আইন-বিচার
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। জোর করে দপ্তরে প্রবেশ করে সচিবকে শারীরিক হেনস্তা ও ত্রাস সৃষ্টির মামলায় আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক ফয়সাল তারেক শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গেলো বছর ১৮ অক্টোবর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বাদী হয়ে রাজশাহী মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেছিলেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত এ দুই কর্মকর্তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল। সভাপতি মঞ্জুর রহমান খান উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) পদে ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হোসেন উপসচিব (ক্রীড়া অফিসার) হিসেবে কর্মরত আছেন।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, সাবেক সচিব মামলা দায়েরের পর বিচারক শঙ্কর কুমার বিশ্বাস গেলো বছরের ৩ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রাজশাহী অঞ্চলের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করেন রাজশাহী পিবিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুল মান্নান। গেলো ১৭ অক্টোবর পিবিআই পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তবে পুলিশের এ প্রতিবেদনে আসামি মঞ্জুর রহমান খান ও ওয়ালিদ হোসেনকে সরাসরি অভিযুক্ত করেননি। পুলিশ প্রতিবেদনে ঘটনাকে আড়াল করার অভিযোগে বাদী আদালতে নারাজি দাখিল করেন। বাদীর আইনজীবী পুলিশি তদন্তের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়ে অভিযোগটি সরাসরি আমলে নেয়ার আবেদন করেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে এবং বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। এ সমন পাঠানো হয় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ঠিকানায়।
এদিকে সমন পেয়েও সোমবার মামলার নির্ধারিত দিনে দুই আসামি মঞ্জুর রহমান খান ও ওয়ালিদ হোসেন আদালতে হাজির হননি। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ফয়সাল তারেক এই দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, সাবেক সচিব ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বোর্ডের হিসাব বিভাগের উপপরিচালক অধ্যাপক বাদশা হোসেনের সঙ্গে নিজ দপ্তরে বৈঠক করছিলেন। এ সময় বোর্ডের উপসচিব ওয়ালিদ হোসেন ও হিসাব কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র সেন জোর করে কক্ষে প্রবেশ করেন। ওয়ালিদ হোসেন মারমুখী হয়ে সচিবকে চড় মারতে যান। কিছুক্ষণ পরেই কক্ষে প্রবেশ করেন উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মঞ্জুর রহমান খান। তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে সচিবের কক্ষে তাণ্ডব চালান। পরিস্থিতি দেখে দায়িত্বরত আনসার সদস্য তাদের দরজা আটকে দেন। ওয়ালিদ হোসেন ও মঞ্জুর রহমান খান সচিবের কক্ষের ভেতরে কিছু সময় ত্রাস সৃষ্টি করেন এবং সচিবকে গালাগাল দিতে থাকেন। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তারা। সচিবের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পুরো ঘটনাটি শিক্ষা বোর্ডের সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়।
অন্যদিকে, এ ঘটনার তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তে বোর্ডের দুই কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বাদীর আইনজীবী একরামুল হক বলেন, দুই আসামি যেদিন জামিনের জন্য আদালতে উপস্থিত হবে, সেদিনই বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের কাছে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন