রাজশাহী
রাবি শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের ধাক্কাধাক্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতি বিরোধী শিক্ষক ও চাকুরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের মধ্যে ধ্বস্তা ধ্বস্তির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পূর্বনির্ধারিত সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৪ মে) দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকদের বাধার মুখে সভাটি স্থগিত হয়। স্থগিতের বিষয়টি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম। অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, অনিবার্যকারণ বশত আপাতত সিন্ডিকেট সভাটি স্থগিত আছে। এখন পর্যন্ত সিন্ডিকেটের কোনো কাগজপত্র আমি সহি করি নাই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগ ও স্থানীয়রা সকাল ৮ টা থেকে ভিসি বাসভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন। পরে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক গ্রুপ। শিক্ষকরা উপাচার্য বাসভবনে সাক্ষাতের জন্য ঢুকতে চাইলে চাকুরী প্রত্যাশীদের বাধার সম্মুখীন হন। পরে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কি হয়। দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকের একজন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুন্নবী সামাদী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এর সাথে দেখা করার জন্য বাসভবনের প্রবেশ করতে গিয়ে চাকুরিপ্রত্যাশীদের বাধার সম্মুখীন হই। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেয়। সেখানে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়।
সূত্রে জানা গেছে, হুমকিদাতার নাম আকাশ, সে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বুধপাড়ার বাসিন্দা। দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম টিপু অভিযোগ করেন, সকালে শিক্ষকরা বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ পরিচয় দেওয়া একজন বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেয় এবং বাকিরা ঢুকতে বাধা দেয়।
তিনি দাবি করেন এটি উপাচার্যর প্ররোচনায় হয়েছে। যদি এখানে শিক্ষকরা কোনো দূর্ঘটনার শিকার হয় তাহলে সেই দায় উপাচার্যর নিতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক বলে চান তিনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান শিক্ষকদের অসযোগিতা করে চাকুরীপ্রত্যাশীদের সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ তার। এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান অসহযোগিতার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ক্যাম্পাসের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেছি।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ