Connect with us

লাইফস্টাইল

বিষণ্ণতা থেকে কাটিয়ে উঠবেন যেভাবে

Avatar of author

Published

on

বিষণ্ণতা

অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও কিছুই ভালো লাগছে না! মনের এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমরা প্রায়ই যাই। তখন সবকিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়। বহুজনের মধ্যে থেকেও মনে হয় পাশে কেউ নেই। মনোবিদেরা জানান, ক্লান্তি, অবসাদ আর হতাশা যখন মন জুড়ে থাকে তখন তার থেকেই বিচ্ছিন্নতাবোধ জন্মায়। মন বিষণ্ণ হয়ে থাকে। কোনো কিছুতেই উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে না। একে চিকিৎসার পরিভাষায় ‘ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডার’ বলা হয়।

মনের বিষণ্ণতা কাটিয়ে ওঠার কিছু উপায় আছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কি?

১) হঠাৎ করে পাওয়া কোনো মানসিক আঘাত, দুর্ঘটনা, কাছের মানুষজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, পরিবারের লোকজনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে এমন বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে। মনোবিদদের পরামর্শ, যখনই মন বিষণ্ণ হয়ে উঠবে, তখন সব কাজ ছেড়ে কিছুক্ষণের জন্য ধ্যান মানে মেডিটেশনে বসুন। মিনিট পনেরোও যদি মন শান্ত রেখে, চুপ করে ধ্যান করা যায়, তাহলে অনেকটা মানসিক আরাম পাওয়া সম্ভব। চিন্তার জটও ছাড়াতে পারবেন এইভাবেই।

২) সকাল সকাল যোগাসন, প্রাণায়াম করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। নিয়ম করে যোগাসন করলে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলি সক্রিয় থাকে। ফলে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা মনে আসে না। ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণ হয়। ফলে মন ভাল থাকে। তবে যোগাসন শরীরের অবস্থা, রোগব্যধি বুঝেই করতে হয়। তাই কী ধরনের যোগাসন আপনার জন্য সঠিক, সেটা যোগাসন প্রশিক্ষক বা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেয়াই ভাল।

৩) দিনে কিছুটা সময় বার করেও বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের সঙ্গে গল্প করতে হবে। পুরনো বন্ধুদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করুন। পুরনো দিনের সুখের স্মৃতিগুলো মনে করুন। ছবির অ্যালবাম থাকলে তার পাতা উল্টে দেখুন। তাহলেও মন ভাল হয়ে যাবে। নিজেকে গুটিয়ে ফেললে, হতাশা আরও বেশি গ্রাস করে। পারস্পরিক কথোপকথন ও মেলামেশা মনের অনেক জটিল সমস্যারও সমাধান করতে পারে।

Advertisement

৪) সাধারণত দেখা যায়, যারা বেশি দুশ্চিন্তা, উদ্বেগে ভোগেন, তাদের ঘুম কম হয়। বারে-বারে জেগে ওঠেন। ঘুমোতে গেলে শরীরে অস্বস্তিবোধ হয়। এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করতে হবে। সম্ভব হলে রোজ একই সময়ে ঘুমোতে যান। শোওয়ার ঘর পরিপাটি, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘুমোবার সময়ে মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি যাবতীয় বৈদ্যুতিন যন্ত্র দূরে রাখুন। খুব বেশি আওয়াজ, কোলাহল যেন চারপাশে না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

৫) মন ভাল করার অন্যতম ভাল উপায় হচ্ছে বই। যদি দেখেন কোনও কাজে উৎসাহ আসছে না বা কোনও বিষয় নিয়ে আপনি খুব চিন্তিত, তা হলে কিছুক্ষণের জন্য সেই কাজ বন্ধ করুন। সেই সময়টায় পছন্দের বই পড়ুন। এতে ধৈর্য বাড়বে, দুশ্চিন্তাও দূর হবে।

৬) কিছু দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। যদি সঙ্গে কেউ না থাকে, একাই যান। সবসময়েই খুব দূরে যেতে হবে, এমনটা নয়। কাছেপিঠেও ঘুরে আসা যায়। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার ভাল ভাল ছবি তুলুন। স্থানীয় কোনও খাবার খান। নতুন পদ চেখে দেখুন। অনেক সময়ে ভাল খাবারও মন ভাল করে দিতে পারে। মনোবিদেরা জানান, কিছু দিনের জন্য সব কাজ থেকে বিরতি নিলে মন ও মস্তিষ্কও বিশ্রাম পায়। তাতে মনের বিষণ্ণতা অনেক কেটে যায়।

কেএস/

Advertisement
Advertisement

পরামর্শ

মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়

Published

on

খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।

মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।

১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।

২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।

৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।

Advertisement

৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।

৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে

Published

on

এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।  বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।

সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই?  এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।

আসুন জেনে নেই তাহলে –

১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।

২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।

Advertisement

৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।

পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।

৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।

৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।

৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।

Advertisement

জেডএস//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি

Published

on

প্রতিকী ছবি

আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।

উপকরণ

ঘন দুধ- ১ কাপ

চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )

আম- ২টি

Advertisement

ডিম- ২টি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী

১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।

২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।

Advertisement

৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।

৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।

৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।

৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।

Advertisement

ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it