অন্যান্য
বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর অকল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাকে পেছনে ফেলে এবার শীর্ষস্থান দখল নিয়েছে শহরটি। তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপানের ওসাকা ও টোকিও। বিশ্বের বাসযোগ্য নগরের তালিকায় নিচের দিকে চতুর্থ অবস্থানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ইকোনমিস্টের প্রতিষ্ঠান ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে ৩৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৩৭তম অবস্থানে রয়েছে। বুধবার এই তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট।
তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ৪র্থ এবং ৫ম অবস্থানে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন। করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর বাসযোগ্য শহরের তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর ছিল ইউরোপীয় দেশ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। তবে চলতি বছর তালিকার ১২তম অবস্থান নেমে গেছে শহরটি।
করোনা ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় ৪৬ ধাপ এগিয়ে তালিকায় ১৪তম অবস্থানে উঠে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের হনলুলু শহর। করোনা মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপ, স্বাস্থ্যখাত, টিকাদান কর্মসূচিসহ নানা বিষয় বিবেচনায় রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে এবারের তালিকা।
এদিকে, বিশ্বের বাসযোগ্য নগরের তালিকায় নিচের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে এসেছে ঢাকার নাম। ২০১৯ সালে ছিল ১৩৮তম। এর আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ১৩৯তম।
প্রতি বছর ১৪০টি শহরের বাসযোগ্যতা ও পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে তালিকা প্রকাশ করে ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট। মহামারি করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী লকডাউন বা বিধিনিষেধে জীবনযাত্রায় স্থবিরতার প্রভাব এই তালিকায়ও পড়েছে।
বাসযোগ্য শীর্ষ ১০টি শহরের নাম;
১. অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ড)
২. ওসাকা (জাপান)
৩. অ্যাডিলেড (অস্ট্রেলিয়া)
৪. ওয়েলিংটন (নিউজিল্যান্ড)
৫. টোকিও (জাপান)
৬. পার্থ (অস্ট্রেলিয়া)
৭. জুরিখ (সুইজারল্যান্ড)
৮. জেনেভার (সুইজারল্যান্ড)
৯. মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)
১০. ব্রিসবেন (অস্ট্রেলিয়া)
বাসযোগ্যতায় সর্বনিম্ন ১০টি শহরের নাম
১৩১. কারাকাস (ভেনিজুয়েলা)
১৩২. দৌয়ালা (ক্যামেরুন)
১৩৩. হারারে (জিম্বাবুয়ে)
১৩৪. করাচি (পাকিস্তান)
১৩৫. ত্রিপোলি (লিবিয়া)
১৩৬. আলজিয়ার্স (আলজেরিয়া)
১৩৭. ঢাকা (বাংলাদেশ)
১৩৮. পোর্ট মোরেসবি (পাপুয়া নিউ গিনি)
১৩৯. লাগোস (নাইজেরিয়া)
১৪০. দামেস্ক (সিরিয়া)
এসএন
অন্যান্য
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রমাণ করেছে এই দেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নাই। আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হলে সবার আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ এই দেশে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ১৪ দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগ কোন নিয়মে জামায়াতকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা আমাদের কাছে বিস্ময়ের। তাদের সিদ্ধান্তের আলোকে বিনাভোটের অগণতান্ত্রিক সরকার আরো একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কালো অধ্যায় রচিত করলো। জাতির সামনে প্রশ্ন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার জন্য আওয়ামী লীগের থেকে অনুমতি নিতে হবে?
তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনা কারণে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে। তারা আগামীতে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকেও একই পন্থায় নিষিদ্ধ করতে পারে। আওয়ামী লীগ তাদের গোলামদের সঙ্গে নিয়ে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। আমরা সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এএম/
অন্যান্য
রাজকীয় অভ্যর্থনা বলে কথা! প্রেমিকাকে হাঁটালেন টাকার কার্পেটে
নিজের প্রিয়জন বলে কথা। প্রিয় মানুষের মন জোগাতে কত কিছুই না করে থাকেন প্রেমিক পুরুষরা। আর বিত্তশালী প্রেমিক হলেতো কথাই নেই। নিজের মনের মানুষকে স্বর্গীয় সুখের ভেলায় ভাসাতে বিলাসিতা আর শখের বসে বিচিত্র কাণ্ড করে বসেন।
এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন রাশিয়ার এক ধনকুবের উদ্যোক্তা কাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে তাকে হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে টাকার কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন ওই ধনকুবের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বেশ পুরোনো।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক এই রুশ ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তার এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা রুশ ইনফ্লুয়েন্সারদের এমন ভিডিওর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে ‘জঘন্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাসরত রুশ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’’ নামেও পরিচিত। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে টাকার বান্ডিল দিয়ে সাজানো কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ ওই ইনফ্লুয়েন্সারের প্রেমিকা হেলিকপ্টার থেকে নামেন। এরপর তার হাত ধরে তিনি নগদ টাকার স্তূপের তৈরি কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। ভিডিওর ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি দেওয়া হয়েছে।
পুরোনো এ ভিডিওটি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা টাকার কার্পেট ব্যবহারে বিরক্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘সম্পদের কুৎসিত প্রদর্শন করেছেন ওই জুটি।’
নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, ‘ভিডিওতে ব্যবহার করা নোটগুলো জাল ছিল। তবে আসলে এগুলো জাল কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি।’
নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘টাকার মূল্য বুঝতে চেষ্টা করুন। তুমি ধনকুবের হতে পারো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তুমি এভঅবে অর্থ খরচ বা অপচয় করবে। এর পরিবের্তে তুমি শতশত পরিবারের ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করতে পারো। অথবা হাজারো ক্ষধার্তর মুখে খাবার তুলে দিতে পারো।’
শেয়ার করা ভিডিওতে ওই রুশ তরুণ ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তার চার কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
এমআর//
অন্যান্য
স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী
গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় ফরিদা নামে এক নারীকে জীবন্ত গিলে খেয়েছে একটি অজগর সাপ। পরে ওই অজগর সাপটিকে ধরে তার পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাংয়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার(৬ জুন) বাজারের উদ্দেশে বের হন ফরিদা নামে এক নারী । তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানান ফরিদার স্বামী ননি। এরপরই চার সন্তানের মা ফরিদার খোঁজে পরিবারের অন্যসদস্যসহ প্রতিবেশিরা বেরিয়ে পড়েন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার ফরিদার স্বামী ননি বনের মধ্যে একটি গাছের নিচে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ দেখতে পান। এটির পেট অতিরিক্ত ফোলা থাকায় ননির মনে সন্দেহ হয় সাপটি ফরিদাকে জীবন্ত গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে প্রেতিবেশিরা সাপের পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করে আনেন।
ননি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ ওকে আমি একা বাইরে যেতে দিয়েছি-এটাই আমার আজীবনের দুঃখ। আমি ওর সাথে থাকলে সাপটা হামলা করার সাহস পেত না।
গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি ডেইলি মেইলকে বলেন, ওই দিন ফরিদা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে বাড়ি না ফেরায় গ্রামের সবাই তার খোঁজ করতে থাকেন। ফরিদার স্বামী জঙ্গলে খোঁজ করার সময় একটি অজগর সাপ দেখতে পান। ওই সাপটির পেট অস্বাভাবিক ফোলা থাকায় তার মনে সন্দেহ হয়-সাপটি তার স্ত্রীকে হয়তো জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে। তার সন্দেহের কথা জানালে সবাই মিলে ওই সাপটিকে ধরা হয় এবং চাপাতি দিয়ে সাপটির পেট কেটে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদার মরদেহ বাড়ি নিয়ে কবর দেওয়া হয়।
এমআর//