ফুটবল
শুধু স্বপ্নই রইলো বেনজেমারের বিশ্বকাপ!
কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। এর মধ্যেই ঘটলো এক দুর্ঘটনা। যা ফ্রান্সের জন্য হতে পারে অনেক বড় ধাক্কা। ফ্রান্স হারাল দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্যকে।
চোটের আঘাতে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন দলের তারকা ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। এক নিমিষেই সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল তার।
কাতারে রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পর্দা উঠবে বৈশ্বিক আসরের। তার আগের দিন মাঝরাতে বেনজেমার বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা শেষ বলে জানায় ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশন।
চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই চোট ভোগাচ্ছিল তাকে। মৌসুমের শুরুতে পড়েছিলেন হাঁটুর চোটে। পরে পায়ের পেশিতে চোট পান তিনি। ফলে বিশ্বকাপের আগে রিয়াল মাদ্রিদের সবশেষ চার ম্যাচে খেলতে পারেননি এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
ওই চোট কাটিয়ে শনিবারই পুরোদমে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেন বেনজেমা। তবে পেশির সমস্যার কারণেই অনুশীলন শেষ করতে পারেননি বলে তখন ক্রীড়া পত্রিকা লেকিপে ও আরএমসি স্পোর্ট জানিয়েছিল।
কোচ দিদিয়ে দেশম বলেন, “করিমের জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে, এই বিশ্বকাপকে সে বড় লক্ষ্য বানিয়েছিল। ফ্রান্স দলে নতুন এই ধাক্কার পরও, স্কোয়াডের বাকিদের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। সামনে যে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, তাতে জিততে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ফ্রান্সের ২০১৪ বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন বেনজেমা। পরের বছর সেক্সটেপ কাণ্ডে সতীর্থকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে জাতীয় দলের বাইরে ছিটকে পড়েন তিনি।
দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে গত বছরের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়শিপের আগে দেশমের দলে ফেরেন বেনজেমা। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আলো ছড়িয়ে দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
গত মৌসুমটা বেনজেমার কাটে স্বপ্নের মতো। রিয়ালের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেন ৪৪ গোল। স্বীকৃতি হিসেবে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো জেতেন ব্যালন ডি’অর।
বিশ্বসেরার মুকুট ধরে রাখার মিশনে ফ্রান্সের বড় অস্ত্র ছিলেন বেনজেমা। তিনি নিজেও প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ পেতে ছিলেন উদগ্রীব। কিন্তু চোট তাকে সেই চেষ্টাও করতে দিল না।
বিশ্বকাপের আগে থেকেই চোট ভীষণ ভোগাচ্ছে ফরাসি দলটিকে।
চোটের কারণে দুই মিডফিল্ডার পল পগবা ও এনগোলো কঁতেকে আগেই হারায় তারা। এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতিপর্বে অনুশীলনে সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সঙ্গে সংঘর্ষে হাঁটুর লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ছিটকে যান লাইপজিগের স্ট্রাইকার ক্রিস্তোফা এনকুনকু।
তালিকায় এবার যোগ হলো বেনজেমার নাম।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন