ময়মনসিংহ
জামালপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু ৬
বজ্রপাতে জামালপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ছয় ব্যক্তি ও দুটি গরুর মারা গেছে। এর মধ্যে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় একজন নারীসহ তিনজন ও দুটি গরু, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় মারা গেছেন একজন করে।
আজ শুক্রবার (৪ জুন) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় এসব স্থানে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের পূর্বকলকিহারা গ্রামের মহিজল হকের ছেলে হরবাদশা (৪৫), একই গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী আকিজা বেগম (৩৫) ও উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান (৫৫) বজ্রপাতে মারা যান। তাদের মধ্যে হরবাদশা ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে, আকিজা বেগম বাড়ির পাশে ধান শোকানোর সময় এবং খলিলুর রহমান স্থানীয় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। এ সময় একই ইউনিয়নের মাদারেরচর গ্রামের বুদু মিয়ার দুটি গরু বজ্রপাতে মারা গেছে।
অপরদিকে একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নে রানা মিয়া (১৮) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক বজ্রপাতে মারা গেছেন। রানা মিয়া স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে দিঘিরপাড় এলাকায় বজ্রপাতের শিকার হন। তিনি দেওয়ানগঞ্জের গামারিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এ ছাড়া বিকেল ৫টার দিকে জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বাড়ই পটল গ্রামে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে আঙ্গুরী বেগম (৪৫) নামে একজন গৃহবধূ মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় মোজাম্মেল হকের স্ত্রী। সন্ধ্যায় বৃষ্টির সময় মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বীর ঘোষেরপাড়া গ্রামের কৃষক তাজেল মণ্ডল (৪০) বাড়ির কাছে মাঠে খড় গোছানোর কাজ করছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তিনি মারা যান। তিনি স্থানীয় কাজিম উদ্দিনের ছেলে।
দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও থানা সূত্র বজ্রপাতে ছয় ব্যক্তি ও দুটি গরুর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শেখ সোহান
ময়মনসিংহ
বন্ধুদের নিয়ে নববধূকে ধর্ষণ,স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২
টাঙ্গাইলে স্বামীর সহযোগিতায় বাসর রাতে বন্ধুদের নিয়ে নববধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল বাছেদ (২৫) ও বন্ধু জহুরুল ইসলামকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর বন্ধুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) অভিযুক্ত দু আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিয়ে করে ওই নববধূকে নিজের বাড়িতে তোলেন আব্দুল বাছেদ। বাসর রাতে প্রবেশের পর বাছেদের সহযোগিতায় তার দুই বন্ধু কৌশলে ভুক্তভোগী নববধূকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা পাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গেলো ২৭ জুলাই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় গ্রেপাত দুই আসামিসহ বর্তময়ানে পলাতক রবিন মিয়াকে (২৬) আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার বন্ধুকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আই/এ
জনদুর্ভোগ
বন্যার পানিতে গোসলে নেমে ৪ জনের মৃত্যু
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুচর এলাকায় বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে লোকজন গিয়ে দেখেন মরদেহ পানিতে ভেসে উঠেছে। এ সময় বেঁচে ফেরেন মারিয়া (১২) নামের এক শিশু।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- দক্ষিণ বালুচর এলাকার দিশা আক্তার (১৭), সাদিয়া (১০), খাদিজা (১০) ও রোকশানা (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে দক্ষিণ বালুচর এলাকার পাশাপাশি বাড়ির তিন শিশু, এক কিশোরী ও এক গৃহবধূ ফসলি জমিতে বন্যার পানিতে গোসল করতে যান। গোসল করার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই চারজন পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় দূরে থাকা এক কিশোরী তাদের তলিয়ে যাওয়া দেখে দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর দেন।
স্থানীয়দের বরাতে (ওসি) রাজু বলেন, এলাকার লোকজন বলছেন, অল্প পানিতেই সবাই গোসল করতে গিয়েছিল। এই পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাতে সবাই হতবাক। এর মধ্যে আগামী শুক্রবার দিশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ আলী বলেন, দুপুরে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এএম/
ময়মনসিংহ
বন্যায় টাঙ্গাইলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও, কিছু এলাকায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় অনেক নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এর ফলে প্রায় ছয়টি উপজেলার ১১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই)টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, বন্যার পানিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার ৬৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে রয়েছে। তবে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় নতুন এলাকার ফসলি জমি বন্যাকবলিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, জেলার ভূঞাপুর, নাগরপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, বাসাইল উপজেলার ৪৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ছাড়া যমুনাসহ তিনটি নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষদের দুর্ভোগ কমেনি। বর্তমানে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গোখাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ বছর বন্যায় যেসকল মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।
জেড/এস