অন্যান্য
গাছ লাগানোর প্রতিযোগিতা শুরু করল ‘আমব্রেলা’
‘প্রতিযোগিতা হোক পরিবেশকে গাছ উপহার দিয়ে’ শিরোনামে সিলেট থেকে সারাদেশে গাছ লাগানোর প্রতিযোগিতা শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমব্রেলা’। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশব্যাপী গাছ লাগাচ্ছে চার শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ‘শুধু মানুষ নয়, পরিবেশেরও খাদ্য চাই’ স্লোগান সামনে রেখে ব্যতিক্রমধর্মী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমব্রেলা’ বর্ষা মৌসুম এবং কোভিড-১৯ এ দেশব্যাপী এ কার্যক্রম নিয়ে কাজ করছে।
সংগঠনটির উদ্দেশ্য- এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলায় লক্ষাধিক গাছ পরিবেশকে উপহার দেয়া এবং করোনা পরবর্তী বাংলাদেশকে প্রকৃতিবান্ধব করে গড়ে তোলা।
শুধু গাছ লাগানো নয়, বরং পরবর্তী পরিচর্যা এবং পরিবেশ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে গণসচেতনতা তৈরির ওপর ভিত্তি করে ‘আমব্রেলা’ সh প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ‘পরিবেশপ্রেমী অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ হিসেবে দেশসেরা তিনটি সংগঠনকে অ্যাওয়ার্ড, সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
পাশাপাশি দেশের প্রতি বিভাগ থেকে একটি করে মোট আটটি সংগঠকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করবে। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সংগঠনের জন্য রয়েছে সনদপত্র।
এই পুরস্কার বিজয়ীদের বাছাই করার জন্য একটি বিচারক প্যানেল তৈরি করা হয়েছে ‘আমব্রেলার’ পক্ষ থেকে। যেখানে রয়েছেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল, মালায়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ফেলো তাহমিনা ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট জেনিফার আজমিরি।
এই পুরো পরিবেশবাদী কার্যক্রমকে দেশব্যাপী পৌঁছে দিতে মিডিয়া পার্টনার অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় নিউজ ও আউটরিচ পার্টনার হিসেবে ইয়ুথ অপরচুনিটি বাংলাদেশ।
ইতোমধ্যে আমব্রেলার ডাকে সাড়া দিয়ে এ প্রতিযোগিতায় দেশের চার শতাধিক সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যাবে আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত, এরপর অক্টোবর থেকে শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া এবং সবশেষে একটি গ্র্যান্ড অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের দেয়া হিসেবে অ্যাওয়ার্ড।
জাতীয়
শুক্র ও শনিবার ইন্টারনেট ফ্রি করে দিলো গ্রামীণফোন
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক অন্যতম সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। এবার রিচার্জ কিংবা প্যাকেজ কেনা ছাড়াই ইন্টারনেট চালানোর সুযোগ দিয়েছে কোম্পানিটি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) গ্রামীণফোনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) আমাদের নেটওয়ার্কে সবার জন্য ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ফ্রি। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
<iframe src=”https://www.facebook.com/plugins/post.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2FGrameenphone%2Fposts%2Fpfbid02uyp6SmgzkTtERBvh73dhLiU6quBf3nrfukCRDGFyYJsnBZyKDf8h62mPBNDRs9Y6l&show_text=true&width=500″ width=”500″ height=”654″ style=”border:none;overflow:hidden” scrolling=”no” frameborder=”0″ allowfullscreen=”true” allow=”autoplay; clipboard-write; encrypted-media; picture-in-picture; web-share”></iframe>
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। বাণিজ্যিকভাবে টেলিযোগাযোগ (ভয়েস, এসএমএস, ইন্টারনেট ডেটা) সেবা দিয়ে যাচ্ছে চারটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলো– গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও টেলিটক।
জেডএস/
ক্যাম্পাস
খুলছে জবি, প্রাথমিকভাবে ক্লাস চলবে অনলাইনে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)১৮ আগস্ট থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে।আজকেই ছাত্রীদের জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল খুলে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
জানা যায়, ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে। অনলাইন ক্লাস শুরুর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ছাত্র উপদেষ্টা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ আলোচনায় বসবেন।
এক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে জানান,তারা ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তাই প্রাথমিকভাবে অনলাইন ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলে ক্যাম্পাসে এমনিই ছাত্র রাজনীতি থাকবে না বলে তার মনে হচ্ছে, তবে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে সেটা নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, সিন্ডিকেট সভায় আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচসহ তাদের খোঁজ নেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আই/এ
শিক্ষা
চুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্ররাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি।
বুধবার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট।
এসি//