বিনোদন
‘হাওয়া’ বইছে কলকাতায়…
গভীর সমুদ্র আর একটি মাছ ধরা নৌকা। কয়েক জন পুরুষ আর এক রহস্যময়ী নারী। কামনা-বাসনা-লালসা ছাড়িয়ে সত্যি-মিথ্যের কানামাছি খেলায় যেন ডুবল-ভাসল কলকাতা। ইন্দ্রদত্তা বসুর লেখনীতে ‘হাওয়া’-র চিত্রায়ণ।
শো’-র সময় সন্ধে ৬টা। অথচ বিকেল সাড়ে তিনটেতেই কলকাতার নন্দন সিনেমা হলে ঢোকার লাইন ছাড়িয়ে গিয়েছে শিশির মঞ্চের গেট। দুপুর ১টার শোয়ের ক্ষেত্রেও একই রকম ভিড়, উন্মাদনা। বিগত কয়েক দিন ধরেই নেটদুনিয়ায় কথা ঘুরছিল— ‘হাওয়া বইবে কলকাতায়’। অনেক মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, জানতে চেয়েছেন কী ভাবে দেখা যেতে পারে এই ছবি। উদ্গ্রীব দর্শকের ঢল সামলাতে গিয়ে হিমসিম পুলিশ, সিকিউরিটি গার্ড, ছবি শুরু হতে হতে সাড়ে ছ’টা। অনেকক্ষণের অপেক্ষার পর যখন আলো নিভল হলে, নন্দন ফেটে পড়ছে সমস্বর উল্লাসে। এই উল্লাসের বহর অবশ্য চলল গোটা ছবি জুড়েই, একাধিক সংলাপে হাসির কলরোল, সিটি, হাততালি কিছুই বাকি থাকেনি। কোনও চলচ্চিত্র উৎসবে নন্দনে এমন অভিজ্ঞতা অচেনা বললেও অত্যুক্তি হবে না।
পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম ছবি ‘হাওয়া’। পোস্টার, ট্রেলার, প্রচার— সব কিছুই ইঙ্গিত দিয়েছিল একটি টানটান থ্রিলারের। অভিনয়ে তারকাখচিত সব নাম। ক্যামেরা ও সিনেমাটোগ্রাফি যে নজরকাড়া হতে চলেছে, তার ঝলক মিলেছিল ট্রেলারেই। এ ছাড়া ছবির গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’র জনপ্রিয়তাও বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে গেলো কয়েক মাস যাবৎ এপার বাংলা,ওপার বাংলা মিলিয়ে আপামর বাঙালির মুখে মুখে। তবে দু’ঘণ্টা দশ মিনিট জুড়ে পর্দায় মুগ্ধ হওয়ার মতো দৃশ্য ও ফ্রেম যেমন মিলে, তেমন দুর্বলতাও চোখে পড়ে বিস্তর। একাধিক বুদ্ধিদীপ্ত সিনেম্যাটিক সম্ভাবনা তৈরি করে নিজেই ভেঙে দিল ‘হাওয়া’।
দর্শকের ছবি দেখার অভ্যস্ত চোখকে সামান্য ধাক্কা দিয়েই শুরু হয় সুমনের ছবি। ‘হাওয়া’ শুরু হয় অসম্ভব ঝাঁকুনি দিয়ে। প্রথমেই পর পর কয়েকটি শটে ক্যামেরা দ্রুত গতিতে প্যান করতে থাকে। একাধিক মানুষের অস্বাভাবিক ক্লোজ-আপের ছেঁড়া ছেঁড়া ইমেজ, মাছ কেনাবেচার ঝটিতি কিছু ফ্রেম, কখনও আবার ক্যামেরায় নীল সাগর, বিশাল আকাশে পাখি উড়ে যাওয়ার দৃশ্য, এবং এ সবের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত জনতার কোলাহল: প্রথম দুই-তিন মিনিটে দর্শক যখন ভেবে কূল পাবেন না কী হচ্ছে, তত ক্ষণে নৌকা ছেড়ে দিয়েছে মাঝদরিয়ার উদ্দেশে। নন্দনের বিরাট পর্দা জুড়ে তখন ড্রোন শটে অনন্ত সমুদ্র ও তার মাঝে একটি নৌকা। পর্দায় ভেসে উঠছে ছবির নাম।
এরপর ছবি ধীরে ধীরে পরিচয় করায় জেলেদের সঙ্গে। অনেক আশা নিয়ে তারা সমুদ্রে বেরিয়েছে মাছ ধরতে। এরাই ছবির মূল চরিত্র, গল্পের চালক। চান হল নৌকার ক্যাপ্টেন। বাকি সকলে— উর্কেস, পার্কেস, নাগু, মোরা, ফনি, এজা— সবাই চানের কথামতো চলে। কেবল থেকে থেকে বেঁকে বসে টাকার সমান ভাগ চাওয়া ইঞ্জিনঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইবা। তবে চান ক্ষুরধার। বাকি সকলকে বুঝিয়ে ইবাকে সে দাবিয়ে রাখতে পারে সহজেই। গল্পের মোড় ঘোরে এক রাতে জালে এক যুবতী ধরা পড়ার পর। সেই মেয়ে কথাও বলে না, উত্তরও দেয় না। বোটে মেয়েদের থাকার নিয়ম নেই। নৌকাবোঝাই পুরুষ মাঝিমাল্লাদের মধ্যে হঠাৎ এক জলজ্যান্ত নারীর উপস্থিতি এক নতুন উপদ্রব। তবে নাম-পরিচয়হীন এই যুবতীর আকস্মিক আগমন তার চেয়েও বেশি রহস্যের। বস্তুত, এখান থেকেই দানা বাঁধে ছবির মূল রহস্য, যা ছবি এগোনোর সমান্তরালে খানিক অলৌকিকতার দিকে যাত্রা করে। সঙ্গে আসে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের অতীত এক জগৎ।
প্রাথমিক পর্ব জুড়ে মূল যে ভাষ্য বার বার উঠে আসে সেখানে রহস্য কম, যৌন উৎকণ্ঠা বেশি। সামগ্রিক ভাবে একটি পুরুষ পরিসরে হঠাৎ এই যুবতীর আবির্ভাব পরবর্তী চাপান-উতোরের উৎস। কারণ, প্রায় সকলেই চায় তার শরীর। তার নিছক অস্তিত্বটুকুও বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, পুরুষের দৃষ্টিতে সে কেবল সম্ভোগের বস্তুমাত্র। যে কোনও পুরুষ-শাসিত পরিসরেই একটি মহিলার এই যে উদ্বেগ ও অস্বস্তি তা বিভিন্ন দৃশ্যে ‘হাওয়া’ ধরে রাখে সযত্নে। যুবতীর মুখে কোনও সংলাপ না থাকায় তার ভাবপ্রকাশের ভাষা অনেকটাই শারীরিক— সে হাত-পা নেড়ে, মুখ-চোখের অঙ্গভঙ্গি করে জানায় মনের ভাব, নিজের জন্য সে সৃষ্টি করে নেয় এক স্বকীয় ভাষা, যা পুরুষের বোধগম্যতার বাইরে। অসহায় চান কবুল করে যে, সে কিছুই বুঝতে পারছে না তার কথার মানে। এ পর্যন্ত ‘হাওয়া’ পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক চমৎকার রাজনৈতিক সমালোচনার ভাষ্য তৈরি করে, যা চিরাচরিত ধারার বাইরে।
কেবল বিবিধ ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল দিয়ে পুরুষের বাসনা-লালিত উগ্র দৃষ্টির প্রতি দর্শককে সচেতন করেই ‘হাওয়া’ থেমে থাকে না, এই ছবি নিয়ে আসে ভাষা সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সমাজ-স্বীকৃত যে ভাষায় আমরা কথা বলি, বিনিময় করি মনের ভাব, তা পুরুষ-নির্মিত, পুরুষের জন্যই ব্যবহৃত। নারীর নিজস্ব অভিজ্ঞতার প্রকাশ এই ভাষায় কতটা সম্ভব বহু বছর ধরে মানবীচেতনাবাদীরা এই প্রশ্ন তুলে আসছেন শিল্পে ও সাহিত্যে। ‘হাওয়া’ তার সেই প্রশ্নকে নিয়ে আসে পর্দায়। তৈরি হয় এক নতুন সম্ভাবনা। অথচ, সেই সম্ভাবনাকে এই ছবি নিজেই ধ্বংস করে।
কিছু ক্ষণের মধ্যেই যুবতীর মুখে সংলাপ আসে, জানা যায় তার নাম গুলতি, পরিচয় বেদেনি। জলের মধ্যে গলা অবধি ডুবে রাতের আঁধারে সে ইবাকে জানায়, নৌকা ডুবাতেই তার আবির্ভাব। দেবীর নির্দেশ। এরপর একে একে নৌকায় অনিষ্ট— জালে মাছ না পাওয়া, ইঞ্জিন খারাপ, তেলের ট্যাঙ্ক ফুটো— এমন অনেক আশ্চর্য ঘটনা পর পর ঘটে যেতে থাকে। রহস্যও মূলত দ্বিতীয় পর্বে ঘনীভূত হয় ক্রমাগত অস্বাভাবিক কিছু ঘটনার ধারাবাহিকতায়। গতি বাড়ে দ্বিতীয়ার্ধেই। ছবি দেখতে দেখতে দর্শকের কখনও মনে পড়বে স্যামুয়েল টেলর কোলরিজের বিখ্যাত ‘রাইম অব দি এনশিয়েন্ট মেরিনার’-এর কথা, বিশেষ করে নৌকার শালিক পাখিটিকে যখন শেষের দিকে উন্মাদপ্রায় চান মেরে ফেলে, তখন অ্যালবাট্রসের কথা মনে আসে। ছবির শেষ আবার মিলিয়ে দেয় বেহুলা-লখিন্দরের গল্পের সঙ্গে, ‘চান’ নামটির সঙ্গেও অদ্ভুত মিল মনসামঙ্গলের চাঁদের।
ঢালিউড
পুলিশকে ফুল-চকলেট দিয়ে বরণ করে নিন: ফারুকী
গেল ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ঢাকার থানাগুলো পুলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিয়েছে। হামলা, অপরাধ, সহিংসতার পরিমাণও বেড়েছে। এমন অবস্থায় সকল পুলিশ সদস্যদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ নিজ ইউনিটে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
পুলিশ সদস্যরা যেন নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সুন্দর পরিবেশে আবারও কাজে ফিরতে পারেন, সেজন্য সাধারণ মানুষের প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘আশা করি আজ-কালকের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিবে। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবে তারা এই আশা আমাদের।’
এরপর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ফারুকী লেখেন, ‘আমরা কি একটা কাজ করতে পারি? রাস্তায় কর্মরত পুলিশ দেখলে তাদের সাথে একটু হাসি বিনিময় করতে পারি? পারলে একটু মোলাকাত? একটা ফুল? অথবা চকলেট? ’ কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য গোটা পুলিশ ইউনিট দোষী হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এমনটা উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, ‘আমি সাধারন কিছু পুলিশের ইন্টারভিউ দেখছিলাম। তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতালিপ্সার কাছে অসহায় ছিলো, কিছু খারাপ অফিসার কিভাবে তাদের ব্যবহার করেছে, তাদের পরিবার পরিজন কতটা অনিরাপদ এবং বিব্রত- এইসব বলতে বলতে কেঁদে দিচ্ছিলো কয়েকজন পুলিশ সদস্য! ‘
এই নির্মাতা আরও উল্লেখ করেন, ‘তারা শুধু একটা দাবিই জানাচ্ছিলো- আর কখনো দলীয় পুলিশ হতে চায় না। তারা মর্যাদার সাথে রাষ্ট্রের কর্মচারী হতে চায়!’
সবশেষ পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এই নির্মাতা লেখেন, ‘ক্যান উই গিভ দেম সাম কমফোর্ট? জাস্ট সো দে ফিল দে আর ওয়ান অফ আস?’
সরকার পতনের পর সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে দেশের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।
এসআই/
ঢালিউড
এফডিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার বণিক
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার বণিক। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির এমডির দায়িত্বে থাকা নুজহাত ইয়াসমিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পনির্দেশক ও বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া।
সাবেক এমডির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ ছিল। তাকে দায়িত্ব থেকে সরাতে নানা সময় বিএফডিসির কর্মচারীরা ও সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠন আন্দোলনও করেছিল। তবে কোনো কারণেই সরানো যাচ্ছিল না তাকে। এবার সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্ব থেকে তাকে বিদায় করা হলো।
দিলীপ কুমার বণিক ৭ আগস্ট বিএফডিসি কার্যালয়ে যোগদান করেছেন বলেও জানান বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া।
এসআই/
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন