চট্টগ্রাম
সিত্রাংয়ে ড্রেজারডুবি : ৮ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সাগরে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ একে একে আট শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ বশর হাওলাদারের (৩৫) মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টায় সর্বশেষ বশর হাওলাদারের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিখোঁজ আট শ্রমিকেরই মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ড্রেজারডুবিতে নিখোঁজ আট শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মরদেহগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে উদ্ধার হয় রহমান খানের ছেলে তারেক মোল্লা, আনিচ মোল্লার আরেক ছেলে শাহিন মোল্লা ও সবশেষ ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে বশর হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৯টায় প্রথম উদ্ধার করা হয় রহমান ফকিরের ছেলে মো. আল-আমিন ফকিরের মরদেহ। পরে বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে আনিচ মোল্লার এক ছেলে ইমাম হোসেন মোল্লা, আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মাহমুদ মোল্লা ও সেকান্দার বারীর ছেলে মো. জাহিদ বারীর মরদেহ। একইদিন রাত ১১টায় নুরু সরদারের ছেলে আলম সরদারের মরদেহ উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে এক হাজার ফুট গভীরে সাগরের মাঝে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন রাখা ছিল। পরে রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে আট শ্রমিক নিখোঁজ হন।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন