে স্বামীর দুধ দিয়ে গোসল
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বেগনপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের দরগাপাড়ার বাসিন্দা সেকেন্দার আলী, পেশায় ট্রাক্টরচালক। সন্তানদের কথা চিন্তা করে স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জেনেও ক্ষমা করেছেন অনেকবার। কিন্তু একই ঘটনা বারবার ঘটার কারণে এবার সেই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে এবং দুধ দিয়ে গোসল করলেন সেকেন্দার আলী।
বুধবার (৩ জুলাই) চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে এসে সেকেন্দার আলী দুধ দিয়ে গোসল করেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। গ্রামজুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক্টরচালক সেকেন্দার আলীর খালাতো ভাই মাজেদুল ইসলামের সঙ্গে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী সাগরী খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সেকেন্দার আলী তার স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরার অপেক্ষায় থাকেন।
বুধবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সেকেন্দার বাড়ির বাইরে গেলে তার স্ত্রী মাজেদুলের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। সেকেন্দার বিষয়টি টের পেয়ে স্ত্রী সাগরীকে মাজেদুলের বাড়িতে নিয়ে যান। ততক্ষণে মাজেদুল পালিয়ে যান। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় মাজেদুলের সঙ্গে সাগরীর বিয়ে দেয়া হয়।
একই গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন নামের এক যুবক বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমিকের বিয়ের দেওয়ার ঘটনাটি গ্রামজুড়ে সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। বিয়ে দেয়ার পর দুধ দিয়ে গোসল করে আরও আলোচনায় উঠেছেন স্বামী সেকেন্দার আলী। বিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে মতভেদও দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী জানান, আগে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরে সন্তানদের কথা ভেবে স্ত্রীর ভুল ক্ষমা করেছেন। কিন্তু বারবার একই ঘটনা ঘটনায় গ্রামবাসীর সাহায্যে তাদের বিয়ে দেয়া হয়েছে।
দুধ দিয়ে গোসলের বিষয়ে সেকেন্দার আলী বলেন, তাদের বিয়ে দিতে পেরে যেন একটি পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছি। তাই দুধ দিয়ে গোসল করেছি।
বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে পরকীয়া ছিল। এরপর স্বামী নিজেই তার স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে বলে শুনেছি। পরে বাড়িতে যেয়ে দুধ দিয়ে গোসলও করেছে।
এসি//
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//