আইন-বিচার
ভ্যানচালক নিখোজেঁর ৭দিন পর মরদেহসহ আসামী গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ভ্যানচালক নিখোজেঁর ৭দিন পর মরদেহ, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করেছে বেলকুচি থানা পুলিশ।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ অফিসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম (ক্রাইম এন্ড অপস) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গেলো ১৭ অক্টোবর দিবাগত রাত তিনটার দিকে অটোভ্যান নিয়ে বেলকুচি গাবগাছি গ্রামের ফকির চাঁন (৩৯) কাজের জন্য বের হন। এরপর পুরো দিনরাত চলে গেলেও ফকির চানেঁর কোন সন্ধান না পেয়ে ফেসবুক পেজে তার সন্ধান চেয়ে পোষ্ট করে তার পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজমিলুর রহমান অটোভ্যান চালকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে থানায় একটি মিসিং ডায়রী করান। এরপর মাঠে নামে পুলিশের একটি টিম। পরবর্তীতে নিখোজেঁর সাথে জড়িত সন্দেহে বেলকুচির ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সঞ্জীত চন্দ্র রাজবংশীকে ((৩৫)আটক করে।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গেলো ২৩ অক্টোবর ভোররাতে উল্লাপাড়া শ্রীফলগাঁতী গ্রামের নিপিয়ার ঘাসের জমি থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। একই সাথে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কামারখন্দ থানার ভারাঙ্গা গ্রামের মো: রহিমের (৩০) কাছ থেকে নিহতের ভ্যান উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার আরও জানায়, মাছ ব্যবসায়ী সঞ্জীত চন্দ্র রাজবংশী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলকুচি কড়ইতলা মোড় থেকে ১৭ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩.৪৫ দিকে উল্লাপাড়া থেকে মাছ আনার কথা বলে ফকির চানেঁর ভ্যানটি ভাড়া করে। এবং উল্লাপাড়ার ঘাটিনা এলাকার নির্জন স্থানে ভ্যানটি থামাতে বলে। ভ্যানচালক ভ্যান থামিয়ে ভ্যান থেকে নামলে তার গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে নেপিয়ার ঘাসের জমিতে ফেলে অটোভ্যান ও চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসামী সঞ্জীত চন্দ্র রাজবংশী পালিয়ে যায়। এবং কামারখন্দ থানার মো: রহিমের কাছে চোরাই ভ্যানটি বিক্রয় করে। পুলিশের অভিযানে ২ জন আসামীকে গ্রেফতার সহ লুণ্ঠিত মালামাল সহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লোহর রডটি জব্দ করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন