ফুটবল
ইতিহাস ভাঙল কাতার, শুভ সূচনায় ইকুয়েডর
মরুর দেশে ধ্বনিত হলো ফিফা বিশ্বকাপের সুর। সেই সুরে সুর মেলালো লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। নিজেদের মাঠে স্বাগতিক কাতারকে রিতিমত স্তব্ধ। বিশ্বকাপ যাত্রা দারুণভাবে শুরু করেছে ইনার ভ্যালেন্সিয়ার দল। অন্যদিকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো স্বাগতিক দল আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারের পরিচিতি পেলো।
রোববার (২০ নভেম্বর) কাতার বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই ভেঙেছে বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাস। ১৯৩০ সালে শুরু হওয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো স্বাগতিক দল প্রথম ম্যাচে হারেনি। কাতারের খোর শহরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে আসরের প্রথম ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডর।
জয়সূচক দুটি গোলই এসেছে ইকুয়েডরের অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়ার পা থেকে। প্রথম ম্যাচের প্রথম গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে, পরেরটি আসে হেড থেকে।
নিজেদের মাঠে ম্যাচ জমিয়ে তুলতে ব্যর্থ কাতার। উল্টো একের পর এক আক্রমণে শুরু থেকেই চাপ ধরে রাখে ইকুয়েডর। ম্যাচের ৫৩ভাগ সময় বল দখলে রাখে ইকুয়েডর। এই সময়ে আক্রমণ করে ৬ বার। যার ৩ টি ছিল অনটার্গেট শট। বিপরীতে ৫ বার আক্রমণ করে একটিতেও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই সুযোগ পেয়ে যায় ইকুয়েডর। পঞ্চম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ডি বক্সে বল বাড়ান ফেলিক্স টরেস। পাস পেয়ে হেড দিয়ে বল ঠিকানায় পাঠান ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু অফসাইড হয়ে সেটি বাতিল হয়।
এই হতাশা বেশিক্ষণ তাড়া করতে হয়নি ইকুয়েডরকে। সেই ভ্যালেন্সিয়াই লাতিন আমেরিকার দেশটিকে লিড এনে দেন। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ফাউল করে বসেন কাতারের গোলরক্ষক সাদ আলশিব। যার খেশারত দিতে হয় পুরো দলকে। কাতারি গোলরক্ষক ভ্যালেন্সিয়াকে ডি বক্সের মধ্যেই ফাউল করেন। তাতে সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখেন আলশিব। আর পেনাল্টি পেয়ে সফল স্পট কিকে দলকে লিড এনে দেন ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইকুয়েডর। এবারের গোলটিও আসে ভ্যালেন্সিয়ার পা থেকে। তাঁর জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ইকুয়েডর।
বিরতির পর নিজেদের রক্ষণে জোর দেয় ইকুয়েডর। যা ভাঙতে ব্যর্থ হয় কাতার। কয়েক দফায় সুযোগ হলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবধান কমাতে পারেনি মরুর দেশটি। তাতে হারের তিক্ততা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কাতারকে।
বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে খেলছে কাতার ও ইকুয়েডর। কাতারকে হারিয়ে এই গ্রুপে সবার আগে পয়েন্টের খাতা খুলল লাতিন আমেরিকার দেশটি। এই গ্রুপের অন্য দুদল হলো সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস।
গতকাল মরুর বুকে পর্দা উঠল ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। নাচ-গান আর নানান দেশের তারকাদের মন মাতানো পারফরম্যান্সে মাতল কাতারের খোর শহরের আল বায়াত স্টেডিয়াম। তারকারদের পারফর্মের কিছুক্ষণ পরই বাজল বিশ্বকাপের বাঁশি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন