ফুটবল
বিশ্বকাপ উন্মাদনায় বাংলাদেশি বিনোদন তারকারা
আর মাত্র কদিন পরেই কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ ফুটবল টূর্ণামেন্ট। এই খেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নিয়ে বাংলাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সেই উত্তেজনার জোয়ারে ভাসছেন বাংলাদেশী বিনোদন তারকরা।
কে কোন দল সাপোর্ট করেন তা ইতোমধ্যে জানান দিতে শুরু করেছেন এসব তারকা। পছন্দের দলের জার্সি পড়ে ইতোমধ্যে শুভকামনাও জানাচ্ছেন অনেক তারকা। তাদের মধ্যে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সমর্থকই বেশী।
চিত্র নায়ক শাকিব খান গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি আর্জেন্টিনার সমর্থক। ম্যারাডোনা তার বাল্যকালের হিরো। পাশাপাশি ব্রাজিলের খেলাও পছন্দ করেন। তিনি মনে করেন, ল্যাতিন আমেরিকার ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দলই ফুটবলকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
ব্রাজিল নাকি আর্জেন্টিনা? কোন দলের খেলা পছন্দ করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে চিত্র নায়িকা শবনম বুবলী জানিয়েছেন, দুই দলের খেলাই উপভোগ করেন তিনি। তবে পছন্দের দলের নাম বলতে চাননা তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বুবলী বলেছেন, ‘যখন দেখি বা শুনি আমাদের দেশের মানুষ বিশেষ করে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের মতো ভিন দেশের খেলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট, রেষারেষি, গালাগালি, তর্কাতর্কি, গণ্ডগোল, আহাজারি এবং আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটাচ্ছে তখন দু:খ লাগে।
চিত্র নায়িকা অপু বিশ্বাস ছোটবেলা থেকেই ব্রাজিলের সমর্থক। তিনি বলেছেন, একসময় না বুঝেই ব্রাজিল সাপোর্ট করতেন। আর এখন তিনি সাপোর্ট করেন খেলা বুঝে। ছেলে আব্রাম খান জয়কেও ব্রাজিলের জার্সি পরিয়ে বানিয়েছেন ব্রাজিলের সমর্থক বানানোর চেস্টা করছেন তিনি।
হালের আলোচিত নায়িকা পরীমনি আর্জেন্টিনার সমর্থক। তবে তিনি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার নেইমারকে পছন্দ করেন।
ঢালিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি ওমর সানি –মৌসুমি ব্রাজিলের সমর্থক। ব্রাজিলের জার্সি পরে ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে তা প্রকাশও করেছেন।
খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ব্রাজিলের সমর্থক। চিত্রনায়ক সায়মন সাদিকও সসমর্থন করেন ব্রাজিলকে। পেলে-নেইমারদের ব্রাজিলকে পছন্দ করেন বিদ্যা সিনহা সাহা মিম এবং অভিনেত্রী মোনালিসা । তবে আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ম্যারাডোনা-মেসির আর্জেন্টিনার সমর্থক।
আলোচিত নায়িকা পূজা চেরিও মেসির ভক্ত। অভিনেতা ও শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। চিত্রনায়ক নিরব ও ইমন দুজনেই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। ইলিয়াস কাঞ্চনও মেসির আর্জেন্টিনার ভক্ত।
দুই পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা জাহিদ হাসান ছোটবেলা থেকেই সমর্থন করেন আর্জেন্টিনাকে। ফুটবল ভালোবাসেন। সময় পেলে খেলা দেখেন প্রিয় দল এবং মেসীর।
তারকা দম্পতি তিশা-ফারুকী আবার ভিন্ন দলের সমর্থক। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সমর্থন করেন ব্রাজিলকে। আর তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার একনিষ্ঠ ভক্ত।
জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও তার ছেলে শুদ্ধ আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। ছোটপর্দার হার্টথ্রব অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব সমর্থন করেন ব্রাজিলকে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন