ফুটবল
কঠিন সমীকরণে মাঠে নামছে গ্রুপ-ই এর চার দল
জাপানের সাথে প্রথম ম্যাচে হার এবং দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেনের সাথে ড্র করে মাত্র ১ পয়েন্ট হাতে নিয়ে টেবিলের তলানীতে অবস্থান করছে চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। একটি করে জয় ও ড্র নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে স্পেন এবং একটি জয় ও একটি ড্র নিয়ে সমান সংখ্যক ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে জাপান ও কোস্টারিকা। কে যাবে নকআউটে এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে আজ রাত ১ টা পর্যন্ত।
জার্মানির আজ প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা। জার্মানিকে সেকেন্ড রাউন্ডে যেতে হলে জিততেই হবে এই ম্যাচ এবং তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকে। জাপান যদি হারে তাহলে জার্মানির নক আউট নিশ্চিত। কিন্তু যদি ড্র করে তাহলে জার্মানিকে জিততে হবে ২ গোল ব্যাবধানে। ১ গোলে ব্যাবধানে জিতলে তখন হিসেব করতে হবে গোল ব্যবধান, গোল সংখ্যা, মুখোমুখি লড়াই এবং সবশেষে ফেয়ার প্লে পয়েন্ট। আর স্পেন যদি হেরে যায় তাহলে কঠিন হবে চার বারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।কারণ গোল ব্যবধানে অনেক এগিয়ে স্পেন। তখন জার্মানিকে ৮ গোলের ব্যবধানে জিতেতে হবে কিংবা স্পেনকে ৮ গোলের ব্যবধানে হারতে হবে।
জাপানের বিপক্ষে ড্র করলেও শেষ ষোলো নিশ্চিত হবে স্পেনের এবং জিতলে হবে গ্রুপ সেরা।আর ড্র করলে অন্য ম্যাচটি ড্র হতে হবে অথবা জার্মানিকে জিততে হবে তাহলে গ্রুপ সেরা হবে স্পেন। অন্য ম্যাচটি যদি ড্র হয়, তাহলে সর্বোচ্চ ১৩ গোলের ব্যবধানে হারলেও পরের ধাপে উঠবে স্প্যানিশরা। স্পেন হারলে এবং জার্মানি জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে সমান ৪, তখন একে একে দেখা হবে গোল ব্যবধান, গোল সংখ্যা, মুখোমুখি লড়াই এবং সবশেষে ফেয়ার প্লে পয়েন্ট।
জাপান জিতলে নিশ্চিত হবে নকআউট পর্ব। আর নিজেরা জিতলে এবং অন্য ম্যাচ ড্র হলে অথবা জার্মানি জিতলে অথবা কোস্টারিকা সর্বোচ্চ ৫ গোলের ব্যবধানে জিতলে গ্রুপ সেরা হবে জাপান। দুটি ম্যাচই ড্র হলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শেষ ষোলোয় উঠবে জাপান। জাপান ড্র করলে এবং জার্মানি ন্যূনতম ব্যবধানে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান হবে সমান। তখন দেখা হবে কে বেশি গোল করেছে, সেখানেও সমতা থাকলে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে নকআউটে উঠবে।
জিতলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত কোস্টারিকার । ড্র করলেও কোস্টা রিকার থাকবে সুযোগ, তবে প্রার্থনা করতে হবে যেন স্পেনের বিপক্ষে জাপান হারে। কোস্টা রিকা যদি ড্র করে এবং স্পেন যদি হারে, তাহলে দুই দলের মধ্যে গ্রুপ রানার্সআপ প্রথমে নির্ধারিত হবে গোল ব্যবধানে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন