আইন-বিচার
বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে এসএসএফ আইন-২০২১ এর খসড়ার অনুমোদন
বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) আইন-২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।
১৯৮৬ সালের এই বিশেষ অর্ডিন্যান্স আইনে পরিণত হবে। এই আইনের আওতায় বিশেষ বাহিনীর নিরাপত্তা পাবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। ক্ষমতায় না থাকলেও শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্য সদস্যরা এই নিরাপত্তার সুবিধা পাবেন।
সোমবার (১৭ মে) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মালনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সচিব জানান, ১৯৮৬ সালের সামরিক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে এসএসএফ পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে সামরিক সরকারের অধ্যাদেশ আইনে রূপান্তরের জন্য আদালতের রায় রয়েছে। সেই রায় বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এটিকে আইনে রূপান্তর করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনে বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের দৈহিক নিরাপত্তা দেবে এসএসএফ। এর বাইরে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদেরও দৈহিক নিরাপত্তা দেবে এই বিশেষ বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে তার দুই মেয়ে ও তাদের সন্তানরা বিশেষ বাহিনীর এই নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন।
জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা আইন রয়েছে, এরপরও আলাদাভাবে এই সুবিধা কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সেটা আলাদা একটি আইন। ওই আইনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। এসএসএফ আইনে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার সুবিধা পাবেন।
সোমবারের এই সভায় পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর আইন, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (Special Security Force) আইন ২০২১, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্বর্ণ নীতিমালা (Gold Policy)-২০১৮ (সংশোধিত-২০২১)- এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ