রাজশাহী
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আওয়ামী লীগ পুলিশ ও বিএনপি’র ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ধারকৃত ককটেল নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় পক্ষ থেকে বলছে ককটেলটি তাদের নয়। অভিযোগ করছে একে অপরকে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিস্ফোরিত ও পাঁচটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলছে এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির লিফলেট বিতরনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ও পুলিশ সদস্য সহ মোট ২০ জন আহত হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগ। দলটির জেলার সভাপতি এ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান জানান, বিএনপি নাশকতার উদ্দেশ্যে দেশিও অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের নেতা কর্মীর উপর হামলা চালায়। তারা আবারো দেশে জ্বালাও পোড়াও ও বোমা বাজি শুরু করেছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ বিষয়ে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবার জন্য পুলিশ প্রসাশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে ঘটনার সময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ও তাদের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কামারখন্দ উপজেলায় অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, আমরা শান্তিপূর্ন ভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছিলাম। এসময় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। আমাদের নেতাকর্মীরা শহর থেকে উপজেলায় শান্তিপূর্ন কর্মসূচি করতে গিয়েছিলাম। তাহলে কিভাবে আমাদের কাছে ককটেল বা দেশিয় অস্ত্র থাকবে। এটা আওয়ামীলীগের মিথ্যাচার। তারা বরং পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করেছে, ককটেল চার্জ করেছে। আমাদের সাবেক এমপির গাড়ি সহ তাকে আহত করেছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরন্নবী প্রধান বলেন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় পুলিশ ছররা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরিত ও পাঁচটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো কোথা থেকে এখানে আসলো আর এগুলো কারা আনলো এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন