এশিয়া
ঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে নাভালনির মৃত্যু হতে পারে
ঠিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা না হলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মারা যেতে পারেন রাশিয়ার কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি। শনিবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত রুশ নেতা সম্পর্কে এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, নাভালনির ব্যক্তিগত চিকিৎসক আনাস্তাসিয়া ভ্যাসিলিয়েভা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে যেকোনো সময় নাভালনির হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
প্রচণ্ড পিঠের ব্যথা ও পা অবশ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন নাভালনি। যথাযথ চিকিৎসার দাবিতে কারাবন্দি অবস্থায় ১৮ দিন ধরে অনশনে রয়েছেন তিনি।
নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়ার উদ্বৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, অনশন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নাভালনির ওজন ৭৬ কেজি থেকে ৯ কেজি কমে গেছে।
কারা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখে জরুরিভিত্তিতে নাভালনির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকসহ চারজন চিকিৎসক। সেই সঙ্গে অবিলম্বে তার শারীরিক পরীক্ষার অনুমতি চেয়েছে তারা।
ওই চিঠি টুইটারে পোস্ট করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আনাস্তাসিয়া ভ্যাসিলিয়েভা। তাতে লেখা হয়, নাভালনির শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেছে। এর মানে যেকোনো মুহূর্তে কিডনির কার্যক্ষমতা এবং হৃদযন্ত্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্তে প্রতি লিটারে পটাশিয়ামের মাত্রা ৬.০ এমএমওলের বেশি হলেই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। সেখানে নাভালনির আইনজীবীর মাধ্যমে পাওয়া রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, তার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা ৭.১ এমএমওএল।
নাভালনির সঙ্গে দেখা করে তার আইনজীবী জানান, বর্তমানে যে কারাগারে নাভালনিকে রাখা হয়েছে সেখানে কোনো চিকিৎসক নেই। পুরো ইউনিটের জন্য একজন প্যারামেডিক রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, নাভালনিকে এমনভাবে রাখা হয়েছে যাতে নির্যাতনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে হত্যার পর্যায়ে নেওয়া হতে পারে।
এদিকে, নাভালনির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে চিঠি লিখেছে ৭০ জনের বেশি বিশ্বখ্যাত লেখক, শিল্পী ও গবেষক। চিঠিটি দ্য ইকোনোমিস্ট ও ফ্রান্সের লা মন্ড পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এতে হলিউড অভিনেতা জুড ল, রালফ ফিয়েনস, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, হ্যারি পটার লেখিকা জে কে রাউলিং ও পরিচালক কেন বার্নসের নাম রয়েছে।
অন্যদিকে, নাভালনির যথাযথ চিকিৎসা একেবারেই হচ্ছে না বলে গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে মার্চে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, নাভালনিকে বিষপ্রয়োগের পেছনে রুশ সরকারের হাত ছিল।
গেল আগস্টে নভিচক বিষপ্রয়োগে প্রায় মারাই গিয়েছিলেন নাভালনি। বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার শিকার হয়ে জার্মানিতে জরুরি চিকিৎসা নেন তিনি। গেল ফেব্রুয়ারিতে জার্মানি থেকে দেশে ফেরামাত্র বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে অনেক নাটকীয়তার পর নাভালনিকে আটক করে রুশ সরকার। বিষপ্রয়োগের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট পুতিনকে নির্দেশদাতা হিসেবে সন্দেহ করেন এই বিরোধীদলীয় নেতা। অবশ্য তার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রুশ সরকার। ২০১৪ সালে জালিয়াতির একটি মামলায় স্থগিত সাজার শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় মস্কোর একটি আদালত।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/