Connect with us

কৃষি

খামারিরা ডিম বিক্রি করছেন ৩১ টাকা হালি

Avatar of author

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে খামারিরা ডিম বিক্রি করছেন ৩১ টাকা ৬০ পয়সা হালি দরে। প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা। খামারিরা বলেছেন, তারা চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে ডিম বিক্রি করছেন এ সপ্তাহের শনিবার থেকে আজ (শুক্রবার) পর্যন্ত।

সপ্তাহজুড়ে প্রতি পিস ডিম ৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৮ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। ডিমের এমন হঠাৎ দর পতনে হতাশ খামারিরা।

খামারিরা জানান, ২০২২ সালের মধ্যে চলতি সপ্তাহে ডিমের দাম সর্বনিম্ন। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে খামারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সায়। একটি ডিম উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ টাকা ৫০ পয়সা। খামারিদের উৎপাদন খরচের চেয়েও ২ টাকা ৬০ পয়সা কম দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে, মুরগির দামও কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে। খামার থেকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১১৮ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা।

খামারিরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ কেজিপ্রতি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সোনালি মুরগির উৎপাদন খরচ প্রায় ১৯০ টাকা।

ঈশ্বরদীর বাঘইল গ্রামের এক খামারি বলেন, আমার পাঁচটি খামারে ১৭ হাজার মুরগি রয়েছে। এরমধ্যে লেয়ার মুরগি রয়েছে ৮ হাজার। প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার ডিম খামারে উৎপাদন হয়। ডিম বিক্রি করে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খামার করেছি। এভাবে প্রতিনিয়ত লোকসান হতে থাকলে পথে বসতে হবে।

Advertisement

জয়নগর বাবুপাড়ার খামারি রিয়াজুল ইসলাম খান বলেন, এখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি করছি ৩১ টাকা ৬০ পয়সা। যা উৎপাদন খরচের চেয়েও বেশ কম। প্রতিদিনই ডিমের দাম কমছে। এভাবে কমতে থাকলে খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। ডিমের দাম কমে যাওয়ায় তিনদিন ধরে ডিম বিক্রি করছি না।

জয়নগর বোর্ড অফিস মোড়ের ডিমের আড়তদার মাসুদ রানা বলেন, ডিমের দাম কমে যাওয়ায় খামারিরা খুব দুর্ভোগে পড়েছেন। খাদ্যের দাম বেশি, ডিমের দাম কম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা। অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে ডিমের দাম কমতে থাকলে আরও খামার বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ১০০ ডিম খামার থেকে কিনেছি ৭৯০ টাকায়। বিক্রি করবো ৮০০ টাকায়।

ঈশ্বরদী পুরাতন বাজারের খুচরা ডিম বিক্রেতা ঝন্টু হোসেন বলেন, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়। ডিমপ্রতি আমাদের লাভ হয় ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা পর্যন্ত।

জাতীয় কৃষিপদকপ্রাপ্ত খামারি আকমল হোসেন বলেন, ডিমের দাম প্রতি হালি এখন ৩১ টাকা ৬০ পয়সা। এভাবে চলতে থাকলে ক্ষুদ্র খামারিরা নিজেদের গুটিয়ে নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

Advertisement

হঠাৎ ডিমের দাম কমে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শীতে ডিমের উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি বাজারে শীতের নতুন শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে। এখন খাল-বিলের পানি কমে যাচ্ছে, প্রচুর ছোট মাছ ধরা পড়ছে। তাই ডিমের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কম।

আরও একটি কারণ থাকতে পারে। ডিমের বাজারদর নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেট সবসময় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করার চেষ্টা করে থাকে। ডিমের দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের নিঃস্ব করার ষড়যন্ত্রও এটি হতে পারে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

কৃষি

সবজির দাম কমলেও বেড়েছে চাল-মুরগির দাম

Published

on

বাজার

কারফিউ পরিস্থিতি ও যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। কিন্তু চাল, মুরগি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বেশ কয়েটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। তবে আগের মতো বেশী দামেই ভোক্তাদের চাল, মুরগি, পেঁয়াজ ও আলু কিনতে হচ্ছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। চালের দাম কেজি প্রতি ৩-৮ টাকা বেড়েছে । গেলো সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম আবার বেড়েছে।

ঢাকার বিভিন্ন বাজারে পটোল, পেঁপে, চালকুমড়া, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, লাউ প্রভৃতি সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে বরবটির দাম ২০ টাকা বেড়ে ৮০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

দুই সপ্তাহ ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা থেকে কমে গিয়ে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ১৪০ টাকার ওপরে থাকা করলার কেজি কমে হয়েছে ৮০-১০০ টাকা।

প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০-২০০ টাকায়।

Advertisement

রাজধানীতে সোনালি মুরগি ২৬০-২৮০ টাকায় ও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে তিন দিন আগেও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২০-৩০ টাকা মুল্য হ্রাস পেয়েছিলো। ।

এদিকে ঢাকার বাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৮ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে মিনিকেট নামের পরিচিত পলিশ করা চাল ৭০-৮০ ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৯৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি স্বর্ণা ও ব্রি-২৮ সর্বনিম্ন ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ।

রাজধানীতে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিমের দাম ছিল ১৫০ টাকা। তবে তিন দিন আগেও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২০-৩০ টাকা ও ডিমের ডজন ১০ টাকা কম ছিল। মাছের দাম এখনো চড়া। প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও এখনো মানুষের মনে আতঙ্ক কাটেনি। পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে আগের থমথমে পরিস্থিতির রেশ আছে। বাজারে মানুষ কম আসছে। তাতে বিক্রি কমেছে। তবে পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

জেডএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

কৃষি

কৃষিবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৭ জুলাই) কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা-২০২১ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ এআইপি সম্মাননা-২০২১ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে যারা এ স্বীকৃতি পাচ্ছেন তাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করি। সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালা-২০০৯, জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, জাতীয় জৈব কৃষিনীতি-২০১৬, সমন্বিত ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা-২০১৭, জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতি-২০২০, বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা-২০২০ সহ বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা প্রায় ২ কোটি কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করেছি। প্রায় ১ কোটি কৃষকের ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা খামার যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ শুরু করেছি। বর্তমানে এ ভর্তুকি ৫০ শতাংশে এ উন্নীত করা হয়েছে এবং হাওড় এলাকার জন্য তা ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে চাষাবাদ পদ্ধতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এবং কৃষিজ উৎপাদন ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডাল, তেল, মসলা ও ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনে ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ চালু করা হয়েছে। কীটনাশকের ব্যবহারকে কমিয়ে আনা হয়েছে। মাটি, জলবায়ু ও এলাকা উপযোগী ফসল নির্বাচন এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ‘ক্রপ জোনিং ম্যাপ’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তার সরকার কৃষিকে জীবিকা নির্বাহের স্তর থেকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক পেশায় উন্নীত করে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা শস্য বহুমুখীকরণ, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি, ঋতুভিত্তিক ফলের চাষ, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, ভূ-উপরিস্ত পানির ব্যবহার বৃদ্ধি, ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ, প্রাণিজ আমিষ চাহিদা পূরণে ডিম ও দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের কৃষি তথা গ্রামের সাথে সংযোগ বৃদ্ধি করেছি। আমরা কৃষিতে ই-কৃষির প্রবর্তন করেছি। কৃষি সেবাকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য তৈরি করেছি কৃষি বাতায়ন। স্থাপন করেছি কৃষি কল সেন্টার, কৃষি কমিউনিটি রেডিও, কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র। বিভিন্ন মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কৃষকদের দোরগোড়ায় কৃষি তথ্য সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম অনুধাবন করেছিলেন জ্ঞাননির্ভর আধুনিক কৃষিই উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রথম সোপান। তাই তিনি স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি দেশের কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফসহ উন্নত কৃষি উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেন। তিনি ১৯৭২ সালে ১০০টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করেন। তার নির্দেশে কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করা হয়। তিনি কৃষিবিদদের চাকরি প্রথম শ্রেণির মর্যাদায় উন্নীত করেন।

সরকারপ্রধান আরও বলেন,জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে। আমরা ১৯৯৬ সালে কৃষি সম্প্রসারণ নীতি প্রণয়ন করি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্তির সংগ্রামের এই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আমাদের গৌরবজনক ‘সেরেস’ পুরস্কার প্রদান করে। কিন্তু ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশ আবার পূর্বের খাদ্য ঘাটতি এবং আমদানি নির্ভর অবস্থায় ফিরে যায়।

প্রধানমন্ত্রী এআইপি সম্মাননা ২০২১-এর জন্য মনোনীত সকলকে আবারও অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

করলা-বেগুনের সেঞ্চুরি, ঝাল কমেছে কাঁচা মরিচের

Published

on

বৃষ্টি ও সবজির মৌসুম শেষ হওয়ার অজুহাতে বেড়েছে সব ধরণের সবজির দাম। করলা ও বেগুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। তবে গেল সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচের দাম এ সপ্তাহ এসেছে কমেছে।

শুক্রবার (২৮ জুন)  রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র  দেখতে পায় গণমাধ্যম।

বাজারে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে  ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, প্রতি কেজি কচু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৪০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি  ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ এবং লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে কোরবানির আগেই বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের দাম এবার কমেছে। কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। কিছুটা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে রাজধানীর মালিবাগ বাজারে আসা ক্রেতা রহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে করলা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা। আর বাকি সবজিগুলোরও বাড়তি দাম। বলতে গেলে ৬০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজি নেই। এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খেতে সাধারণ মানুষের আসলেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। বাজারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যেদিন যখন ইচ্ছে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বাজারে।

Advertisement

বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বাছায় করা পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আকারে একটু বড়। সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

পেঁয়াজ বিক্রেতা মেহেদি হাসান জানান, পেঁয়াজের মৌসুম (বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ) যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে বাজারে বেড়েছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে খুচরায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। তবে দরদাম করলে কোনো কোনো দোকানে ৬০ টাকায় মিলছে।

রামপুরা বাজারের দোকানি শাহাদাত বলেন, ৬০ টাকায় আলু বিক্রি করলে কোনো লাভ থাকে না। কারণ, পাইকারি কেনায় পড়ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে।

এদিকে অপরিবর্তিত আছে মুরগি ও গরুর মাংসের বাজার।

Advertisement

এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে ডিমের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।

ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দামে খুব একটা স্বস্তি দেখা যায়নি। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম আকারের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং এক কেজির ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it