এশিয়া
জাপানে ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষিত পানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ
দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার পরও ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজষ্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত থেকে সরেনি জাপান সরকার। দেশটির এ সিদ্ধান্তে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। তেজষ্ক্রিয় পানি সামুদ্রিক জীবসহ পুরো প্রকৃতির ওপর নানামুখী বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, ২০১১ সালে ভূমিকম্পে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ফুকুশিমার চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ভূমিকম্পে সৃষ্টি হওয়া সুনামিও আঘাত হানে। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পারমাণবিক চুল্লিগুলো। ঘটনার দশ বছর পর চুল্লিগুলো ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহার করা ১০ লাখ টনের বেশি দূষিত পানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার।
সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে জাপানসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর পরিবেশ সচেতন মানুষ। এ সিদ্ধান্ত চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বলে সমালোচনা করেছে চীন। এছাড়া এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপানের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান। উদ্বেগ জানিয়েছে রাশিয়া, অস্ট্রিয়াও।
তেজস্ক্রিয় পানিগুলো সামুদ্রিক জীবসহ পুরো প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরাও। চীনের পারমাণবিক ও বিকিরণ সুরক্ষা কেন্দ্রের গবেষক লিউ সিনহুয়া বলেন, শিল্প কারখানা বা নর্দমার পানি নিষ্কাশনেই অনেক কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্র ফুকুশিমার মতো একটি দুর্ঘটনাকবলিত পারমাণবিক কেন্দ্রের দূষিত পানি পরিশোধণের উপায় কই? দূষিত পানিতে তেজক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জার্মানির সমুদ্র গবেষণাগার জিওমার হেলহোল্টেজের বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, ফুকুশিমার পাশে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সমুদ্রস্রোত থাকায় সাগরে ফেলার ৫৭ দিনের মধ্যে পুরো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ছাড়িয়ে যাবে তেজস্ক্রিয় উপাদান। তিন বছর পর এর প্রভাব দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। ১০ বছর পর এর প্রভাব দেখা যাবে পুরো বিশ্বের সাগরে।
তাই প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে উপকূলীয় জনগণের জীবনযাত্রা বিপন্ন করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে জাপানের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/