ফুটবল
কাতার বিশ্বকাপে যত নতুন নিয়ম
আজ রোববার (২০ নভেম্বর) থেকে কাতারে পর্দা উঠছে ২২তম বিশ্বকাপ ফুটবলের। বিশ্বসেরার মুকুট পড়তে এক মাস ধরে লড়াই চলবে বিশ্ব ফুটবলে। তারকাদের সাথে নজর থাকবে নতুনদের ওপড়ও। সারা বিশ্বের নজর থাকবে কাতারে ফুটবল যুদ্ধের দিকে।
এবারের বিশ্বকাপের আগে কতিপয় নতুন সিয়ম করেছে বিশ্ব ফুটবলের নির্বাহী সংস্থা ফিফা।
গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট সমান হলে : এবারের বিশ্বকাপে আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে ৩২টি দল অংশ গ্রহণ করবে। গ্রুপে থাকা চারটি দলের প্রতিটি দল তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। তিন ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুদল শেষ ষোলোর টিকিট পাবে। যদি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কোনও দলের পয়েন্ট সমান হয়, গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকা দল যাবে পরের পর্বে। তখনও যদি গোল সমান হয় তখন যে দল বেশি গোল করবে তারাই পরের পর্বের টিকিট পাবে।
তারপরও যদি পয়েন্ট সমান, গোল পার্থক্য সমান এবং গোল করার সংখ্যাও সমান হয় তখন গ্রুপ পর্বে একে অপরের লড়াই দেখা হবে। সেখানেও যদি সবকিছু সমান হয় তাহলে যে দল কম কার্ড দেখেছে, সেই দল যাবে পরের রাউন্ডে। তাতেও যদি সমান হয় তাহলে ফিফার র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দল যাবে শেষ ষোলোতে।
অফসাইড : ফুটবলে একজন ফুটবলারের অফসাইডের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে ফিফার। তারপরও এবারের বিশ্বকাপেও প্রযুক্তির সহায়তায় অফসাইড ধরা হবে। এতে অফসাইড নিয়ে বির্তক থাকবে না। ২০১৮ বিশ্বকাপে ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল।
কাতারে অফসাইডের জন্য চালু হচ্ছে সেমিঅটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি। প্রতিটি স্টেডিয়ামের ছাদের নিচের অংশে ১২টি ট্র্যাকিং ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কোন অফসাইড হলেই ভিডিও ম্যাচ অফিশিয়ালদের কাছে অফসাইড সংকেত চলে যাবে।
খেলোয়াড় পরিবর্তন : করোনাভাইরাসের আগে ফুটবলে তিন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যেত। করোনার পর থেকে ৯০ মিনিটের মধ্যে পাঁচটি পরিবর্তন করার নিয়ম শুরু হয়। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায়, আবারও নিয়ম পাল্টেছে। এবারের বিশ্বকাপে পাঁচ জন ফুটবলার পরিবর্তন করা গেলেও সেটি করতে হবে তিন বারের মধ্যে। বিরতির সময় বাদ দিয়ে তিন বারের মধ্যে পাঁচ জন ফুটবলার পরিবর্তন করা যাবে। এটি খেলোয়াড়কে সতেজ রাখতে এবং কোচকে কৌশল পরিবর্তন করতেও সাহায্য করবে। পেনাল্টি শুটআউটের আগে মূল একাদশে পরিবর্তন বা গোলরক্ষক পরিবর্তন করতে পারবে।
পেনাল্টির সময় লাইনে পা রাখতে হবে গোলরক্ষককে : ইউরোপের অনেক লিগেও এই নিয়ম চালু আছে । ফিফা বিশ্বকাপে এই নিয়ম থাকাতে অবাকের কিছু নেই। পেনাল্টি কিকে নিয়ম বলছে, পেনাল্টি কিকের আগে গোলরক্ষকের একটি পা অবশ্যই লাইনে থাকতে হবে।
ম্যাচ চলাকালীন বেঞ্চের তালিকা : বিশ্বকাপ দলে অন্তত ২৩ জন থাকবে। তবে সর্বোচ্চ ২৬ জন ফুটবলার রাখা হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন দলের বেঞ্চে ২৬ জনের বেশি বসতে পারবেন না। এরমধ্যে ১৫ জন বদলি ফুটবলার এবং ১১ কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন অবশ্যই দলের চিকিৎসক হতে হবে।
নারী রেফারি : এই প্রথমবারের মতো পুরুষ ফুটবল বিশ্বকাপে নারী রেফারিদের দেখা যাবে। বছরের পর বছর এর উল্টোটা দেখা গেছে বিশ্ব ফুটবলে। নারীদের ফুটবলে পুরুষ রেফারি ছিলো। এবার পুরুষ ফিফা বিশ্বকাপে নারী রেফারিদের দেখা যাবে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন