ফুটবল
সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোলে বাংলাদেশকে হারালো ভারত
ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের আটকাতে পারলেও কাতারে তাদের রুখতে পারল না জামাল ভূঁইয়ারা। টানা তিন ম্যাচে ড্র করার পর বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের প্রি-বাছাই ম্যাচে ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ। অধিনায়ক সুনিল সেত্রীর জোড়া গোলে লাল-সবুজ দলকে ২-০ ব্যবধানে হারাল ভারত।
সোমবার (৭ জুন) কাতারের রাজধানী দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণ ঠিক রেখে দ্রুত আক্রমণ করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় মিনিটেই রাকিব হোসেন হলুদ কার্ড দেখেছেন। ভারতের অর্ধে বল দখলের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার ব্রেনডনকে ফাউল করেন রাকিব। ইরাকি রেফারি কার্ড দেখান রাকিবকে।
ম্যাচের ৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। রহমতের থ্রো-ইন থেকে বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো রাকিব বলে পা লাগাতেই পারেনি।
১৫ মিনিটে মানভির সিং গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। মিডফিল্ড থেকে থ্রু পাসে বাংলাদেশের ডিফেন্স ভেদ করে মানভির বক্সে প্রবেশ করেন। আগুয়ান গোলরক্ষক জিকোকে পাশ কাটিয়ে অবশ্য সেভাবে শট নিতে পারেননি মানভির। বক্সের মাঝে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করেন।
২৬ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্তে ফ্রিকিক পায় ভারত। তবে সেই আক্রমণ থেকে কিছু করতে পারেনি তারা। দুই মিনিট পর বাংলাদেশও ফ্রিকিক পায়। জামাল ভূঁইয়ার নেয়া লম্বা ফ্রিকিক ভারতের রক্ষণ দেয়াল আটকে দেয়।
ম্যাচের ৩১ মিনিট পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলেছে ভারত। ওই সময় পর্যন্ত ৭৫ ভাগ বল পজিশনে ভারত। মাত্র ২৫ ভাগ দখলে ছিল বাংলাদেশের ফুটবলারদের পায়ে।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে বাংলাদেশের আরেক ফুটবলার রহমত মিয়া কার্ড দেখেন। তার দুই মিনিট পর মাসুক মিয়া জনির পরিবর্তে মিডফিল্ডার ইব্রাহিমকে নামান কোচ জেমি ডে। ইব্রাহিম নামার পরের মিনিটেই গোল লাইন সেভ করেন ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফি৷ কর্নার থেকে সিংয়ের হেড গোললাইন থেকে ফেরান রাফি।
প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে একাধিকবার আক্রমণে যায় ভারতীয় ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু সফল হতে পারেনি ভারতীয় স্টাইকারা। ফলে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
গোল পেতে মরিয়া ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একসঙ্গে দুই খেলোয়াড় পরিবর্তন করেন। একের পর এক আক্রমণ করেও বাংলাদেশের গোলমুখ খুলতে পারেনি তারা। তবে ৭৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে ভারতকে এগিয়ে দেন সুনিল সেত্রী। এটা ভারতীয় অধিনায়কের ৭৩তম আন্তর্জাতিক গোল। ডান প্রান্ত থেকে ক্রসে অধিনায়ক সেত্রী বক্সের মধ্যে হেড করে গোল করেন। দুই ডিফেন্ডার থাকলেও তারা মার্ক করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ককে।
যোগ করা সময়ে আরও একটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। এবারও গোলদাতার নাম সেই সুনিল সেত্রী। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
একই ভেন্যুতে আগামী ১৫ জুন শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//