ফুটবল
পয়েন্ট ভাগাভাগি করল ওয়েলস-যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে ৬৪ বছর পর ওয়েলস ফুটবলের মহাযজ্ঞের টিকিট পেয়েছে ।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দোহার আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় গতিময় ফুটবল খেলে ওয়েলসকে চেপে ধরে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিরতি থেকে ফিরে যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলে মার্কিনিরা। রক্ষণ সামালতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। যার সুযোগটা ভালভাবেই কাজে লাগায় ওয়েলস।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে, শেষ দিকে গ্যারেথ বেলের পেনাল্টি থেকে মূল্যবান একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে রবার্ট জন পেজের শিষ্যরা। তাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে ১-১ গোলের সমতায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিলো দুই দল।
খেলার শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় গতিময় ফুটবল খেলে ওয়েলসকে চেপে ধরে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আক্রমণের বিপরীতে দুই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া হলুদ কার্ড খায় মার্কিন ডিফেন্ডার সার্জিনো ডেস্ট ও মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককিনি।
এরপরও খেলায় ফিরতে পারেনি গ্যারেথ বেলরা। উল্টো ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে গোল হজম করে বসে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ খেলা দলটি।
ওয়েলসের ডি-বক্সের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ পাস দেন ফরোয়ার্ড টিমোথি উইয়াহকে। সেখান থেকে ওয়েলস গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
অপরদিকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ওয়েলসের বিপদ বাড়ে অধিনায়ক গ্যারেথ বেলকে দেয়া হলুদ কার্ড। ৪০তম মিনিটে মাঝমাঠে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনুস মুসাকে ফাউল করার কারণে রেফারি এই তারকাকে দেখান কার্ড।
প্রথমার্ধের শেষে দিকে আরও কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলো ওয়েলস রক্ষণভাগে এসে পরাস্ত হন যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গ্রেগ ম্যাথিউ বারহাল্টার শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে রক্ষণ ধরেই খেলে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ৮২তম মিনিটে এক পেনাল্টিতে এলোমেলো হয়ে যায় সব।
পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেননি গ্যারেথ বেল। সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরালেন তিনি। বাকি সময় আর ব্যবধান বাড়তে দেননি। ফলে ১-১ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন