বাংলাদেশ
মানুষ জানতে চায় ভারত থেকে কী এনেছেন : মির্জা ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে কোনো কিছুই আনতে পারেননি। কী নিয়ে এসেছেন ভারতের কাছ থেকে, দেশের মানুষ তা জানতে চায়। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে তার পৈতৃক বাসভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন। ভারত সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর পরেই তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে কোনো কিছুই আনতে পারেননি। আমরা (বিএনপি) আশা করেছিলাম তিনি সেখানে গিয়ে দেশের প্রধান যে সমস্যা তিস্তার পানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্তে মানুষ হত্যাসহ বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলবেন। বরং দেখেছি গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সুস্পষ্টভাবে কোনো কিছুই বলেননি। তিনি কী কী নিয়ে এসেছেন ভারতের কাছ থেকে, দেশের মানুষ তা জানতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, উনি(ওবায়দুল কাদের) যদি এ কথা (বিএনপির বর্তমানে কোনো নেতা নেই) বলে থাকেন তাহলে তা তার অভিজ্ঞতা থেকে নয়। বিএনপির নেতা আছে বলেই তো তারা বিএনপিকে এত ভয় পাচ্ছে। নেতা আছে বলেই তো আজকে বিএনপি উঠে দাঁড়াচ্ছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত। বিএনপি এখন উঠে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বে ৩৫টি রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন নিবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন হবে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বেই সেই আন্দোলন সফল করবে। বিএনপি বলে আসছে আমাদের নেতা হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার অবর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই চলবে দলটি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাস করেই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
তিনি বলেন, এ সরকার আসার পর থেকে তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কোনো নির্বাচনে তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখতে চায় না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী যদি থাকেই থাকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তাকে কি করে পরাজয় করে টিকে থাকা যায় সেই চেষ্টায় করে শাসক দলটি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশের মানুষ কোনো নির্বাচনে যাবেও না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মানে না, তাহলে রোডম্যাপ দিয়ে কি হবে? সারা দেশে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। ঢাকা মহানগরে জোনভিত্তিক শুরু হয়েছে। পরে দেশব্যাপী হবে। এখনকার নির্বাচন সম্পর্কে কোনো বক্তব্য নেই। যতক্ষণ না নির্বাচনকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত না হয়। আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে কে প্রার্থী দিল, কে প্রার্থী দিল না সে ব্যাপারে আমাদের কিছুই বলার নাই। তবে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলেছি।
বিপ্লব আহসান
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ