খুলনা
মিথ্যাচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচী শুরু করেছে সরকার: হানিফ (ভিডিও)
বিরোধীরা কেবল বিরোধীতার স্বার্থে ভ্যাক্সিন নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে চলেছেন। কিন্তু সর্বশেষ এটাই চরম সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষন উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে ভ্যাক্সিন এসেছে এবং পরিশেষে তা দেশবাসীর মধ্যে এই টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে’। বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া জেলায় কোভিড-১৯এর টিকাদান কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি নিজে টিকা গ্রহণ করার পর মন্তব্য ব্যক্ত করে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, যখন থেকে দেশে টিকা নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন থেকেই দেশের কিছু বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজ এবং কিছু রাজনৈতিক দল অত্যন্ত নেতিবাচক কথাবার্তা বলেছিলো, তাদের কাছ থেকে এমনও কথা শুনতে হয়েছিলো যে, এইবার করোনায় দেশের রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে, এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার সক্ষমতা সরকারের নেই, কিন্তু তাদের এই ধারণা, ইচ্ছা বা আকাঙ্খাকে মিথ্যা প্রমান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সাতে এই সংকট মোকাবিলা করেছেন, এরমধ্যেদিয়ে প্রমানিত হয়েছে যে, বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজ এবং কিছু রাজনৈতিক দল যা বলেছিলেন তা শুধুমাত্র মিথ্যাচারের জন্যই মিথ্যাচার করেছেন’।
হানিফ আরও বলেন, ভ্যাক্সিন দেশে আসার পরও এরা মিথ্যাচার করে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি ঢুকিয়ে এক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে চলেছেন। তারা বলেছেন যে ভ্যাক্সিন দেশে এসেছে তা স্বাস্থসম্মত নয়, এটা আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে, প্রমান করতে হবে এই ভ্যাক্সিনে কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। এই প্রচারনা চালিয়ে তারা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে’।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোসা: নুরুন নাহার বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত টিকাদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ এর সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদের সভাপতি ডা. এমএম মুসতানজিদ, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম সহ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ।
মুনিয়া
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//