Connect with us

অন্যান্য

হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন

Published

on

বাংলাদেশের একজন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। যিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। সেখানেই বসবাস করছেন তসলিমা নাসরিন। বিভিন্ন লেখার জন্য তিনি আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন অনেকের কাছে। হেফাজত নেতা মামুনুল হককে তিনি তার ফেসবুকে বিশাল স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।

নারায়ণগঞ্জের রিয়েল রিসোর্টে হেফাজতি নেতা মামুনুল হক নিজে যে আদর্শের কথা ওয়াজে মাহফিলে শোনান, সেই আদর্শের বাইরে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন কিছু তরুণের হাতে  এবং আল্লাহর কসম খেয়ে ডাহা মিখ্যে কথা বলতে লাগলেন — এই খবর  সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ার  পর শত শত  মাদ্রাসার ছেলে  তাদের গুরু মামুনুল হককে উদ্ধার করতে গিয়ে  রিসোর্টের ভেতর রিসেপশান, রেস্তোরাঁ    যা পেয়েছে    ভেঙ্গে গুঁড়ো করে দিয়েছে। দেখে প্রশ্ন জাগছিল মনে,  মাদ্রাসার ছেলেরা এভাবে অন্যের সম্পত্তি ধ্বংস করার কায়দা  কোত্থেকে শিখেছে? হাতে ওদের এমন সব শক্ত লাঠি কে দিল?   এমন সব অস্ত্র, যেগুলো দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোটা রিসোর্টের যাবতীয় জিনিসপত্র মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যায়!   যারা রিসোর্টে ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে,  যারা মামুনুল হককে মাথায় তুলে সম্মান দিয়েছে, তারা কি জানেনা মামুনুল হক  সেই কাজটিই করেছেন যে কাজটিকে  তিনি নিজেই    অনৈতিক, অবৈধ, অন্যায়  বলেন? তারা কি জানে না, আল্লাহর কসম কেটে তাদের গুরু মিথ্যে কথা বলেছেন?  তারা সব জানে, কিন্তু এতে তাদের কিছু যায় আসে না। তারা শিখেছে  গুরু যত ভুলই করুন, গুরু যত মিথ্যেই বলুন, যত প্রতারণাই করুন,   গুরুকে গুরু বলে মানতে হবে। গুরুকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে। গুরু ১০০ খুন করে এলেও  গুরু নির্দোষ। বলাই বাহুল্য,  যুক্তিবুদ্ধিহীন অন্ধ বধির এক জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে  বাংলাদেশে। এই জনগোষ্ঠী তৈরির কারিগর মামুনুল হক এবং তার মৌলবাদী সহিংস  সতীর্থরা।

প্রথমে ভেবেছিলাম মামুনুল হক তাঁর প্রেমিকা নিয়ে প্রমোদ বিহারে গেছেন, যেতেই পারেন, প্রেম  করা   অন্যায় নয়। পরে কিছু ফোনালাপ থেকে বোঝা গেল   প্রেম নয়,  দুজন  মহিলার সঙ্গে তিনি প্রতারণা করছেন। নিজের স্ত্রীকে দিনের পর দিন  ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছেন, আর ওদিকে  জান্নাত আরা  ঝর্ণাকে, যাকে,  তিনি,   আল্লাহর কসম কেটে বলেছেন   বিয়ে করেছেন, আসলে যাকে তিনি  বিয়ে করেননি, নেহাত যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছে্ন।  এত ভয়ংকর নারবিদ্বেষী লোক নারীর সঙ্গে প্রেম করেন  না, নারীকে নিজের বী*র্য ফেলার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করেন। দুই রমণীই কিন্তু তাঁকে আপনি সম্বোধন করেন। দু'জনই তাঁকে প্রভু মানেন। প্রেম-ভালোবাসার  সম্পর্ক কখনও প্রভু-দাসির সম্পর্ক নয়। ঝর্ণার সঙ্গে কোনও এক ভাইয়ার ফোনালাপ থেকে আমরা জানতে পারি তিনি এবং মামুনুল হক  স্বামী স্ত্রীর মতো বাস করেন বটে, তবে   তাঁদের বিয়ের কোনও  কাবিননামা  হয়নি, রেজিস্ট্রেশানও হয়নি। ঝর্ণা নিজেই বলেছেন এ কথা।  কাবিননামা হয়নি, এবং রেজিস্ট্রেশান হয়নি মানে বিয়ে হয়নি। ঝর্ণা কিন্তু বিয়ে হবে বলে বসে আছেন, এবং মামুনুল হক তাঁকে ভোগ করে যাচ্ছেন বিয়ে করবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এই কাজটি কারা করে বলে আমরা জানি? তাদের তো প্রতারণার দায়ে জেল খাটতে হয়।   সরকারি প্রশ্রয় পাচ্ছেন বলে মামুনুল হককে জেল খাটতে হচ্ছে না।   মামুনুল হক বাংলাদেশের আইনে বিশ্বাস না করলেও  শরিয়া আইনে বেশ বিশ্বাস করেন। তাঁকে যদি ব্যাভিচারের শাস্তি শরিয়া আইনে দেওয়া হয়  তাহলে   সেই শাস্তি তিনি   সহ্য করতে পারবেন তো? সেটি কিন্তু  পাথর ছুঁড়ে হত্যা। মামুনুল হকের ভাগ্য ভালো যে  তিনি যে  দেশে  বাস করেন, সে দেশে   শরিয়া আইন নেই, যে আইন  আনার জন্য তিনি  দিনভর  চিৎকার করেন, এবং ভক্তবৃন্দকে  উত্তেজিত করেন।

হেফাজতি নেতাদের মধ্যে মামুনুলের কীর্তি নিয়ে  ফোনালাপ, স্ত্রীকে মিথ্যে বলা শিখিয়ে দেওয়ার জন্য  মামুনুলের  ফোনালাপ, মামুনুলের স্ত্রীকে মামুনুলের দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে মিথ্যে বলার জন্য অনুরোধ করে    মামুনুলের বোনের ফোনালাপ, ঝর্ণার সঙ্গে মামুনুলের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ঝর্ণার পুত্রের ফোনালাপ, ঝর্ণার সঙ্গে কাবিননামা এবং রেজিস্ট্রেশান না হওয়া বিষয়ে  এক ভাইয়ার ফোনালাপ, মামুনুলের সঙ্গে তৃতীয় মহিলার ঘনিষ্ঠ ফোনালাপ, মামুনুলের প্রতারণা    সম্পর্কে ঝর্ণার পুত্রের ভিডিও । এগুলো শুনলেই প্রতারক মামুনুলের চরিত্র উন্মোচিত হয়। মাত্র দুটি প্রতারণার কাহিনী  বেরোলো। এরকম কত কাহিনী আছে, কে জানে।

নারী নির্যাতন, নারী হেনস্থা, নারীর সঙ্গে প্রতারণা বাংলাদেশের বদ পুরুষলোকেরা অহরহই করে। মামুনুল যেহেতু নেতা, যেহেতু তার আদেশে লক্ষ পঙ্গপাল চারদিক পুড়িয়ে  ছাই করে দেয়, নিজেরা শুধু খুন করতে নেমে পড়ে না, নিজেরা খুন হতেও নেমে পড়ে, —সেহেতু মামুনুলের চরিত্রের চুলচেরা বিশ্লেষণ জরুরি। পঙ্গপালগুলোর জানা জরুরি কোন নিকৃষ্ট লোকের, কোন প্রতারকের, মিথ্যুকের, কোন স্বার্থান্ধ বদ-লোকের আদেশ তারা মেনে চলে। হয়তো যারা অন্ধ ভক্ত, তাদের কোনও বোধোদয় হবে না। কিন্তু যারা এখনও অন্ধ হয়নি, তাদের তো পরিবর্তন হতে পারে।  

Advertisement

মানুষের সঙ্গে  প্রতারণা করা তো অপরাধ, মামুনুল তো সেই অপরাধ করছেনই,  সবচেয়ে বড় অপরাধ   তিনি করছেন,   তাঁর ওয়াজে   তিনি  প্রগতির বিরুদ্ধে, মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে, নারীর বিরুদ্ধে, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ বিষ উগরে দিচ্ছেন, সেই বিষের ক্রিয়ায় শত শত শিশু কিশোর যুবক      হিংস্র  দাঙ্গাবাজ হয়ে উঠছে। যুবসমাজকে তিনি  সন্ত্রাসবাদে আর জঙ্গিবাদে দীক্ষিত করছেন  — এটি  নিশ্চিতই তাঁর   অক্ষমাযোগ্য অপরাধ। এইতো সেদিন তিনি মাদ্রাসার ছাত্রদের  লেলিয়ে দিয়েছেন সারাদেশ জুড়ে সন্ত্রাস করার জন্য। সন্ত্রাস করেছে তারা, দেশের অমূল্য সব সম্পদ পুড়িয়ে দিয়েছে, শুধু তাই নয়, নিজেরাও মরেছে। জেনেবুঝে দেশ ও মানুষের সর্বনাশ করা খুব বড়  অপরাধ। এই অপরাধের  কারণে মামুনুল হকের শাস্তি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাঁর  কারণে মৃত্যু হলো ভক্তকুলের, কোথায় তিনি নিজেকে তাঁদের মৃত্যুর জন্য  দায়ী করে  গ্লানি বোধ করবেন, কোথায় তিনি কাঁদবেন, হাহাকার করবেন, তিনি চলে গেলেন আনন্দ করতে।  তারপরও কি ভক্তকুল তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ হবে না? গুরুর চরণামৃত খেয়ে গুণগান গাওয়া ছাড়া আর কিছু ভক্তকুলের  মগজে ঢোকানো হয়নি।

তবে মামুনুলকে নিয়ে  হেফাজতি অন্য নেতাদের মধ্যে কিছু অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁরা যদি কখনও মামুনুলকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হন, তাহলে কি এই সংগঠনকে কোনও সভ্য সংগঠন হিসেবে দাঁড় করানো সম্ভব হবে? আমার তো মনে হয় না।   মামুনুলের মতো প্রতারক যদি নাও হন ,  হেফাজতি নেতারা কিন্তু  সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করেন, এ কথা সত্য। এ পর্যন্ত হেফাজতের নেতারা মাদ্রাসার শিশু কিশোরদের দিয়ে দেশ জুড়ে সন্ত্রাস ঘটানোর জন্য ক্ষমা চান নি, দুঃখ প্রকাশও করেননি। তবে কী কারণে মামুনুল হককেই  একা মন্দ বলে মনে করছি?  ভারতের  দেওবন্দিরা    কোনও দাঙ্গা ফ্যাসাদ ভায়োলেন্সে যায় না। কিন্তু দেওবন্দি আদর্শ মেনে চলা বাংলাদেশের  হেফাজতে ইসলাম, আফগানিস্তানের তালিবান, পাকিস্তানের লস্করে ঝাংভি, সিপাহে সাহাবা, তেহরিকে তালিবান দিব্যি    সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। পাকিস্তানে সিপাহে সাহাবা  সংগঠনটি নিষিদ্ধ হয়েছে। বাকি সব সন্ত্রাসী  সংগঠনই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।

রাজনৈতিক ইসলাম খুব বিপজ্জনক।   রাজনৈতিক ইসলামের নেতারা দেশে শরিয়া আইন চালু করতে চান, যে আইনে মেয়েদের কোনও  অধিকার  থাকবে না। যাঁরা    আল্লাহর কসম কেটে মিথ্যে কথা বলেন , তাঁরা, কোনও ভুল নয় যে,  আল্লাহর অস্তিত্বে  বিশ্বাস করেন  না। আল্লাহ রসুলকে তাঁরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন মাত্র। শরিয়া আইন চালু করতে চান  তাঁদের নারীবিদ্বেষ আর অমুসলিমবিদ্বেষের জন্য। কোনও নারী যেন অধিকার বা স্বাধীনতা বলতে কিছু না পায়, কোনও অমুসলিমেরও যেন এ অঞ্চলে বাস করতে না পারে। 

যারা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নষ্ট করেছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু যারা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের সঙ্গীত একাডেমী পুড়িয়ে দিয়েছে, যারা  লাইব্রেরি পুড়িয়েছে, যারা জনগণের সম্পদ বাস ট্রাক জ্বালিয়ে দিয়েছে, যারা মন্দির ভেঙ্গেছে  তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?  নাকি এই সন্ত্রাসবাদীদের সকল সন্ত্রাস ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে?  জানি সরকারি দলের অনেকে মনে করেন,   সত্যিকার রাজনৈতিক দল  থাকার চেয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে  ইসলামী মৌলবাদী সন্ত্রাসীরাই থাকা ভালো। এতে বিপদ দেখলে এদের দান দক্ষিণা দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, বাইরের বিশ্বের কাছ থেকে সহানুভূতিও  জুটবে, মৌলবাদের মোকাবেলা করার জন্য।

Advertisement

আধুনিকতাও চাই, মৌলবাদও চাই, এ হয় না। সংস্কৃতিও  চাই, অপসংস্কৃতিও চাই, এ হয় না। শান্তি চাই, সন্ত্রাসও চাই, এ হয় না।  দুই নৌকোয় পা দিয়ে চললে ডুবে মরতে হয়, এই সত্য কি ডুবে না মরা পর্যন্ত বিশ্বাস হবে না?

Advertisement

অন্যান্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে জামায়াত

Published

on

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে প্রধান করে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের নিকট ছাত্র-জনতার অনেক প্রত্যাশা। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রসমাজ ও দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন।’

জামায়াত আমীর বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসক মুক্ত হয়েছে।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব উপদেষ্টাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বঙ্গভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূস এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণ শপথ নিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, প্রকৌশলী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি-সাহিত্যিক, লেখক, গবেষকসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শপথ অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান (সাবেক এমপি) ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের (সাবেক এমপি), সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এমপি), মাওলানা আবদুল হালিম ও এডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে যা বললেন জামায়াতের আমীর

Published

on

কোনো বাহবা বা রাজনৈতিক ফায়দার জন্য আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারা দিচ্ছি না, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকার জন্য এ কাজে নেমেছি। আপনাদের প্রয়োজনে জাতির প্রয়োজনে যদি কখনো জামায়াতকে অনুভব করেন সেটাই হবে আমাদের শ্রেষ্ঠ উপহার। তখন যেন প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া দিতে পারি। বলেছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের কোনো জায়গায় জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্র সংগঠনে যারা কাজ করেন তারা যদি দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে কিছু করেন তাহলে তিনি হবেন দুর্বৃত্ত। আমাদের সুনির্দিষ্ট করে বলবেন। তখন দেখবেন আমরা কী করি, কী করব সেটাও জানবেন। আমরা সঠিক পথে থাকলে পরিবেশ ও মানুষ সাক্ষ্য দেবে।

তিনি আরও বলেন, বিশেষভাবে এই পরিস্থিতিতে একটা বিষয়ে সহযোগিতা চাইতে এসেছি, ঢাকাসহ সারাদেশে আমাদের নামে, আমাদের ব্যানারে, আমাদের স্লোগান ব্যবহার করে কোনো দুর্বৃত্ত অপকর্ম করছে কি না তা জানাবেন। যদি কেউ কিছু করে এমন তথ্য জানাবেন। কোনো দুর্বৃত্তকে প্রশ্রয় দেব না, বরং সেই দুর্বৃত্তকে সমুচিত জবাব দিয়ে দেব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, মুহা. কামাল হোসাইন ও ড. আবদুল মান্নান প্রমুখ।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

১৩ বছর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াত নেতারা

Published

on

জামায়াত অফিস

প্রায় ১৩ বছর ধরে বন্ধ ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। মগবাজারের কার্যালয়ের পাশাপাশি পুরানা পল্টনে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী কার্যালয়ের দশাও ছিল একই। টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর পাল্টে যায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট। স্বস্তি নেমে আসে জামায়াত-বিএনপিসহ দীর্ঘদিন কোণঠাসা হয়ে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর শিবিরে। এরইঅংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজান ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একজন উচ্চস্বরে আজান দেন। পরে মোনাজাত করা হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it