বলিউড
কখন তার মন খারাপ হয়ে যায় জানালেন শ্রীলেখা
এক বছর হতে চলল নিজের সবথেকে কাছের মানুষ বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সম্প্রতি সম্পন্ন করেছেন বাবার এক বছরের বাৎসরিকের কাজ। মাকে হারিয়েছেন আগেই। একমাত্র মেয়ে মাইয়্যা, চারপেয়ে সন্তানরা ও বাবাকে নিয়েই ছিল শ্রীলেখার সংসার। একবছর আগে নিজের বড় আশ্রয়ের স্থল সেই বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন শ্রীলেখা। তবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার নামই জীবন। তাই তো বাবা-মা না থাকলেও মেয়ে এবং চারপেয়েদের সাথে নিজের সময় বইয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। সামনেই পুজো। সকলেরই পুজোর প্ল্যানিং ইতিমধ্যে ডান। কিন্তু শ্রীলেখা এসব বিষয়ে একেরবারেই লেস-ইন্টারেস্টেড। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
শ্রীলেখার কথায়, পুজোর উত্তেজনা আমি টের পাইনা। বরাবরই আমি ইন্ট্রোভার্ট। বিশাল বড় গ্রূপে স্বছন্দ বোধ করি না। মা বাবা চলে যাওয়ার পর থেকে একা থাকার ইচ্ছেটা বহুগুণ বেড়েছে। সেই হিসেবে আমি আনসোশ্যালও। পুজোয় বেশি মিশিটিশি না। অনেকেই ভাবেন এ কেমন মানুষ রে বাবা, পুজোয় আড্ডা দেয় না? আসলে গল্প করবোই বা কার সাথে? স্কুলের বন্ধুরা অধিকাংশ বিদেশে। কর্মসূত্রে কেউ ভীনরাজ্যেই সেটেলড। আর ছোটবেলার পাড়ার বন্ধুরা সব উত্তর কলকাতায়। আমি থাকি দক্ষিণের একটা ফ্ল্যাটে। সেখানেও পুজো হয়। কিন্তু সেভাবে মিশি না। আসলে স্বার্থপরদের সাথে মিশতে আমার একেবারেই ভালো লাগেনা। যারা নিজের কথা ভাবে, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আমি তাদের থেকে একশো হাত দূরে থাকি।
একই সাথে শ্রীলেখা জানান, ছোট একটা বৃত্ত রয়েছে আমার, তার মধ্যেই মিশি। পুজোয় আমার একঘর বন্ধু চাই না। মনের মতো দুটো বন্ধু হলেই যথেষ্ট। ছোটবেলায় উত্তর কলকাতার অনেক ঠাকুর দেখেছি। তখন ভিড়টা ভালো লাগতো। এখন ভিড় দেখলেই ভয় হয়। মেয়ের একা একা বেরোনোর বয়স হয়নি। ও এখনও ছোট। আর ও খুব একটা ঠাকুর দেখে তেমনটাও নয়। সেদিক থেকে আমি চাপমুক্ত।
অভিনেত্রী জানান, ঠিক করেছি এবার পুজোটা কোনও মফস্বল এলাকায় কাটাবো। আসানসোলে যাওয়ার প্লানিং পাকা। কলকাতার ভিড় থেকে নিজেকে সরিয়ে ছিমছাম কোনও পুজো মণ্ডপে বসে আড্ডা দেব।
শ্রীলেখা জানিয়েছেন, এখন পুজোর মার্কেটিং নিয়ে আলাদা করে কোন উত্তেজনা হয় না। কাজের প্রয়োজনে সারা বছরই টুকটাক করে কেনাকাটি চলে তাই পূজার আলাদা করে কিছু কিনবো না পড়া হয়নি এমন অনেক জামা আলমারিতেই পড়ে আছে। সেগুলো দিয়েই পুজো কাটাবো।
শ্রীলেখা বলেন, ছোটবেলার দিন গুলো যদিও আলাদা ছিল। তখন নতুন টপ, স্কার্ট, জুতো, বিছানায় পাশে নিয়ে ঘুমাতাম। মহালয়ার দিন সকালে উঠে পড়তাম। রেডিওতে মহালয়া শুনতাম। একটু বড় হলাম যখন তখন টিভিতে দেখতাম। পুজোয় যে যাই উপহার দিক। বাবা-মায়ের দেওয়া উপহারের মজাটাই ছিল আলাদা। সে ভালোবাসাটা আনপ্যারালাল। মা চলে যাওয়ার পর থেকে ওটাই মিস করি। পুজো এলে আরও বেশি করে মনে পড়ে। কোনও মণ্ডপে দুর্গা ঠাকুরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেই ভেসে ওঠে মায়ের মুখটা, মন খারাপ হয়ে যায়।
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/