ফুটবল
শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শিরোপা স্বপ্নে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে লড়াই করছে বাংলাদেশ। বিকাল সোয়া ৫টায় শুরু হওয়া খেলাটিতে ১৪তম মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
ইতিহাসের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। সেই ইতিহাস গড়ার স্বপ্নের পালে জোর হাওয়াই পেলো কোচ ছোটনের শিষ্যরা। স্বাগতিক নেপালকে থমকে দিয়ে ১৪ মিনিটেই শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
সেমি-ফাইনালে নেপালের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। এর আগে প্রথম সেমি-ফাইনালে ৮-০ গোলে ভুটানকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
দুই দলেরই এর আগে ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও জয়ের মুখ দেখেনি একবারও। এর আগে নেপাল চারবার এবং বাংলাদেশ একবার ফাইনাল খেলেছে। প্রতিবারই তারা হেরেছে শক্তিশালী ভারতের কাছে। তবে প্রথমবারের মতো ভারতকে বাইরে রেখে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ এবং নেপাল। সেই হিসেবে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে সাফ। গ্রুপ পর্বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত ৩-০ গোলে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়। এতে ভারতীয়দের মনোবল এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে সেমিফাইনালে এসে নেপালের কাছে হেরে যায় ০-১ গোলে। এতেই বিদায় ঘটে চ্যাম্পিয়নদের।
নেপাল ও বাংলাদেশের পারস্পরিক মোকাবেলায় অবশ্য এগিয়ে রয়েছে নেপাল। সাফে এর আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। দুইবার সেমিফাইনালে এবং একবার গ্রুপ পর্বে। তিনবারই হার মেনেছে সাবিনারা।
২০১০ সালে সাফের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেপালের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে সেমিফাইনালে ১-০ গোলে নেপালিদের কাছে হেরে যায় লাল সবুজের জার্সি ধারীরা। ২০১৯ সালে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে নেপালের কাছে পরাজিত হয়।
বাংলাদেশের একাদশ:
রুপা চাকমা (গোলরক্ষক) সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক) শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আঁখি খাতুন, সাসুরা পারভিন, মণিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণা রাণী সরকার ও স্বপ্না জাহান।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//