ফুটবল
অঘটনের ছড়াছড়ি কাতার বিশ্বকাপে
কাতার বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে সময়ের হিসেবে মাত্র ৩ দিন। আর এরইমধ্যে দুই দুইটি অকল্পনীয় অঘটন জন্ম দিলো এবারের বিশ্বকাপ। আগের দিন (২২ নভেম্বর) আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল সৌদি আরব।
এবার চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোল ব্যবধানে হারাল জাপান।
‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে আগের দিন আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচ যে গতিতে এগিয়েছিল, একদিন পর সেই একই চিত্র দেখা গেছে জাপান-জার্মানি ম্যাচেও। আর্জেন্টিনা যেভাবে প্রথমার্ধ নিজেদের করে নিয়েছিল, জার্মানিও একইভাবে জাপানের বিপক্ষে ১-০ গোল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। পরবর্তীতে দ্বিতীয়ার্ধে টানা দুই গোল হজম করে সৌদির কাছে হার দেখে আর্জেন্টিনা। জার্মানিও ঠিক একই পথে হেঁটে দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল হজম করে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমার্ধ ছিল সম্পূর্ণ জার্মানির দখলে। দলটির পক্ষে ইলকায় গুন্ডোয়ান পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে প্রথমার্ধে জাপানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রাখে জার্মানিকে। এই সময়ে ৮১ শতাংশ বল দখলে রাখে জার্মানির ফুটবলাররা।
কেবল তাই নয় ১৪টি আক্রমণ সংগঠিত করে তারা। অন্যদিকে প্রথমার্ধে মাত্র ১বার আক্রমণে যায় জাপান। সেটিও যথেষ্ঠ গোছালো ছিল না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ১১টি আক্রমণ করে জাপান। যেখানে ৪টি শটই গোলমুখে রাখে জাপানিজ ফুটবলাররা।
এরমধ্যে ৭৫তম মিনিটে রিতসু দোয়ান এবং তাকুমা আসানো ৮৩তম মিনিটে গোল করে জাপানিজদের এগিয়ে দেয়। ম্যাচের বাকি সময় খুব চেষ্টা করেও জাপানের দুর্গ আর ভাঙতে পারেনি জার্মানির ফুটবলাররা। শেষদিকে একটা ফ্রি কিক পেলেও সেটিও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
আর তাতেই চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় অঘটনের জন্ম দেয় জাপানিজরা। কাকতালীয় বিষয় হচ্ছে আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব যেমন ৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপের আগে, জার্মানি-জাপানের পরিসংখ্যানও ছিল একই। এমনকি সৌদির বিপক্ষে কোনো ম্যাচ না হারা আর্জেন্টিনার ভাগে যেমন ২ জয় ছিল, জাপান-জার্মানির পরিসংখ্যানেও একই চিত্র দেখা যায়।
যেখানে দুই দলের ৪ মুখোমুখিতে অপরাজিত ছিল জার্মানিই। তারা ২ জয় পেয়েছিল জাপানের বিপক্ষে। বাকি ২ ম্যাচ ছিল ড্র। তবে এবার জার্মানির বিপক্ষে ১টি জয় নিশ্চিত করলো জাপানিজরা।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন