অপরাধ
মোবাইল ছিনতাই চক্রের ১১ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
মঙ্গলবার (৮জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) হারুন অর রশীদ জানান, পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারেও কাজ চলছে।
তিনি জানান, মোবাইল ছিনতাইয়ে জড়িত চক্রের হোতাদের খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে পুলিশ বলছে, পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারেও কাজ চলছে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাই চক্রের সদস্যরা।
হারুন অর রশীদ বলেন, জনসমাগম হয় এমন এলাকায় হঠাৎ ভিড় তৈরি করে টার্গেট করা ব্যক্তির কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে সটকে পরে চক্রের সদস্যরা। কোথাও আবার গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত গাড়িতে থাকা যাত্রীর কাছ থেকে থাবা দিয়ে ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ফোন। এসব চুরি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত চক্রের প্রতিটি সদস্যের কর্মকাণ্ড থাকে সুনির্দিষ্ট। চক্রের একজন জানায়,'তিন বছর আগে ঢাকায় আসি। তখন আমার বসের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সে আমাকে চুরি করা মোবাইল ফোন দিতো। আমি সেগুলো বিক্রি করে দিতাম। এলাকায় যে থাকা পার্টি ছিলো তারাও আমাকে মোবাইল ফোন এনে দিতো বিক্রির জন্য। আমি বিক্রি করে কিছু লাভ পেতাম।'
এসব চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও সম্প্রতি রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর আরো বেশি তৎপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযান চালিয়ে এমন এক চক্রের এগারো সদস্যকে ৩৪টি মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন,'তারা যেদিন পকেট মারার কাজ না পায় বা থাবা পার্টির কাজ করতে পারে সেদিন তারা বাসা বাড়ির গ্রীল কাটে। প্রতিটি বাড়িতেই তো মোবাইল ফোন থাকে ওই ফোনগুলো তারা নিয়ে যায়।'
ছিনতাই করা মোবাইল ফোন বিক্রি করার সময় ধরা পরলে জড়িত সদস্যেদের আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে চক্রের কয়েকজন হোতা। হারুন অর রশীদ আরও জানান,'একেক জন বড় ভাইয়ের আন্ডারে ২০ থেকে ৩০ জন পকেটমার বা থাবা পার্টি থাকে তারা করে কি ওই সকল বড় ভাইয়ের কাছে মোবাইল ফোন দিয়ে আসে। বড় ভাই ওই সব মোবাইলের সীম খুলে রেখে, একটা পর্যায় পার হলে ফোন বিক্রি করে দেয়।'
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ