ফুটবল
কাতার পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা
ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততা কাটিয়ে ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরে অংশ নিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা দল।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) আবুধাবি থেকে সরাসরি কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছায় মেসি-ডি মারিয়ারা।
বিশ্বকাপ মিশনের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুশীলন সেরেছে আর্জেন্টিনা দল। এর অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) আবুধাবিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। যেখানে ৫-০ গোলের বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কোচ লিওলেন স্কোলানির শিষ্যরা।
আগামী রোববার থেকে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপ। যেখানে গ্রুপ ‘সি’তে অবস্থান করছে আলবেলিস্তেরা। গ্রুপ পর্বের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো, পোল্যান্ড ও সৌদি আরব।
বিশ্বকাপের আগে টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। এর আগে ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আকাশি নীল শিবির। পরে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়েছে ফাইনালিসিমায়। ফলে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট বলা যায় আর্জেন্টিনাকে।
তবে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি এ বিষয়ে বেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সুযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ইউনিভার্সো ভালদানো শো’য়ে মেসি বললেন, ‘আজকাল সব জাতীয় দলের বিপক্ষে খেলা কঠিন। প্রত্যেক দল (বিশ্বকাপে) হতে যাচ্ছে কঠিন, তাদের সহজে হারানো যাবে না। ইউরোপিয়ান দলগুলোর (অপরাজেয় থাকার পথে) বিপক্ষে আমাদের অনেক বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি। যদিও তারা আমাদের বিপক্ষে খেলতে পছন্দ করে না, দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর বিপক্ষেও খেলা কঠিন।
মেসি যোগ করেন, ‘আমরা ভালো ফর্মে থেকে ফাইনালসে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা ফেভারিট এবং এটা জিতবো, এই হাইপে বিশ্বাস করার ফাঁদে আমাদের পা দিলে চলবে না। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং ধাপে ধাপে এগোতে হবে।’
একনজরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দল
গোলরক্ষক : এমিলিয়ানো মার্তিনেস, হেরোনিমো রুলি ও ফ্রাঙ্কো আরমানি।
ডিফেন্ডার : নাহুয়েল মোলিনা, গনসালো মনতিয়েল, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, হেরমান পেস্সেইয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্তিনেস, মার্কোস আকুনিয়া, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো ও হুয়ান ফয়েথ।
মিডফিল্ডার : রদ্রিগো দে পল, লেয়ান্দ্রো পারেদেস, আলেক্সিস মাক আলিস্তের, গিদো রদ্রিগেস, আলেহান্দ্রো গোমেস, এনসো ফের্নান্দেস ও এসেকিয়েল পালাসিওস।
ফরোয়ার্ড : আনহেল ডি মারিয়া, লাউতারো মার্তিনেস, হুলিয়ান আলভারেস, পাওলো দিবালা, নিকোলাস গনসালেস, হোয়াকিন কোররেয়া ও লিওনেল মেসি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন