রাজশাহী
বিএনপি কার্যালয় থেকে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার
নাটোরের লালপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ নভেম্বর ২০২২) রাতে উপজেলার গোপালপুর বাজার বটতলার উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী আজিমনগর স্টেশন থেকে গোপালপুর বাজার বটতলার পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপি অফিস থেকে তাদেরকে গালিগালাজ করা হয়। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অফিসের সামনে রুখে দাঁড়ালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে হট্টগোল শুরু হয়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় যুবলীগ কর্মী নেওয়াজ শরীফ বিকি আহত হন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) মো. শরীফ আল রাজীবসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অফিসে তল্লাশী করে বাঁশের লাঠি, গেটের সামনে থেকে একটি ব্যাগে থাকা ৫টি ককটেল ও ২টি পেট্রোল বোমা এবং বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা উদ্ধার করেন।
গোপালপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মোলাম বলেন, গত ১৫ নভেম্বর ২০২২ দিবাগত রাত ৯ টার দিকে গোপালপুর বাজার বটতলার পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কয়েকজন যুবলীগ নেতা-কর্মী অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় হামলা থেকে বাঁচতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে রক্ষা পান।
গোপালপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন বলেন, নাশকতা সৃষ্টির জন্যেই বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাদের কার্যালয় পেট্রোল বোমা ও ককটেল জমা করে রেখেছিল। পুলিশ এসে তা উদ্ধার করেছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় মহাসমাবেশ উপলক্ষে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই বিএনপির সন্ত্রাসীরা এমনটা করছে বলে তাদের ধারণা।
বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য, বিএনআরসি এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্য ও ঢাকা সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর সম্মেলন বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্রমূলক বিএনপির ওপর অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলা-মামলায় বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বিজয় ছিনিয়ে আনতে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তাঁরা প্রস্তুত রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ও যুবলীগ কর্মী নেওয়াজ শরীফ বিকি বাদি হয়ে ৮জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন ।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন