আইন-বিচার
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীরকে ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর পল্টন থানায় এস এম মুনীর নিজেই এ জিডি করেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মীরধা।
পল্টন থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে এস এম মুনীর লিখেছেন, ‘গত ১০ জুলাই দিবাগত রাতে আমি পল্টন মডেল থানাধীন ৩৬ কাকরাইলস্থ আমার বাসায় অবস্থানকালে রাত ১০.৫১ মিনিটে জনৈক ব্যক্তি তার মোবাইল হতে আমার মোবাইলে ফোন করলে আমি রিসিভ করি, তখন ঐ ব্যক্তি নিজেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আর্মির হেড পরিচয় দিয়ে বলে রাজবাড়ীতে হত্যা মামলার সঠিক পরিচালনা না করলে এবং শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেয় তবে আমার কাছে এমন যন্ত্র আছে, যা দিয়ে শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেবে। এছাড়া আমাকেও জীবননাশের নানা হুমকি দেয়। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক ৯৯৯ কল দিলে পল্টন মডেল থানা পুলিশকে লাইন সংযোগ লাগিয়ে দিলে পল্টন মডেল থানা এস. আই. মো. ইব্রাহিমকে ঘটনার বিষয়টি অবহিত করি।’
‘পরবর্তীতে ১১ জুলাই সকাল ১০.৫৮ মিনিটে উক্ত ব্যক্তি একই মোবাইল নম্বর থেকে পুনরায় কল দিয়ে আমাকে বলে যে, পুলিশকে জানানোর কারণে আপনার বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে। পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি ইতিমধ্যে আপনাকেও মোবাইল ফোনে অবহিত করা হয়েছে। আমি সারাদিন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় লিখিতভাবে জানাতে বিলম্ব হলো। উপর্যুক্ত ঘটনাটি আপনার থানায় সাধারণ ডায়রিভুক্ত করত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’
এসি//
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ